হঠাৎ গাড়িতে আগুন, পারশা বললেন, ‘কীভাবে যে বেঁচে গেছি’
Published: 15th, March 2025 GMT
আজ শনিবার এক সড়ক দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন এই সময়ের আলোচিত গায়িকা, অভিনেত্রী পারশা মাহজাবীন। জানা গেছে, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে বনানীর স্টুডিওতে যাওয়ার সময় তিনি যে গাড়িতে করে রাস্তায় বের হয়েছিলেন, সেটিতে আগুন ধরে যায়। দ্রুত গাড়ির দরজা খুলে বের হতে পারায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি। নিজের ফেসবুকে খবরটি জানিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন পারশা।
আজ দুপুরে ফেসবুকে পারশার দেওয়া এক পোস্টে লেখা ছিল এ রকম, ‘কিছুক্ষণ আগে কুর্মিটোলা হাসপাতালের সামনে আমার উবারে আগুন ধরে যায়। ধোঁয়াতে আমার গলা এখনো জ্বলছে। প্রথম কিছুক্ষণ গাড়ির দরজাটাও খুলতে পারিনি। আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছিল! কীভাবে যে বেঁচে গেছি!’
আরও পড়ুনপ্রীতম, তিশা, পারশার ‘ঘুমপরী’ কতটা জমল০৬ মার্চ ২০২৫পারশা মাহজাবীন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি সিলেটে গ্রেপ্তার
রূপগঞ্জের আলোচিত সাত বছরের শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি মো. ইব্রাহিম (৫৩) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় সিলেট জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানার জয়নগর মাযাইর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ এবং র্যাব-৯, সুনামগঞ্জ এর যৌথ আভিযানিক দল।
গ্রেপ্তারকৃত ইব্রাহিম সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানার জয়নগর মাযাইর গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালিবের ছেলে। এবং রূপগঞ্জের রুপসী বাগানবাড়ি এলাকায় রুবেল এর বাড়ির ভাড়াটিয়া। পেশায় একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-১১ ব্যাটেলিয়ান সদর দফতরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক স্কোয়াড কমান্ডার মো. শামসুর রহমান জানান, রূপগঞ্জে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় মামলা হলে আসামি ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা ও গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র্যাব।
পরে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে র্যাব-৯, সুনামগঞ্জ এর সহযোগীতায় যৌথ অভিযান চালিয়ে ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাকে জেলার রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার রূপসি বাঘবাড়ি এলাকায় চকলেট কিনে দেবার কথা বলে নিজ দোকানের ভেতরে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ইব্রাহিম। এসময় শিশুটি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে ইব্রাহিম সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্ত ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এলাকাবাসী রাত নয়টা থেকে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে রাত এগারোটায় রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম এবং জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) মেহেদী ইসলাম সহ থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
পরে তারা শিশুটিকে উদ্ধার করলে ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য রাতেই পুলিশ হেফাজতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার পরদিন ১৪ মার্চ (শুক্রবার) ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার বাদী হয়ে ইব্রাহিমকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হলে বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হয়।