বিএনপিই সবার আগে সংস্কারের কথা বলেছে বলে জাতিসংঘের মহাসচিবকে জানিয়েছে দলটি। একই সঙ্গে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কারের যেসব বিষয় আছে, সেগুলো দ্রুত করে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার কথাও বলেছে তারা।

আজ শনিবার দুপুরে শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে কী নিয়ে আলাপ হয়েছে, বিএনপিই–বা কী বলেছে—এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘জাতিসংঘের উদ্যোগে একটা গোলটেবিল আয়োজন করা হয়েছিল। এতে কমিশনপ্রধানেরা ছিলেন। মূলত এখানে সংস্কারের যেসব বিষয় সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছে, সেসব বিষয় সম্পর্কে জাতিসংঘের মহাসচিবকে জানানো হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এত দিন যে কথা বলে আসছি, (জাতিসংঘের মহাসচিবকে) একই কথা বলেছি। সংস্কার তো অবশ্যই করতে হবে। সংস্কারের কথা তো আমরা আগে বলেছি। সেই সংস্কারটা অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু সেই সংস্কারটা যত দ্রুত করা যায়, আমরা বলেছি, নির্বাচনকেন্দ্রিক যেসব বিষয় আছে, সেগুলো করে ফেলা, দ্রুত নির্বাচন করা এবং একটা পার্লামেন্টের মাধ্যমে বাকি বিষয়গুলো করতে হবে। এটা (সংস্কার) চলমান প্রক্রিয়া। সেই বিষয়গুলো বলে এসেছি।’

জাতিসংঘের মহাসচিব কিছু বলেছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তিনি কোনো কমেন্ট (মন্তব্য) করেননি। এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, গোলটেবিলটা.

..ঠিক বোঝেননি তিনি।

নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে কথা বলছি। তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। তারা যা চাচ্ছে, সব তাদের দিয়েছি। ইতিমধ্যে আমাদের সঙ্গে একটা বৈঠক হচ্ছে। জাতিসংঘের মহাসচিবকে টাইম ফ্রেম দিতে যাব কেন?’
জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ অংশ নেন।

নির্বাচনসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতিসংঘের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আপনারা বসে রিফর্মস কী নেবেন, সেটা ঠিক করেন। উনি বাংলাদেশে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। পৃথিবীর মধ্যে একটা নজির সৃষ্টি করবে আগামী নির্বাচন, এমনটা উনি আশা করেছেন।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ ফখর ল

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সেবায় ছাত্রদল

শেরপুর জেলা শহরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার বিভিন্ন কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের মাঝে কলম, পেন্সিল, পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে শেরপুর জেলা ছাত্রদল। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের জিকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ অন্যান্য কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর আগে ছাত্রদল এ কার্যক্রম পরিচালনা করে।

এ সময় সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা, অভিভাবকদের তীব্র গরম থেকে স্বস্তি দিতে ছায়ায় বসার ব্যবস্থা করে সংগঠনটি। এছাড়াও মোবাইল, ব্যাগ ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র জমা রাখাসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়েছে ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

এ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নিয়ামুল হাসান আনন্দ। এ সময় সাধারণ সম্পাদক নাইম হাসান উজ্জ্বল, সাংগঠনিক সম্পাদক ও শেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন, থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শারদুল ইসলাম মুরাদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক নাট্য বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিনালসহ জেলা ছাত্রদলের অধীনস্থ শহর, থানা ও কলেজ ছাত্রদলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

তিয়ানশির জালে কুমিল্লার শিক্ষার্থীরা, স্বপ্ন দেখিয়ে প্রতারণা

কুয়েটের ৫ হলের তালা ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা, ভিসির পদত্যাগের একদফা

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাইম হাসান উজ্জ্বল বলেন, সারা দেশে গরম পড়ছে। এতে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। তাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় তাদের কিছুটা হলেও প্রশান্তি দেওয়ার জন্য পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান নেওয়া অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা, তাদের পানি ও খাবার স্যালাইন দেওয়া হয়।

ঢাকা/তারিকুল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ