ময়মনসিংহে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ
Published: 15th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহ নগরীতে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে নির্মাণশ্রমিক যুবককে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় লোকজন। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। যুবককে আজ শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম আমিনুল ইসলাম (২৫)। তিনি কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তাঁর বাড়ি। নগরীর মাসকান্দা এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে শ্রমিকের কাজ করেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশু বাসায় ফেরার পথে উত্ত্যক্ত করেন আমিনুল ইসলাম। স্থানীয় লোকজন তা দেখে যুবকটিকে আটক করেন। তাঁকে আটকে মারধর করা হয়। এক মাস আগেও একই এলাকার আরেক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করেছিলেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে প্রথমে পুলিশের হাতে দিতে চাননি। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে রাতেই থানায় একটি মামলা করেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য বকক
এছাড়াও পড়ুন:
প্যারোলে মুক্তি পেলেও বাবার জানাজায় অংশ নিতে পারেননি যুবলীগ নেতা
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সাড়ে তিন ঘণ্টার প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার জানাজায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন যুবলীগের এক নেতা। কিন্তু বাড়িতে পৌঁছার আগেই জানাজা সম্পন্ন হয়ে যায়। তবে শেষবারের মতো বাবাকে একনজর দেখতে পারেন তিনি।
উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সদস্য সোহাগ মিয়াকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়। তার পর থেকে তিনি কারাগারে। সোহাগ রাজিবপুর ইউনিয়নের মাইজহাটি গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। গতকাল বুধবার সকাল সাতটায় নিজ বাড়িতে মারা যান আবু বক্কর সিদ্দিক (৫৩)। এরপর সোহাগ মিয়া যেন বাবার জানাজায় অংশ নিতে পারেন, সে জন্য প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন তাঁর মা ফজিলা খাতুন। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলমের কাছে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিকেল পাঁচটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় সোহাগকে। বিকেল পাঁচটায় ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশি তত্ত্বাবধানে সোহাগকে বের করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সোহাগ বাড়িতে পৌঁছান।
এদিকে বিকেল সোয়া পাঁচটায় নির্ধারিত সময়ে শাহগঞ্জ বাজারসংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে জানাজা হয় আবু বক্কর সিদ্দিকের। জানাজায় অংশ নিতে পারেননি সোহাগ। পরে লাশ নিয়ে বাড়ির আঙিনায় অপেক্ষা করতে থাকেন স্বজনেরা। সোহাগ পুলিশি নিরাপত্তায় বাবার লাশের কাছে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় আশপাশের মানুষ ভিড় শুরু করলে পুলিশ সদস্যরা সোহাগ মিয়াকে সেখান থেকে সরিয়ে নেন। রাত রাত সাতটার দিকে দাফন করা হয় আবু বকর সিদ্দিককে।
সোহাগ মিয়াকে প্যারোলে বের করার প্রক্রিয়ায় পরিবারকে সহযোগিতা করেন স্থানীয় বাসিন্দা জনি দে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সোহাগকে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা একটি মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। সোহাগের ভাই শারীরিক প্রতিবন্ধী। প্যারোলে মুক্তি পেতে আমি সহযোগিতা করেছি। কাগজপত্র প্রস্তুত করতে সময় লেগে যায়। বিকেল পাঁচটায় সোহাগকে কারাগার থেকে বের করে বাড়িতে নিয়ে যায় পুলিশ। মৃত বাবাকে শেষবারের মতো দেখলেও জানাজায় অংশ নিতে পারেনি সোহাগ।’
সোহাগের চাচাতো ভাই রাজিরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম সম্প্রতি প্রবাসে গিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার ভাই শাহগঞ্জ বাজারে ছোট একটি দোকান করে সংসার চালায়। রাজনৈতিক মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।’
রাজিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য মুসলিম উদ্দিন বলেন, ‘জানাজার সময় পূর্বনির্ধারিত ছিল এবং লোকজনও চলে আসে। আমরা খবর নিয়ে জানতে পারি সোহাগের পৌঁছাতে সন্ধ্যার পার হয়ে যাবে। রোজার দিন; পরে জানাজায় লোক পাওয়া যাবে না। এ কারণে নির্ধারিত সময়ে জানাজা সম্পন্ন করা হয়।