ছোট্ট একটা বিরতির পর নতুন একক গান প্রকাশ করছেন সুফি ও বাউল ঘরানার আলোচিত শিল্পী সাগর দেওয়ান। উপমহাদেশের প্রখ্যাত বাউল সাধক দেওয়ান পরিবারে বেড়ে ওঠা এ শিল্পীর কণ্ঠে এবার শোনা যাবে ‘প্রেম সাগর’ শিরোনামে একটি আধ্যাত্মিক গান। এর কথা লেখার পাশাপাশি সুর করেছেন জিসান খান শুভ। সংগীতায়োজন করেছেন আমজাদ হোসেন।

সম্প্রতি কক্সবাজারের বিভিন্ন লোকেশনে গানটির চিত্রায়ণ করা হয়েছে। মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত। ঈদ উপলক্ষে শিগগিরই ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া দেশি ও আন্তর্জাতিক সব মিউজিক প্ল্যাটফর্মে গানটি শুনতে পাবেন শ্রোতারা। এ আয়োজন নিয়ে শিল্পী সাগর দেওয়ান বলেন, “দেওয়ান পরিবারের সন্তান আমি। আমাদের পরিবারে সুফিবাদের চর্চা হয়ে আসছে প্রায় ২০০ বছর ধরে। সুফিবাদ আর বাউলের যে মেলবন্ধ, তা খুব কাছ থেকে দেখেছি। সে ধারা বজায় রেখে গান করে যাচ্ছি। তাই মৌলিক এ  আয়োজনে নিজস্বতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। আশা করছি, ‘প্রেম সাগর’ গানটি শ্রোতাদের হৃদয় স্পর্শ করবে।” 

প্রসঙ্গত, দেওয়ান বংশের চতুর্থ প্রজন্মের এই শিল্পী পূর্বসূরিদের পথ অনুসরণ করেই সংগীত সাধনা করে যাচ্ছেন। বিখ্যাত বাউল সাধক আরিফ দেওয়ানের মাধ্যমেই সংগীত ভুবনে প্রবেশ। তাঁর গায়কী ও সুরে আরিফ দেওয়ানের প্রভাব স্পষ্ট। সুফি ও বাউল গানের পাশাপাশি ফিউশনধর্মী আয়োজনে অংশ নিয়েও শ্রোতাদের মনোযোগ কেড়েছেন। এর আগে কোক স্টুডিও বাংলাতে ‘মা লো মা’ গান গেয়ে আলোড়ন তুলেছিলেন সাগর দেওয়ান।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

তিতুমীর কলেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতার ওপর ছাত্রদলের হামলা

তিতুমীর কলেজের নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের ইফতার মাহফিলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর সানির ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খাজা মাইনুদ্দিনের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে সানিকে গুরুতরভাবে আঘাত করে।

প্রত্যক্ষদর্শী ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিদ মাহমুদ বলেন, “দুপুরে আমি গণিত বিভাগের দিকে গেলে সানি ভাই আমাকে ডাক দেয়। আমি সেখানে গিয়ে বসার কিছুক্ষণ পর আকিব এবং খাজা আসে। ওরা এসে বলে, তোমরা যে এখানে ইফতার মাহফিল করছো, কার থেকে অনুমতি নিয়েছো? এ কথা বলে তারা ব্যানার খুলতে যায়। সানি ভাই বাঁধা দিতে গেলে খাজা হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে।”

আরো পড়ুন:

বাকৃবি ও ইবি শাখা ছাত্রদলের গণইফতার

২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা

তিনি বলেন, “হামলার পর আহতাবস্থায় সানি ভাইকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার চিকিৎসার জন্য ছয়টি সেলাই দেওয়া লেগেছে।”

হামলার বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খাজা মাইনুদ্দিন বলেন, “আমরা নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের একটি ইফতার মাহফিল করেছি। কিন্তু আজ জাহাঙ্গীর সানির নেতৃত্বে নিষিদ্ব সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী নিয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আমরা তাদের গিয়ে বাঁধা দিয়েছি। ব্যানার খুলতে গেলে জাহাঙ্গীর সানি আমার ওপর হামলা করে। সেখানে আমার ছোট ভাই আবিকও উপস্থিত ছিল।”

কিন্তু জাহাঙ্গীর সানির ওপর হামলার সময় উপস্থিত না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে আবিক বলেন, “কলেজে নাটোর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ একটাই আছে। আমি আজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখতে পাই, নাটোর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নামে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন হচ্ছে। বাংলা বিভাগ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির সঙ্গে আমার পূর্বের বিরোধ ছিল।”

তিনি বলেন, “বাংলা বিভাগ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিকে ক্যাম্পাসে পেয়ে আমি তাকে থানায় দিতে চাই, তখন সে আমার ওপর হামলা করে। পরে শুনতে পারি, জাহাঙ্গীর সানি হাতুড়ি নিয়ে খাজা মঈনুদ্দিন ভাইকে হামলা করতে আসে। তখন জাহাঙ্গীর সানির ঘুষিতে খাজা মঈনুদ্দিন আহত হয়।”

এ বিষয়ে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসেন বলেন, “এটা তাদের জেলা ছাত্র কল্যাণের বিষয়। এতে ছাত্রদলের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তবে সংগঠন যদি তার বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ পায়, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার (১৫ মার্চ) মাগরিবের নামাজ শেষে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তিতুমীর কলেজ শাখা। এ সময় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

ঢাকা/হাফছা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ