বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে যৌন নিপীড়ন, অভিযুক্তের দোকানে অগ্নিসংয
Published: 15th, March 2025 GMT
কুষ্টিয়ায় বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে আট বছরের এক শিশুকে যৌন নিপীড়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হলে শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির দোকান ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
অভিযুক্ত দোকানির নাম সাগজত (৫০)। তিনি মুদি দোকান চালান। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে চাঁদা না পাওয়ায় শ্রমিকদের মারধর করলেন যুবদল নেতা
সুনামগঞ্জে ৯ বছরের শিশুকে ‘ধর্ষণচেষ্টা’, অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর
ভুক্তভোগী শিশুর মা জানান, ঘটনার দিন তার ৮ বছরের মেয়ে সাগজতের দোকানে যায়। সেসময় বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে তার মেয়েকে দোকানের মধ্যে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন সাগজত। পরে মেয়ে বাড়িতে এসে বিষয়টি জানায়। পরে মেয়ের দাদি ও প্রতিবেশী কয়েকজন নারীকে নিয়ে সাগজতের দোকানে যান তিনি। বিষয়টি জানতে চাইলে সাগজত ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। সেসময় সবাই মিলে বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে জানানো হয়। ফাঁড়ির ইনচার্জ তাদের থানা ও হাসপাতালে যেতে বলেন। অনেক টাকা খরচ হবে এমন চিন্তা করে আর যাননি।
এলাকাবাসী জানায়, সাগজতের বিরুদ্ধে এর আগেও এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এর আগের বার ভুক্তভোগী মেয়েটির বয়স ১৪ বছরের হওয়ায় তার দরিদ্র পরিবার লোক লজ্জায় বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বাধ্য হন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর থেকেই একটি পক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দিকে দৌঁড়ঝাঁপ শুরু করেছে। তাদের অধিকাংশই একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের পদ প্রত্যাশী। শোনা যাচ্ছে, দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি সমঝোতা করার চেষ্টা করছেন তারা। যার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা ভুক্তভোগীর পরিবার ও বাকি টাকা সমঝোতাকারীরা পাবেন। বিষয়টি জানাজানি হলে আজ দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভ করতে থাকেন স্থানীয় জনতা। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা সাগজতের দােকানে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, “ঘটনার দিন আমি ঢাকায় ছিলাম। বাড়ি আসলে আমার স্ত্রী ঘটনাটি আমাকে জানায়। রাত অনেক হওয়ায় পরদিন সকালে আমি সাগজতের দোকানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাই। তিনি ভুল স্বীকার করে মাপ চাওয়ার পর রাগান্বিত হয়ে তাকে তিনটা ঘুষি মারি। তখন আশপাশের লোকজন এসে ঠেকিয়ে দেয়। পরে একজন এসে মোটরসাইকেলে করে তাকে নিয়ে যায়। আমি গরিব বলে সবাই পাশ কেটে যাচ্ছে।”
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, “স্থানীয় কিছু শিক্ষার্থী সাগজোত নামে এক ব্যক্তির টং দোকানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করেছে। ভুক্তভোগী পরিবারটি এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দেইনি। পরিবারটির সঙ্গে কথা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ বছর র ঘটন র
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় বিএনপি ও শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে স্কুলের জমি দখলের অভি
ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লা আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম হুমায়ুন কবির ও বিএনপি নেতা নাসিম আবেদীনের বিরুদ্ধে।
একদিকে বিদ্যালয়ের জমি দখলের খবরে মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও জাফর সাদিক চৌধুরী।
জমি দখলের খবরে ছুটে আসেন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও ফতুল্লার বিভিন্ন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এসময় জাফর সাদিক জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের ডেকে বিদ্যালয়ের জমি ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে সদর ইউএনও জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, আমি জমি দখলদার ডেকে তিনদিনের মধ্যে জমির দখল মুক্ত করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।