রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ২০ লাখ টাকার জাল নোট ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চক্রটি আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে জাল নোট তৈরি করে সেগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মজুত করেছিল। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সুমন, সুলতানা ও হানিফ গাজী।
নিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার জসিম উদ্দিন বলেন, গত বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ সাইনবোর্ড এলাকায় কয়েকজন জাল নোট ব্যবসায়ী জাল টাকা নিয়ে মাতবর বাজার ঘাটের দিকে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া যায়। এ সময় বুড়িগঙ্গা গণপাঠাগার সমাজকল্যাণ সংস্থার সামনে বেড়িবাঁধে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ চেকপোস্ট পরিচালনা করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অটোরিকশা করে জাল টাকার ব্যবসায়ীরা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া করে সুমন, সুলতানা ও হানিফ গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেহ তল্লাশি করে এক হাজার ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের চার লাখ টাকার জাল নোট পাওয়া যায়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে নারায়ণগেঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন কদমতলীর গ্যাসলাইন নামক এলাকায় সুমনের ভাড়া বাসা থেকে ১৬ লাখ টাকার জাল নোট, একটি সিপিইউ, একটি মনিটর, একটি কালার প্রিন্টার, জাল নোট তৈরির ১০টি ডাইসসহ এক বস্তা সাদা কাগজ উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশে দীর্ঘদিন ধরে তারা জাল নোট তৈরি করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করতো। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ছয় দিন পর বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ছয় দিন পর সিরাজুল ইসলাম (৭০) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও এলাকার বালুর মাঠের ঝোপের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সিরাজুল ইসলাম সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর গ্রামের বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি বয়সজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ৬ এপ্রিল সকালে বাড়ি থেকে হাঁটতে বের হয়ে আর ফেরেননি সিরাজুল। ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁর ছেলে শামীম রেজা সোনারগাঁ থানায় একটি ডায়েরি করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল আটটার দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা কান্দারগাঁও এলাকায় মেঘনা শাখানদীর পাশের বালুর মাঠে ঝোপের ভেতর একটি অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিবারের সহায়তায় মরদেহটি সিরাজুল ইসলামের বলে শনাক্ত করে। বেলা ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান বলেন, ‘নিহতের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে—এটি স্বাভাবিক মৃত্যু। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। আমরা এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’