দুই দেশের মাঝখানে বসবাসের অভিজ্ঞতা কেমন
Published: 15th, March 2025 GMT
হায়রো গিবানিৎসা সাসটাভসিতে থাকেন। এই এলাকার একাংশ সার্বিয়ার, আরেক অংশ বসনিয়া-হার্জেগোভিনার অংশ। সাসটাভসির একাংশকে বসনিয়ায় সার্বিয়ার ছিটমহল হিসেবে বিবেচনা করা হয়, আবার সার্বিয়ার অংশের ছিটমহলকে বসনিয়ার বলে বিবেচনা করা হয়।
হায়রো সাসটাভসি পৌরসভার বসনিয়া অংশের বাসিন্দা। সার্বিয়ার শহর প্রিবয়ের সঙ্গে যুক্ত এটি। বসতিটির প্রধান সড়ক দুই দেশের মধ্য দিয়ে গেছে। ফলে প্রিবয় পৌঁছাতে প্রতিবার হায়রোকে দুটি সীমান্তচৌকি পার হতে হয়৷
হায়রো বলেন, ‘এক সীমান্তে ১০ মিনিট, অন্যটিতেও ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। এভাবে দিনে ২০ মিনিট করে ৪০ মিনিট চলে যায় আমার। অথচ ওটা ২০ মিনিটের দূরত্ব।’
হায়রো মূলত অবসর জীবন যাপন করছেন৷ তবে এখনো মাঝেমধ্যে কারিগরের কাজ করেন। মাঝেমধ্যে তাঁকে দিনে তিনবার সীমান্ত পাড়ি দিতে হয়।
হায়রো গিবানিৎসা বলেন, ‘চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়, ফার্মেসি থেকে ওষুধ আনতে হয়। স্ত্রীর পেনশনের জন্য পোস্ট অফিসে যেতে হয়। সব কাজই প্রিবয়ে, শুধু ঘুমাই এখানে।’
সাসটাভসির অন্য ৭০০ বাসিন্দার মতো হায়রোরও বসনিয়া এবং সার্বিয়ার নাগরিকত্ব রয়েছে। পৌরসভার মাঝখানে একটি রাস্তা রয়েছে, যার একদিক সার্বিয়ায়, অন্যদিক বসনিয়ায় শেষ হয়েছে।
সাসটাভসির মেয়র সৎয়েটো ভিলটিক একটি সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে বলেন, ‘দুই দেশের মানুষের মধ্যে সীমান্ত এই সেতুও। যুগোস্লাভিয়ার যুগে এটা একটা দেশ ছিল। ফলে এখনকার মতো সমস্যা ছিল না। এখন আমরা সার্বিয়ায়, কিন্তু আমাদের পেছনে সেতুর অন্য অংশ বসনিয়ায়।’
সীমান্তসমস্যা কীভাবে সাসটাভসির বাসিন্দাদের ভোগাচ্ছে, তা ব্যাখ্যা করেছেন ভিলটিক। এখানকার অধিকাংশ মানুষ পশুপালক এবং আশপাশের বাজারে তাঁরা পণ্য বিক্রি করেন। কিন্তু সীমান্তের কারণে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা অনেক।
ভিলটিক বলেন, ‘আমরা চাইলেই যেকোনো কিছু প্রিবয়ের বাজারে নিতে পারি না। সবকিছুর জন্য অনুমতি নিতে হয়। যেমন আমি এক ব্যক্তিকে পনির প্রিবয়ে নেওয়ার অনুমতি দিচ্ছি, যাতে তিনি তা সেখানে বিক্রি করতে পারেন। মানুষ এসবে বিরক্ত। আমরা আশা করি শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হবে। আমরা কারা এবং কী করতে পারি, তা পুরোপুরি স্বচ্ছ হওয়া উচিত।
সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সৎয়েটো ভিলটিককে সার্বিয়াতেই বসবাস করতে হবে এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বসনিয়ার ক্যাফেতে যেতে হবে। হায়রো গিবানিৎসারও প্রতিদিন সীমান্ত পার হতে হবে। অনেক বছর ধরে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন তাঁদের, তারপরও একদিন স্বাধীনভাবে ঘোরাঘুরির আকাঙ্ক্ষা তাঁদের শেষ হয়ে যায়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বসন য়
এছাড়াও পড়ুন:
কবে আসবে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট ৫’
আলোচিত ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’–এর চারটি সিজন শেষ হয়েছে। ২০২২ সালের শেষ দিকে এই ধারাবাহিকের ৪ নম্বর সিজনের শেষ পর্ব প্রচারিত হয়। দুই বছর পর নতুন সিজনের আভাস দিলেন পরিচালক।
নিজের ফেসবুক পোস্টে যেমন দিয়েছেন, তেমনি ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া ওয়েব ফিল্ম ‘হাউ সুইট’–এও ইঙ্গিত দিয়েছেন। পরিচালক বলেন, ‘“ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৫’ কবে আসবে—এমন প্রশ্ন অনেক দিন ধরে শুনে আসছি। দর্শকদের আর অপেক্ষা করাতে চাইছি না। শিগগিরই এই সিরিজের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।’ পরিচালক কাজল আরেফিনের এই নাটকে পাশা, হাবু, শুভ, কাবিলা, রিয়া, বোরহান, জাকির, অন্তরা চরিত্রগুলো নিয়ে ফেসবুকে প্রায়ই আলোচনা হয়।
ঈদে মুক্তি পাওয়া পরিচালকের ওয়েব ফিল্ম ‘হাউ সুইট’–এর শেষ দৃশ্যে হাজির হন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’–এর পাত্র–পাত্রীরা। সিনেমার শেষে অপূর্ব ও ফারিণের সঙ্গে বিশেষ এক উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নির্মাতা এবার সমাজের মানুষের দম্ভ দেখানোর গল্প বলবেন০৩ জানুয়ারি ২০২৪তখন থেকেই আলোচিত সিরিজটির নতুন মৌসুমের গুঞ্জন জোরালো হয়। এমনকি ‘হাউ সুইট’–এর গান ও ট্রেলারের নিচে মন্তব্যের ঘরে অনেক দর্শক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’–এর নতুন মৌসুমের কথা জানতে জান। পরিচালকের কথায় এবার মিলল নতুন মৌসুমের আনুষ্ঠানিক খবর।