চাঁদপুরে দোল উৎসবের সময় মন্দিরে ঢিল, এক পুণ্যার্থী আহত
Published: 15th, March 2025 GMT
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় একটি মন্দিরে দোল উৎসব চলার সময় কয়েক দফা ঢিল ছোড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এক নারী পুণ্যার্থী আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা সদরের রথবাজার এলাকায় জগন্নাথ দেব মন্দির চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ওই নারীর নাম বীথি রানী (৩০)। তিনি একই উপজেলার কলাদী এলাকার বাসিন্দা।
মন্দিরটির ব্যবস্থাপনা কমিটির একাধিক সদস্য ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেন, গতকাল রাত ৯টার দিকে মন্দির চত্বরে ভক্তরা গায়ে রং মেখে দোল উৎসব উদ্যাপন করছিলেন। এ সময় কয়েকজন সেখানে বেশ কয়েকটি ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে ভক্তদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা ছোটাছুটি শুরু করেন। অনেকেই ভয়ে মন্দিরের ভেতর ঢুকে পড়েন। একপর্যায়ে ঢিলের আঘাতে বীথি আহত হন। তাঁকে উদ্ধার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।
ধর্মীয় উৎসব চলাকালে এভাবে ঢিল মেরে ভক্তদের আহত করার ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন মন্দিরটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শংকর রাও নাগ। তিনি বলেন, এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। তবে কারা ঢিল মেরেছে, তা তিনি বলতে পারছেন না। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহাম্মদ বলেন, এ বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। মামলাও হয়নি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
কলকাতায় দোল উৎসবে ডেকে এনে তৃণমূলের ছাত্রনেতাকে হত্যা
পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার উপকণ্ঠ উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে আজ শুক্রবার দোল উৎসবে ডেকে এনে তৃণমূলের এক ছাত্রনেতাকে ক্ষুরের আঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ছাত্রনেতার নাম অমর চৌধুরী। তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পবন রাজভর নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আজ দুপুরে যখন দোল উৎসবের আনন্দে রং নিয়ে খড়দহে জয়শ্রী কেমিক্যালসের সামনে সবাই হোলি উৎসবে মেতে উঠেছিলেন, তখনই খুন হন অমর চৌধুরী ওরফে আকাশ চৌধুরী। দোল খেলতে তাঁকে ডেকে আনা হয়েছিল। একপর্যায়ে তাঁকে মারধর করা হয়। পরে ক্ষুরের আঘাতে তাঁকে মারা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
রক্তাক্ত অবস্থায় অমর চৌধুরীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে বিকেলেই তাঁকে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্মরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের ঘাড়ের কাছে গভীর ক্ষত রয়েছে। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
জানা গেছে, হত্যাকারীরা মোটরসাইকেলে চড়ে ঘটনাস্থলে আসে। এর মধ্যে পবন রাজভর নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কানাইয়া নামের অপর এক যুবককে ধরতে চেষ্টা করছে পুলিশ। পবন রাজভর সম্প্রতি কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়েই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
অমর চৌধুরীর পরিবারের দাবি, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিন ব্যক্তি জড়িত। পুলিশ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশের ধারণা, পূর্বশত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহত অমর চৌধুরী স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বিকাশ সিংহের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।