ছবি: সংগৃহীত
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাশিয়া-ইউক্রেনের পাল্টা বিমান হামলা চলছেই
যুদ্ধবিরতির কথোপকথন নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা থাকলেও, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ময়দানে তার কোনো চিহ্নের দেখা মিলছে না মোটেই। পরস্পরের বিরুদ্ধে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এসব হামলায় বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংসের পাশাপাশি হচ্ছে প্রাণহানিও। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা গেছে এ তথ্য।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন করেন তিনি। তবে নির্দিষ্ট কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণ না হলে রুশ বাহিনী লড়াই চালিয়ে যাবে। পুতিনের এ মন্তব্যের পর থেকেই ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে উভয় পক্ষ।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট ৩১টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ড্রোন দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হেনেছে এবং কিয়েভের আশপাশে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে পরবর্তী করণীয় নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করেছে বলে রোববার জানিয়েছে ক্রেমলিন। তারা জানায়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে ফোন করে গত বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে কিয়েভের ইউরোপীয় মিত্ররা মস্কোর প্রতি ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।
সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র চলতি সপ্তাহে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব দেয়, যা ইউক্রেন গ্রহণ করে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখনও কোনো সুস্পষ্ট জবাব দেননি। এ বিষয়ে শনিবার জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি না দিয়ে পুতিন শুধু ইউক্রেনের বিরুদ্ধে নয়, ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিচ্ছেন। তিনি অভিযোগ করেন, মস্কো যুদ্ধ শেষ না করার পথ খুঁজছে।
এ ছাড়া ট্রাম্পের আকস্মিক অবস্থান পরিবর্তনে উদ্বেগ বেড়েছে ইউরোপে। এমনকি সামরিক বাহিনীতে বাধ্যতামূলক নিয়োগের বিষয়েও পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এএফপি।