নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ হলে চাল সরবরাহও বন্ধের হুঁশিয়ারি
Published: 15th, March 2025 GMT
নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা হলে চাল সরবরাহ বন্ধসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ রক্ষা আন্দোলন কমিটি। শনিবার শহরের মুক্তির মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এ হুঁশিয়ারি দেন। জেলার সর্বস্তরের জনগণ ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে শুক্রবার শিক্ষার্থীদের আহ্বানে মেডিকেল কলেজের চলমান ইস্যু নিয়ে মতবিনিময় সভা হয়েছে। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, চিকিৎসক ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জেলা বিএমএর সভাপতি চিকিৎসক ইস্কেন্দার হোসেনকে আহ্বায়ক করে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ রক্ষা আন্দোলন কমিটি গঠন হয়।
ইস্কেন্দার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সমবায়বিষয়ক সম্পাদক নজমুল হক, পৌর কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান, জেলা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম রায়হান আলম, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আজাদ হোসেন, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি মনিরুল হক, শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান রাকিব, নুসাইবা বিনতে হক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নওগাঁ মেডিকেল কলেজ মানহীন হতে পারে না। এ কলেজের ফলাফল অন্য কলেজের চেয়ে ভালো। শুধু ভবন না থাকা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান যাচাইয়ের মাপকাঠি হতে পারে না। মানহীন হলে এর দায়ভার সরকারের। মানোন্নয়ন না করে মানহীন আখ্যা দিয়ে বন্ধ করতে যাচ্ছে, এটি হঠকারী ছাড়া কিছুই না।
এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে মেডিকেল শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে ঘাটতি তৈরি হবে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা ও সংকুচিত হয়ে পড়বে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে সংশ্লিষ্টদের সরে আসার দাবি জানান তারা। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
নওগাঁ মেডিকেল কলেজ রক্ষা আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক ইস্কেন্দার হোসেন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার মানহীন তকমা লাগিয়ে নওগাঁসহ ছয়টি সরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দিতে চাচ্ছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। এ কলেজ মানহীন হতে পারে না। এখানে প্রতি চারজন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক আছেন, সবাই দক্ষতাসম্পন্ন। রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২৬টি মেডিকেল কলেজের পরীক্ষায় নওগাঁ প্রথম বা দ্বিতীয় স্থানে থাকা।
ভালো ফলাফল সত্ত্বেও এ মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত সরকারের হঠকারিতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ কলেজ বন্ধ করা হলে নওগাঁ থেকে চাল, আম সবরাহ বন্ধ এবং অনশনসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বিএনপির সহ-সমবায়বিষয়ক সম্পাদক নজমুল হক বলেন, মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নওগাঁবাসী মেনে নেবে না। প্রতিষ্ঠান বন্ধ কোনো সমাধান হতে পারে না।
এ বিষয়ে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নওগ ম ড ক ল কল জ র বন ধ ক বন ধ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে বন্ধ গ্যাস সরবরাহ, ভোগান্তিতে ১৩ হাজার গ্রাহক
নির্মাণাধীন মুক্তারপুর-পঞ্চবটী সড়কে পাইপলাইন ফেটে আগুন লাগায় শুক্রবার সকাল থেকে মুন্সীগঞ্জ শহর ও এর আশপাশে বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে জেলার ১৩ হাজার গ্রাহক চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। বাসাবাড়িতে রোজাদারদের জন্য ইফতারি তৈরির কাজ ব্যাহত হয়। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ চালু হয়নি।
জেলা শহরের মানিকপুর, মধ্য কোটগাঁও, বাগমামুদালীপাড়া, খালইষ্ট, মালপাড়া, জমিদারপাড়া, গনকপাড়া ও শহরতলির পঞ্চসার ইউনিয়নের সব ক’টি গ্রামে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সূত্র জানায়, সকাল ৮টার দিকে শহরের উপকণ্ঠ পঞ্চসার ইউনিয়নের পশ্চিম মুক্তারপুরে এলিভেটেড সড়ক নির্মাণকাজে এক্সক্যাভেটর দিয়ে মাটি খনন চলছিল। এ সময় সঞ্চালন লাইনের প্রধান পাইপ ফেটে গিয়ে আগুন লাগে। এর পর সরবরাহ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
শহরের মধ্য কোটগাঁও এলাকার বাসিন্দা জান্নাতুল ফেরদৌস সাম্মী বলেন, সকাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় বাসাবাড়িতে রান্না করতে পারেননি তারা। ইফতারসামগ্রীও তৈরি করা যায়নি। মালপাড়ার গৃহিণী কাজী নিপা জোহা বলেন, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সবাই। রোজার মধ্যে রান্না করা যাচ্ছে না। শহরের জগধাত্রীপাড়ার গৃহিণী এলিনা আক্তার বলেন, সকালে হঠাৎ করেই দেখি চুলায় আগুন জ্বলছে না।
এ প্রসঙ্গে মুন্সীগঞ্জ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপক শরীফুল ইসলাম জানান, সকালে মুক্তারপুর এলাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় সড়ক নির্মাণে এক্সক্যাভেটর দ্বারা মাটি অপসারণের সময় গ্যাস সরবরাহের সঞ্চালন পাইপলাইন ফেটে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে আগুন লেগে গেলে নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল থেকে সরবরাহ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় মুন্সীগঞ্জের ১৩ হাজার আবাসিক গ্রাহক গ্যাস পাচ্ছেন না।