রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, গরমে হাঁসফাঁস
Published: 15th, March 2025 GMT
রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে রাজশাহীতে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটি চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এটি অব্যাহত থাকার পাশাপাশি তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ রহিদুল ইসলাম বলেন, রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজকের যে তাপমাত্রা এটি মৃদু তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। এপ্রিলের দিকে রাজশাহীতে রেকর্ড তাপমাত্রা হয়। মাঝে হয়তো কালবৈশাখী বা শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে গত বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এরপর গতকাল শুক্রবার তা কমে দাঁড়ায় ৩৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এরপর আজ আবার তাপমাত্রা বাড়ল। একইভাবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও বেড়েছে। গতকাল রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটি বেড়ে আজ ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে থাকে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই হিসাবে রাজশাহীতে আজ মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে।
এদিকে মৃদু তাপপ্রবাহে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে। রাস্তাঘাটে মানুষজনের আনাগোনা কমেছে। রোজা থাকা মানুষের হাঁসফাঁস বেড়েছে। দুপুরে নগরের বুধপাড়া এলাকার রহিদুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে তাঁর এলাকায় হঠাৎ গরম পড়েছিল। এবার প্রথমবারের মতো ফ্যান চালাতে হয়েছে। দিনের তাপমাত্রা যে বাড়বে, তা রাতের গরমেই বোঝা গেছে।
নগরের চৌদ্দপায় এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে বালু তোলার কাজ করছিলেন কয়েকজন নির্মাণশ্রমিক। তাঁদেরই একজন রমিজ উদ্দিন বলেন, ‘এত দিন রোজা রেখেছি কিন্তু গলা শুকায়নি। আজ খুব গলা শুকিয়ে যাচ্ছে।’
নগরের আলুপট্টি মোড়ের আখের রস বিক্রেতা রাকিব ইসলাম রস তৈরি করে বোতলে ভরছিলেন। তিনি বলেন, ইফতারের সময় অনেকে আখের রস রাখেন। কয়েক দিন ধরে বিক্রি করছেন। আজ বেশি বিক্রি হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর ড কর স লস য় স দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলা হচ্ছে না নেইমারের
ব্রাজিল জাতীয় দলে ফিরতে এবং আসন্ন ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে নিজের ইচ্ছের কথা ব্যক্ত করেন নেইমার জুনিয়র। সেই তাগিদ থেকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে শৈশবের ক্লান সান্তোসে ফিরে আসেন এই ৩৩ বছর বয়সী তারকা। ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির হয়ে ছন্দে ও ফিরছিলেন ধীরে-ধীরে। ফলে প্রায় ১৭ মাস পরে ডাক পেয়েছিলেন জাতীয় দলে।
তবে সান্তোসে ফিরে ছন্দে ফিরলেও, অনিয়ন্ত্রিত জীবন থেকে ফিরে আসতে পারেননি নেইমার। ফলশ্রুতিতে আবারও চোটে পড়েছেন দল ঘোষণার পরে। স্বাভাবিকভাবেই ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের ব্রাজিল দলে বহু প্রতিক্ষিত প্রত্যাবর্তনটা অন্তত এখন আর হচ্ছে না। তার পরিবর্তে দলে ঢুকেছেন রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ স্ট্রাইকার এন্দ্রিক।
নেইমার ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে খেলার সময় হাঁটুর চোট পান। এরপর থেকে জাতীয় দলে ব্রাত্য ছিলেন এই ফরোয়ার্ড। সান্তসে ফিরে এসে ৭ ম্যাচে ৩ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট করেছিলেন। সেই সুবাদে সেলেয়াও দলে ডাকও পেয়েছিলেন। তবে কদিন আগে হালকা চোটে পড়ার পরে বিশ্রাম না নিয়ে কার্নিভালে যান। এরপর সেই চোট আরও গুরুতর হয়।
আরো পড়ুন:
আর্জেন্টিনার বিপক্ষের ম্যাচের আগে ব্রাজিলের দুশ্চিন্তা, নিষেধাজ্ঞা শঙ্কায় নেইমারসহ ১০ তারকা
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন রোনাল্ডো নাজারিও
স্বাভাবিকভাবে এই মাসে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বাকপ বাছাই পর্বের মহা গুরুতেপূর্ণ ম্যাচ দুটিতে খেলতে পারবেন না তিনি। ২১ ও ২৬ মার্চ যথাক্রমে ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে।
ফিরে আসার দ্বারপ্রান্তে এসে আবারও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তুলতে ব্যর্থ হওয়ায় নিজেকে দুর্ভাগা ভাবছেন এই ব্রাজিলিয়ান। নেইমার নিজের ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, “ফিরে আসার সময়টা অনেক কাছে মনে হচ্ছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমি এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জার্সি পরতে পারব না।”
তবে এই ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড কোন ঝুকে নিতে চান না। সবার সাথে আলোচনা করেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, “আমরা অনেক দীর্ঘ আলোচনা করেছি এবং সবাই জানে আমার ফিরে আসার ইচ্ছা কতটা তীব্র। কিন্তু আমরা একমত হয়েছি যে কোনো ঝুঁকি না নিয়ে, সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে এই চোট পুরোপুরি সেরে ওঠা সবচেয়ে ভালো।”
ব্রাজিলের হতে কাফু ১৪২ ম্যাচ খেলেছিলেন। যা সেলেসাওদের জার্সিতে সর্বোচ্চ। এরপর ১২৮ ম্যাচ নয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন নেইমার। তবে নেইমার তার দেশের সর্বকালের সেরা গোলদাতা। ৭৯ গোলের করেছেন এই ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড, যা পেলের চেয়ে দুইটি গোল বেশি। সেলেসাওদের হয়ে ৫৯টি অ্যাসিস্টও আছে তার।
এদিকে নেইমারের পরিবর্তে দলে আসা ১৮ বছর বয়সী এন্দ্রিক, এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ২৮টি ম্যাচ খেলেছেন। গোল করেছেন ৬টি। এই তরুণ স্ট্রাইকার ব্রাজিলের হয়ে ১৩টি ম্যাচ খেলেছেন এবং জালের দেখা পেয়েছেন তিন বার।
অন্যদিকে ব্রাজিলের কোচ ডোরিভাল জুনিয়র চোটের কারণে ম্যানচেস্টার সিটির গোলরক্ষক এডারসন ও ফ্লামেঙ্গো ফুলব্যাক ড্যানিলোকেও দল থেকে বাধ্য দিতে বাধ্য হয়েছেন। এদের পরিবর্তে দলে এসেছেন অলেম্পিক লিও গোলকিপার লুকাস পেরি ও ফ্লামেঙ্গো ডিফেন্ডার আলেক্স সান্দ্রো।
ঢাকা/নাভিদ