ধর্ষণের প্রতিবাদকারীদের ওপর পুলিশের হামলা ও মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে ২১০ নাগরিকের বিবৃতি
Published: 15th, March 2025 GMT
অবিলম্বে ধর্ষণ ও নিপীড়নের প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচার এবং আন্দোলনকারীদের নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন দেশের ২০৮ বিশিষ্ট নাগরিক। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশের হামলা-বাধা ও মামলার তৎপরতা বন্ধ করে বিভিন্ন অপশক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শনিবার ২০৮ নাগরিক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব দাবি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ১১ মার্চ দুপুরে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে ৯ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে গণপদযাত্রা ও স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি ছিল। ওই কর্মসূচিতে নারীদের ওপর পুলিশ নগ্নভাবে আক্রমণ করেছে, কোনো নারী পুলিশের উপস্থিতিও আমরা সেখানে দেখতে পাইনি। হামলার পর আবার ১২ মার্চ পুলিশ সেই আহতদের নামে, ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৭০–৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে এজাহার দায়ের করেছে।’
ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকা সত্ত্বেও তাঁর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। ডিবি পুলিশ তাঁর বাসায় গিয়ে এই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছিল। ফেসবুকে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশ তাঁকে কিছু দূর নিয়ে এসে শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দেয় বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এই বিশিষ্ট নাগরিকেরা বলেছেন, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিভিত্তিক আন্দোলন, ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকের আন্দোলন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশকৃত সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে পুলিশের যে আক্রমণ দেখা গেছে, তা হাসিনা আমলের কথাই মনে করিয়ে দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কতিপয় চিহ্নিত গোষ্ঠী যখন দেশের লেখক, শিক্ষক, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, হত্যার হুমকি দিচ্ছে, মব সন্ত্রাস চালাচ্ছে, তখন পুলিশসহ সরকারি প্রশাসন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। আমরা সরকারের এই ভূমিকায় বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।’
বিবৃতিটিতে স্বাক্ষর করেছেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অধ্যাপক স্বপন আদনান, অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মি, অধ্যাপক রায়হান রাইন, সৈয়দ নিজার, রাজনৈতিক কর্মী হাসনাত কাইয়ুম, দৈনিক সমকালের নির্বাহী সম্পাদক আবু সাঈদ খান, অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব তুহিন খান, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, আইনজীবী মানজুর–আল–মতিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জি এইচ হাবীব, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অভিনু কিবরিয়া ইসলাম প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হাজারীবাগে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
রাজধানীর হাজারীবাগ থানার শেখ রাসেল স্কুলের পাশে বেড়িবাঁধ এলাকায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় রুহুল আমিন (২৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাত সোয়া দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে ওই যুবক মারা যান। পরে তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
নিহত রুহুল আমিন মাদারীপুরের পূর্ব থানা এলাকার চান মিয়ার ছেলে। বর্তমানে কামরাঙ্গীরচর মাতবর বাজার কাজী বাড়ি এলাকায় তিনি ভাড়া থাকতেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজারীবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ছাম্মাক হোসেন বলেন, রাতে ডিউটি করার সময় খবর পাই বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। পরের ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই রাস্তার ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এক যুবক। পরে আশপাশের লোকজনের কাছে জানতে পারি দ্রুতগতির একটি কাভার্ড ভ্যান মোটরসাইকেল থাকা ওই যুবককে ধাক্কা দিলে ঘটনা স্থলেই মারা যান। আজ সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ ও চালককে আটক করা হয়েছে।
ঢাকা/এনএইচ