ময়মনসিংহে রেললাইন থেকে ক্লিপ চুরি করার সময় রাজন (২২) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আটককৃত রাজন (২২) নগরীর কেওয়াটখালী এলাকার কাশেমের ছেলে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত ৮টা দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার এ চুরির ঘটনা ঘটে।
গেইটকিপার শাকিল জানান, রেললাইন থেকে ক্লিপ খোলার আওয়াজ শুনে খোঁজে গিয়ে দেখেন, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ব্যাগভর্তি রেলক্লিপসহ চারজন পালিয়ে যাচ্ছে। এ সময় রাজনকে আটক করা সম্ভব হলেও অপর তিনজন সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
গাইবান্ধায় ৮০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি
চট্টগ্রামে হেলমেট চোরে অতিষ্ঠ বাইকাররা, গ্রেপ্তার ২
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার জানান, এই ঘটনায় মামলার পর আসামি রাজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/মিলন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে দু’জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২২ রোগী
দেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ৫ এপ্রিল একজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে চলতি বছরে রোগটিতে ১৬ জনের মৃত্যু হলো। শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চব্বিশ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ জন। তাদের মধ্যে ১০ জনই বরিশাল বিভাগের। এ ছাড়া ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার ছয়, ঢাকা বিভাগে চার ও চট্টগ্রাম বিভাগে দু’জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৭৪ জন। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৬৬ জন বরিশালের, এর পর চট্টগ্রামে ৩৯৭, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩৬২, উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৫৫, ঢাকা বিভাগে ৩৫৩, খুলনায় ১১৬, রাজশাহীতে ৬২, ময়মনসিংহে ৫১, রংপুর ও সিলেট বিভাগে ছয়জন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ আটজনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে। এর পর বরিশাল ও খুলনা বিভাগে দু’জন করে চারজন। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, ঢাকা বিভাগ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন করে মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১০২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ২৯ জন, আর ৭৩ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ভর্তি রোগীদের মধ্যে ১ হাজার ৩৬১ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭১৩ জন।
২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।