ফরিদপুরের সদরপুরে ঋণের চাপে সিদ্দিক মল্লিক (৪৫) নামে এক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবি গ্রামের পরিত্যক্ত ভিটায় আম গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ দেখা যায়। 

নিহত সিদ্দিক ওই এলাকার মুসা মল্লিকের ছেলে। খবর পেয়ে সদরপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৪ মার্চ) ইফতারের পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিদ্দিক বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। রাতে তিনি বাড়ি আসেননি। আজ শনিবার সকাল ৭টার দিকে মহিলারা ফসলী জমিতে কাজ করতে গেলে জমির পাশে পরিত্যক্ত ভিটার আম গাছের ডালের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে।

আরো পড়ুন:

কৃষকদলের কমিটিতে আ.

লীগ নেতা, প্রতিবাদে ১০ জনের পদত্যাগ

হাওরে কাঁচা মরিচ চাষে লোকসানের মুখে চাষিরা

কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গফফার শিকদার জানান, সিদ্দিক একাধিক এনজিওর কাছে ৭-৮ লাখ টাকা ঋণগ্রস্ত ছিলেন। দীর্ঘদিন ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এ কারণে হতাশা থেকে আত্মাহত্যা করতে পারেন।

এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। 

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোতালেব জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত ছাড়া এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা, সেটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না।

ঢাকা/তামিম/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ রায় ঘোষণা করেছেন।

রায় ঘোষণার আগে আনোয়ার হোসেনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমের মাকে তালাক দেন তার বাবা। এরপর ২০১৫ সালে আনোয়ার হোসেনকে বিয়ে করেন ভিকটিমের মা। দুই সন্তানকে নিয়ে মাদারীপুরে বাবার বাড়িতে থাকতেন তিনি। আনোয়ার হোসেন একা সংসার চালাতে পারছিলেন না। ভিকটিমের মা ঢাকায় এসে গৃহকর্মীর কাজ শুরু করেন। তার দ্বিতীয় সংসারে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তাকে দেখাশোনার জন্য কেউ ছিল না। আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলে ভিকটিমকে ঢাকায় নিয়ে আসেন তার মা। হঠাৎ ভিকটিমের মাকে আনোয়ার হোসেন জানিয়ে দেন, তিনি সংসারের খরচ দিতে পারবেন না। সন্তানদের কথা চিন্তা করে আনোয়ার হোসেনকে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তালাক দেন ভিকটিমের মা। ৪ আগস্ট বাসায় এসে আনোয়ার হোসেন ভয় দেখিয়ে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ভিকটিমের মা ২০ সেপ্টেম্বর আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ছয় জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ