ঢাকার ধামরাইয়ে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে সয়াবিন তেল, ছোলা ও চিনির দাম। স্থিতিশীল রয়েছে সবজি ও চালের বাজার, তবে কিছুটা বেড়েছে লেবু ও কাঁচা মরিচের দাম।

সরেজমিনে উপজেলার কাওয়ালীপাড়া, কালামপুর, ধামরাই, ধানতারা, বারবাড়িয়া, কাওয়াখোলাসহ বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য জানা গেছে। 

তথ্য বলছে, গত সপ্তাহের তুলনায় সয়াবিন তেল, ছোলা ও চিনির দাম প্রতি কেজিতে ৫-১০ টাকা কমেছে। বর্তমানে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। খোলা তেলের সরবরাহ ঠিকঠাক থাকলেও সঙ্কট রয়েছে বোতলজাত তেলের। চিনি ১২০ থেকে ১২২ টাকা প্রতি কেজি, মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, ছোলা ১০৫ টাকা ও বেসন ১০০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

এদিকে সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু ২৫ টাকা, পেঁয়াজ ৪০, কাঁচা মরিচ ৬০, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ১০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউ প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকা, পাতা কপি ১০ থেকে ১৫ টাকা পিস, ছোট লেবু ৬০ থেকে ৮০ টাকা হালি ও বড় লেবু ১০০-১২০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতাদের ভাষ্য, সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কোনো হেরফের হয়নি।

অন্যদিকে মসলার বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি হলুদ ৩৩০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩২০ টাকা, জিরা ৬৫০ টাকা, দেশি আদা ও রসুন ১০০ টাকা, লং ১৬০০ টাকা, এলাচ ৫০০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। মসলার দামও গেল সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে। 

ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে গেল কিছু দিন ধরেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। রমজানেও তা অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে দ্রব্যমূল্য কমাতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপের দাবি জানান তারা।

ঢাকা/আরিফুল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বকেয়া পরিশোধ করলেন সেই পুলিশ কর্মকর্তা

হঠাৎ প্রত্যাহার হওয়া নান্দাইল থানার ওসি ফরিদ আহমেদ অবশেষে কয়েকজন পাওনাদারের টাকা ফেরত দিয়েছেন এবং কয়েকজনকে দ্রুত দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। শুক্রবার বিষয়টি জানাজানি হলে রাতেই বেশ কয়েকজন পাওনাদারকে ডেকে নিয়ে টাকা পরিশোধ করেন।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর নান্দাইল থানার ওসি হিসেবে যোগ দেন ফরিদ আহমেদ। দায়িত্ব পালনকালে নান্দাইলে চুরি-ছিনতাইসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, নান্দাইলে কর্মরত অবস্থায় তিনি বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী কিনে টাকা পরিশোধ করেননি বলেও অভিযোগ ওঠে। এরপরও কয়েকবার জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে পুরস্কৃত হন।

বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ প্রশাসন ওসি ফরিদ আহমেদকে প্রত্যাহার করে ময়মনসিংহ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করে একটি আদেশ জারি করে। পরদিন শুক্রবার ভোরেই তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগদানের উদ্দেশ্যে নান্দাইল ত্যাগ করেন। এ খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল থেকে থানায় আসতে শুরু করেন পাওনাদাররা। তাঁকে না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সবাই চলে যান। স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে চাপে পড়েন প্রত্যাহার হওয়া ওসি ফরিদ। 

এরপর শুক্রবার নান্দাইলে এসে বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পাওনাদারদের মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে টাকা পরিশোধ করেন। কারও কারও কাছ থেকে টাকা পরিশোধের সময় চেয়ে নিয়েছেন বলেও জানা গেছে।

নান্দাইল পৌর বাজারের ইসহাক মার্কেটের পোশাক বিক্রেতা মোফাজ্জল হোসেন খান রেনু জানান, তিনি টাকা পেয়েছেন। শুক্রবার রাতে ওসি ফরিদ ফোন করে একটি জায়গায় ডেকে নিয়ে তাঁর পাওনা ১ লাখ ৪ হাজার ২৫০ টাকা পরিশোধ করেছেন।

সুবর্ণ ইলেক্ট্রনিকসের মালিক ফরহাদ জানান, তিনিও তাঁর বকেয়ার ১১ হাজার টাকা পেয়েছেন। এ ছাড়া অন্য কয়েকজন পাওনাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে অচিরেই বকেয়া পরিশোধ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

শনিবার সন্ধ্যায় সাবেক ওসি ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘আমি নান্দাইল থেকে বদলি হয়েছি তা ঠিক, কিন্তু এখনও তো সেখানে আমার জিনিসপত্র রয়ে গেছে। তাই ভেবেছিলাম পরে এক সময় এসে পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ করে যাব। কিন্তু এখন সবার দেনাই মিটিয়ে দিয়েছি।’

নান্দাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাহিদুল ইসলাম সমকালকে জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অনেকের টাকা ইতোমধ্যেই পরিশোধ করছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। বাকিদের টাকাও দ্রুতই পরিশোধ করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ