বিএনপি জনগণের দল, জনগণই আমাদের বড় শক্তি: টুকু
Published: 15th, March 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, “বিএনপির মূল শক্তি হলো জনগণ। বিএনপি জনগণের শক্তিতে বলীয়ান। কোনো ষড়যন্ত্র এই দলকে নিঃশেষ করতে পারেনি, আগামীতেও পারবে না। এমন কোনো শক্তি নেই জনগণ থেকে বিএনপিকে বিচ্ছিন্ন করবে। কেউ যদি এমনটি মনে করে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।”
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহরের পৌর ভাসানী মিলনায়তনে জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্ততি কমিটির আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, “একটি দল ইতোমধ্যে বলতে শুরু করেছে, আওয়ামী লীগ খেয়েছে, আরেক দল খাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। অথচ সেই দলটিও চাঁদাবাজি করছে। তারা সিরাজগঞ্জের স্পিনিং মিল দখল করেছে। এসিআই মিলে মোটরসাইকেল নিয়ে যাতায়াত করছে। অথচ তাদের কোনো নাম হচ্ছে না। কারণ তারা বেহেস্তের টিকিট বিক্রি করছে। আর আমরা তো বেহেস্তের টিকিট বিক্রি করি না।”
আরো পড়ুন:
আছিয়ার মৃত্যুতে দেশবাসী কষ্ট পেয়েছে: শফিকুর রহমান
নাটোরে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে আহত ৫
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রামে মিছিলে সামনে থাকা কর্মীদের আগে মূল্যায়ন করতে হবে। যারা ত্যাগ স্বীকার করেনি, তাদের বিষয়ে পরে ভাবা হবে। ১৯৭১ সালের পর অনেকে যেমন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজেছিল, ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর তেমনি অনেক ভুয়া বিপ্লবী দেখা যাচ্ছে।”
সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, “ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার একটি মামলাও আপনারা আদালতে তুলতে পারলেন না সাত মাসে। সংস্কারের নামে টালবাহানা না করে তাড়াতাড়ি নির্বাচন দিন। নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সম্মানের সঙ্গে আপনারা বিদায় নিন।”
বিএনপি রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি শামীম খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট। সভায় জেলার ১৮টি সাংগঠনিক ইউনিটের বিএনপির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র স কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
দুই ছাত্রীকে ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তারে আলটিমেটাম
নরসিংদীর চরআড়ালিয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর বাঘাইকান্দি গ্রামের কাজীবাড়ির মোড়ে রায়পুরা উপজেলার চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন হয়।
ধর্ষণের অভিযোগে ইমরান, রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, সাইফুল মিয়া, রমজান, কাইয়ুম ও তার দুই সহযোগীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশে এত ধর্ষণ হচ্ছে কিন্তু অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের কোনো বিচার হচ্ছে না। পুলিশ কী করে? অনতিবিলম্বে ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন তারা। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তা না হলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে। আলটিমেটাম দিয়ে তারা বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষকদের আইনের আওতায় আনা না হলে রামপুরা থানাসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন চরআড়ালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জহিরুল ইসলাম জাজু, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু মুসা, জেলা ছাত্রনেতা সাব্বির ভূঁইয়া, সাবেক চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরকার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেল ৩টার দিকে দুই বান্ধবী চরআড়ালিয়া গ্রামের কাইয়ুম ও মুন্নার সঙ্গে ঘুরতে বের হয়। তারা সারা বিকেল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে বাঘাইকান্দি এলাকা থেকে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া-দাওয়া করে। পূর্ব থেকেই কাইয়ুম ও মুন্না তাদের বন্ধুদের পূর্ব বাঘাইকান্দি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থাকতে বলে। সে অনুযায়ী অন্য বন্ধুরা স্কুলের সামনে অপেক্ষা করতে থাকে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে অটোরিকশাযোগে তাদের নিয়ে পূর্ব বাঘাইকান্দি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে যায় কাইয়ুম ও মুন্না। সেখানে যাওয়ার পর এক ছাত্রীকে জোর করে স্কুলের পাশে নিক্সন মেম্বারের বাড়ির ছাদে নিয়ে যায় ইসরাফিল, সাইখুল, রমজান ও কাইয়ুম এবং অপর ছাত্রীকে মুন্না, ইমরান, রাজ্জাক, আব্দুর রহমান নদীর পারে নিয়ে যায়। সেখানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় অভিযুক্তরা। এ সময় ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী চিৎকার দিতে চাইলে ইট হাতে নিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার হুমকি দেয়। পরে দুই ছাত্রী বাড়ি ফিরে গেলে অবস্থা দেখে স্বজনরা জানতে চাইলে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় রায়পুরা থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে দুটি মামলা করা হয়েছে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।