লক্ষ্মীপুরে চাঁদা না পাওয়ায় শ্রমিকদের মারধর করলেন যুবদল নেতা
Published: 15th, March 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজের ঠিকাদারের কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে ছয় শ্রমিককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা আনোয়ার সম্রাটের বিরুদ্ধে।
আহতদের দাবি, প্রথমে ২০-৩০ জন লোক এসে কাজে বাধা দেয়। এরপরও কাজ চলমান থাকায় সম্রাট নিজে এসে লাঠি দিয়ে শ্রমিকদের পিটিয়ে আহত করেন।
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে আনোয়ার সম্রাট বলেন, “আমি ব্যবসা করি। আমি বেঁড়িবাধের কাজ বন্ধ করিনি। শ্রমিকদের মারধরের ঘটনায় আমি কিংবা আমার কোনো লোক জড়িত নয়। আমি ঘটনাস্থল যাইনি।”
আরো পড়ুন:
চাঁদা না পেয়ে এলজিইডি প্রকৌশলীর ওপর হামলা, থানায় মামলা
সাভারে নারী কনস্টেবলকে মারধর করলেন বিএনপি নেতার গাড়িচালক
শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটে।
অভিযুক্ত সম্রাট চররমনী মোহন ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি। আহত শ্রমিকরা হলেন- কাশেম সর্দার, ইসলাম সর্দার, জাহের সর্দার। অন্য তিনজন ভেকু চালক। তাদের নাম জানা যায়নি।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে মজুচৌধুরীর হাটে ‘ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত ১০.
আহত শ্রমিক কাশেম সর্দার বলেন, “শুক্রবার ৩-৪ জন লোক এসে আমাদের কাজ বন্ধ করে দেয়। তারা কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলতে বলেছে। আজ সকালে লোকজন এসে আবারো কাজে বাঁধা দেয়। কাজ বন্ধ না করায় সম্রাট এসে লাঠি দিয়ে আমাদের পিটিয়ে আহত করেন।”
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ক মামুনুর রশিদ বলেন, “বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজে আমরা কয়েক দফা বাঁধাগ্রস্ত হয়েছি। আনোয়ার সম্রাট চাঁদা চেয়েছেন। চাঁদা না দেওয়ায় কাজে বাঁধা দিয়ে আমার শ্রমিকদের মারধর করেছেন তিনি। শুধু টাকা দিতে বলেন, কত টাকা দিতে হবে তাও তিনি বলেননি।”
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ঝলক মোহন্ত বলেন, “ঘটনাটি আমার জানা নেই। আমি বাইরে আছি। থানায় গেলে জানতে পারবো কেউ অভিযোগ দিয়েছে কি না।”
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর অভ য গ ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা বর্ষবরণ
উৎসব মুখর পরিবেশে খুলনায় সোমবার বাংলা নববর্ষ বরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সকাল ৭টায় সার্কিট হাউজ সংলগ্ন টেনিস কমপ্লেক্সে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ছিল গান, নাচ, আবৃত্তি ও শোভাযাত্রা। অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
খুলনা জেলা প্রশাসন সকাল ৮টায় রেলওয়ে স্টেশন থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি শহীদ হাদিস পার্কে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল সোয়া ৭টায় বর্ষ আবাহন, সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় মাঠে মেলার উদ্বোধন, সকাল ১০টায় শোভাযাত্রা, পরে লাঠিখেলা ও ম্যাজিক শো এবং বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও আশপাশের এলাকার লোকজন জড়ো হন।
বিএনপি সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পান্তা উৎসব ও ১০টায় র্যালির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নগরীর পার্ক, নদীর ঘাটসহ বিনোদন স্পটগুলোতে দিনভর ছিল তরুণ-তরুণীদের উপচেপড়া ভিড়।