চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় একটি মন্দিরে দোল উৎসব চলার সময় কয়েক দফা ঢিল ছোড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এক নারী পুণ্যার্থী আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা সদরের রথবাজার এলাকায় জগন্নাথ দেব মন্দির চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ওই নারীর নাম বীথি রানী (৩০)। তিনি একই উপজেলার কলাদী এলাকার বাসিন্দা।

মন্দিরটির ব্যবস্থাপনা কমিটির একাধিক সদস্য ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেন, গতকাল রাত ৯টার দিকে মন্দির চত্বরে ভক্তরা গায়ে রং মেখে দোল উৎসব উদ্‌যাপন করছিলেন। এ সময় কয়েকজন সেখানে বেশ কয়েকটি ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে ভক্তদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা ছোটাছুটি শুরু করেন। অনেকেই ভয়ে মন্দিরের ভেতর ঢুকে পড়েন। একপর্যায়ে ঢিলের আঘাতে বীথি আহত হন। তাঁকে উদ্ধার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।

ধর্মীয় উৎসব চলাকালে এভাবে ঢিল মেরে ভক্তদের আহত করার ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন মন্দিরটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শংকর রাও নাগ। তিনি বলেন, এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। তবে কারা ঢিল মেরেছে, তা তিনি বলতে পারছেন না। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহাম্মদ বলেন, এ বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। মামলাও হয়নি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মন দ র

এছাড়াও পড়ুন:

হোলি উৎসবে রঙ ও লাঠি নাচে মেতেছেন চা শ্রমিকরা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব দোল পূর্ণিমা বা হোলি। হবিগঞ্জ জেলার ৪১টি চা বাগানে শ্রমিকরা নেচে-গেয়ে ও রঙ ছিটিয়ে হোলি উৎসব উদযাপন করছেন। শুক্রবার (১৪ মার্চ) শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে রোববার (১৬ মার্চ) পর্যন্ত। 

চা বাগানের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সব বয়সী শ্রমিকরা এ হোলি উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। তবে, শিশুদের মধ্যে উৎসাহ বেশি দেখা গেছে। 

চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি চা বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, শিশু ও তরুণ-তরুণীরা বোতলে রঙ ভরে নিয়ে হোলি খেলায় মেতেছেন। তার সঙ্গে চলছে লাঠি নিয়ে নাচ ও গান। প্রথমে রঙ ছিটানো হয় ও পরে দুই দলে বিভক্ত হয়ে লাঠি নিয়ে নাচ করা হয়। এক জনকে গান গাইতে দেখা যায়। তার সঙ্গে মাদল বাজাচ্ছেন আরেকজন। 

দেউন্দি চা বাগানের প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, হোলি হিন্দু বৈষ্ণবদের উৎসব। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা ও তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকে দোল খেলার উৎপত্তি।

তিনি বলেন, চৈত্র মাসে দোল উৎসব উপলক্ষে লাঠি নাচ ও গান হয়। লাঠি নাচের বিভিন্ন ধরন আছে, সেগুলো হলো—পিঠজোড়নি, সন্ধিবেঠ, তিন ডাড়িয়া, ছেটরা, রেখনি প্রভৃতি। 

সুনীল বিশ্বাস জানান, হোলি উপলক্ষে চা বাগানে চলছে তিন দিনের ছুটি। এই দিন ধরেই হবে হোলি উৎসব। শুধু তাই নয়, পুরো চৈত্র মাস ধরে চলে দোল পূর্ণিমার আনন্দ।

চা বাগানের বাসিন্দা আমোদ মাল বলেন, বাগানের শ্রমিকরা হোলি উৎসবে মেতে উঠেছে। দেউন্দি বাগানে প্রতি বছর গুরুত্ব সহকারে এ উৎসব উৎযাপন করা হয়ে থাকে। এ বছরও সেভাবেই হচ্ছে।

একইভাবে হোলি উৎসব চলছে চান্দপুর, চন্ডিছড়া, নালুয়া, আমু, লস্করপুর, চাকলাপুঞ্জি, রেমা, পারকুল, শ্রীবাড়ি, দেউন্দি, তেলিয়াপাড়া, জগদীশপুর, সুরমা, আমতলী, রশিদপুর, মধুপুরসহ জেলার ৪১টি চা বাগানে।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাঙালির রঙের উৎসব দোল পূর্ণিমা
  • হোলি উৎসবে বন্ধ হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি
  • প্রথমবার কানে যাচ্ছেন আলিয়া
  • সিয়াম চমক, বুবলীর ঝলক
  • পূর্ণসেবা ও নতুন শিষ্যত্ব দিয়ে ভাঙল সাধুর হাট
  • কলকাতায় দোল উৎসবে ডেকে এনে তৃণমূলের ছাত্রনেতাকে হত্যা
  • হোলি উৎসবে রঙ ও লাঠি নাচে মেতেছেন চা শ্রমিকরা
  • দিবার ঈদ কালেকশনে যা থাকছে
  • দোল পূর্ণিমায় শেষ হলো একদিনের লালন স্মরণোৎসব