ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে খেলতে চাচ্ছেন পুতিন। তিনি এর মাধ্যমে সময় ক্ষেপণ করতে চান। শনিবার ইউক্রেন নিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের আগে স্টারমার এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমরা প্রেসিডেন্ট পুতিনকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চুক্তি নিয়ে খেলা করার অনুমতি দিতে পারি না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতি ক্রেমলিনের সম্পূর্ণ অবজ্ঞা কেবল এটাই প্রমাণ করে যে পুতিন শান্তির ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।”

এই সপ্তাহের শুরুতে, ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন, তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির ধারণার সাথে একমত। কিন্তু এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, যুদ্ধবিরতির প্রকৃতি নিয়ে ‘প্রশ্ন’ রয়ে গেছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “যদি রাশিয়া অবশেষে আলোচনার টেবিলে আসে, তাহলে আমাদের অবশ্যই যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে যাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত হয়। তবে যদি তারা তা না করে, তাহলে এই যুদ্ধের অবসান নিশ্চিত করার জন্য রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানোর জন্য আমাদের প্রতিটি উপায়ে চেষ্টা করতে হবে।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জাতিসংঘের দুটি আঞ্চলিক সংস্থায় নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ

থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনইএসসিএপি) ৮১তম অধিবেশনে বাংলাদেশ একটি তাৎপর্যপূর্ণ কূটনৈতিক জয়লাভ করেছে। আঞ্চলিক সহযোগিতায় ক্রমবর্ধমান নেতৃত্ব প্রদর্শন করে বাংলাদেশ ইউএনইএসসিএপির অধীন মর্যাদাবান দুটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং কাউন্সিলের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেছে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেনিং সেন্টার অন আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট (এপিসিআইসিটি) ও এশিয়া-প্যাসিফিক সেন্টার ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব ডিজাস্টার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্টের (এপিডিআইএম) গভর্নিং কাউন্সিলে তিন বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। ইউএনইএসসিএপির ৮১তম অধিবেশনের সভাপতি নির্বাচিত হন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আর বাংলাদেশের অর্থ উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সহসভাপতি নির্বাচিত হন।

উদ্বোধনী অধিবেশনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের একটি ভিডিও ভাষণ প্রচার করা হয়। ভাষণে তিনি সব ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা জোরদার করার আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টা অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণের নীতির ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন বিশ্ব গড়ার আহ্বান জানান। তিনি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

গুরুত্বপূর্ণ এই অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অর্থ উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। গভর্নিং কাউন্সিলের নির্বাচন ও বিষয়ভিত্তিক অধিবেশনের বাইরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ইউএনইএসসিএপির নির্বাহী সচিবের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করে। বৈঠকে আইসিটি উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা জোরদারসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর আলোচনা করা হয়।

এই দুটি নির্বাচনী বিজয় এ অঞ্চলে বাংলাদেশের প্রভাবশালী নেতৃত্বের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্রমবর্ধমান আস্থার প্রতিফলন। দুটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং কাউন্সিলের নির্বাচনে মূল্যবান সমর্থনের জন্য সব সদস্যরাষ্ট্রের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে। খবর-বাসস

সম্পর্কিত নিবন্ধ