তেঁতুলিয়া নদীতে ট্রলারে ডাকাতি, গণপিটুনিতে নিহত ১
Published: 15th, March 2025 GMT
পটুয়াখালীর বাউফলের ধূলিয়া এলাকার তেঁতুলিয়া নদীতে তরমুজবোঝাই ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ভোরে ধুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় ডাকাতদের এ হামলায় ৮ জন আহত হয় এবং পালানোর সময় স্থানীয়দের গণপিটুনিতে কবির ব্যাপারি (৪৫) নামের এক ডাকাত নিহত হয়েছে।
নিহত কবির ভোলা সদরের দক্ষিণ বালিয়া এলাকার মফিজুর ব্যাপারির ছেলে।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে গলাচিপা থেকে শহিদ মাতাব্বর, ট্রলার চালক সেলিম মাঝিসহ ৮ জন ১০ হাজার তরমুজে ভর্তি একটি ট্রলার নিয়ে ঢাকার মোকামে নদী পথে রওনা দেন। তরমুজ ভর্তি ট্রলারটি বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীর পূর্বপাশে তালতলা গেলে দ্রুতগামী একটি ট্রলারে ৭-৮ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল তাদেরকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে ডাকাত দলটি তেঁতুলিয়া নদীর ধুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে তরমুজবোঝাই ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে ট্রলারে থাকা চালকসহ ৮ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এসময় ট্রলারে থাকা একজন এক ডাকাতকে ঝাপটে ধরে নদীতে ঝাঁপ দিলে অন্যান্য ডাকাতরা ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে ট্রলারে থাকা লোকজনের ডাক চিৎকারে নদীর তীরে স্থানীয়রা লাঠিসোটা নিয়ে জড়ো হন। তারা নদীতে থাকা ডাকাত কবির হোসেনকে গণপিটুনি দিলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে খবর দিলে আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করলে চিকিৎসক ডাকাত কবির ব্যাপারিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডাকাতের হামলায় আহতরা হলেন- গলাচিপা উপজেলার চর কপাল বেরা এলাকার মৃত হানিফ মাতব্বরের ছেলে শহিদুল মাতব্বর (৫৮), ডাকুয়া গ্রামের নুর ইসলাম সরদারের ছেলে মেহেদী হাসান (৩৪), ফিরোজ মাতব্বর (৩৭), বারেক মাতব্বর (৪৮), ফরহাদ হোসেন (৪৫), হাবু পেশকার (৩৭), ফয়সাল (২৮) ও সেলিম মাঝি (৫৭)।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত শহিদুল মাতব্বর, মেহেদি হাসান ও সেলিম মাঝিকে শনিবার দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয় বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.
ওসি জানান, ঘটনাস্থল থেকে ট্রলারবোঝাই তরমুজ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক ও মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গণপ ট ন গণপ ট ন তরম জ
এছাড়াও পড়ুন:
‘ভিউ বাণিজ্যে ক্ষতি হয় ক্রিকেটারদের’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত কনটেন্ট ও নেতিবাচক উপস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের ব্যাটার লিটন কুমার দাস। সম্প্রতি সমকালের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মাঠে ব্যাটিংটা সুন্দর বলেই সবাই ধরে নেয় আমি নামলেই রান করব। কিন্তু আমি তো মানুষ, সব সময় তো রান করা সম্ভব না।’
২০১৯ সালে লিটনের ব্যাটিং দেখে ভীষণ মুগ্ধ হয়েছিলেন ইয়ান বিশপ। সেবার বিশ্বকাপে এই ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ধারাভাষ্য দেয়ার সময় লিটনের প্রতিটি শটকে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা বিখ্যাত চিত্রকর্ম মোনালিসার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তার মতে ইতালিয়ান চিত্রকর দ্য ভিঞ্চি তুলির আঁচড়ে মোনালিসার যে চিত্র ফুটিয়ে তুলেছিলেন লিটনের ব্যাট যেন ঠিক তার তুলির মতোই।
এমন ছবির মত ব্যাটিংয়ের কথা জিজ্ঞেস করতেই আপত্তি তুললেন লিটন। জানালেন, এমন প্রশংসা আমার জন্য নেতিবাচক। আমার ব্যাটিং সুন্দর দেখে প্রতিদিন রান করতে হবে, এই জিনিসটি সবার ভেতরে গেঁথে গেছে। সবাই ভাবে আমি মাঠে গেলেই রান করব। কেউ রান করুক বা নাই করুক, আমাকে রান করতে হবে। কিন্তু আমি তো মানুষ, ফেল হতেই পারি। একজন বোলারের একটি ভালো বলে আউট হতেই পারি। একটি ভালো ক্যাচ নিতে পারে বা আমি একটি বাজে শট খেলতে পারি; কারণ আমি মানুষ।
লিটন ক্ষোভ ঝেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার ভিউ বাণিজ্য নিয়েও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার খারাপ মুহূর্তগুলো বারবার তুলে ধরা হয় উল্লেখ করে লিটন বলেন, যারা নিউজ পোর্টাল চালায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় রিলস বানায়, তাদের উপস্থাপনায় থাকে আমি কেন রান করছি না। আমাকে নিয়ে দিনের পর দিন তারা কনটেন্ট বানিয়েই যাচ্ছে। এটি শুধু চাপই নয়, বরং মানসিকভাবে ‘হ্যাম্পার’ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা রিল বানায়, ইউটিউবে কনটেন্ট দেয়, তারা নিজেদের মতো করে উপস্থাপন করে—কিন্তু সেটি নৈতিক জায়গা থেকে না। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্যও ভুল বার্তা যাচ্ছে। একজন খেলোয়াড়ের খারাপ দিন থাকতেই পারে। কিন্তু একাধিকবার সেই খারাপ মুহূর্ত প্রচার করায় দর্শক বিভ্রান্ত হয়। এই কনটেন্ট কিছু মানুষের জন্য ভালো—ভিউ বাড়ে, লাভ হয়। কিন্তু আমাদের জন্য তা হতাশাজনক।’