রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্রীড়াঙ্গনে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথমবারের মতো যুক্ত হচ্ছে আর্চারি (তীরন্দাজ) খেলা। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সকাল সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে খেলাটির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

সালেহ্ হাসান নকীব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন ও অধ্যাপক ড. মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান, আর্চারি ফেডারেশনের সদস্য ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফরিদুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল, আর্চারি ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, আর্চারি ফেডারেশনের কোর্চ মার্টিন ফ্রেডরিক প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

রাবিতে এক ছাদের নিচে ছাত্রদল-শিবির-বাম

শিবির নেতা নোমানী হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ

আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল বলেন, “স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা আর্চারি খেলতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন পারবে না? সেই জায়গা থেকেই আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্চারি খেলা চালু করেছি।”

তিনি বলেন, “আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও চালু করবো। আমরা চেষ্টা করবো বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এ খেলা চালু করার। আমাদের দক্ষ একজন কোচ রয়েছে, যার পরামর্শে শিক্ষার্থীরা অনুশীলন করলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করবে বলে আমি আশাবাদী।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সালেহ হাসান নকীব বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলায় ভালো অবদান রাখছে। দেশের মধ্যে আর্চারি খেলার প্রচলন বেশি একটা না থাকলেও আন্তজার্তিক পরিমণ্ডলে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বিশ্ব পরিমণ্ডলে আর্চারি খেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে।”

তিনি বলেন, “আর্চারি ফেডারেশনের সহযোগিতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়াঙ্গনে আজ থেকে আর্চারি খেলার যাত্রা শুরু হলো। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত অনুশীলন করলে আর্চারিতেও ভালো করবে।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য আর চ র

এছাড়াও পড়ুন:

মৌলিক সংস্কারের ভিত্তি এই সরকারের সময়েই তৈরি করতে হবে: নাহিদ

মৌলিক সংস্কারের ভিত্তি এই সরকারের সময়েই তৈরি করতে হবে বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, জনগণের কাছে সংস্কারের যে প্রতিশ্রুতি, সংস্কারের যে ধারাবাহিকতা তা বাস্তবায়নের জন্য জুলাই সনদ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

আজ শনিবার দুপুরে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক করে বেরিয়ে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন নাহিদ ইসলাম। হোটেল ইন্টারকনটিনেন্টালে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে নাহিদের পাশাপাশি যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন অংশ নেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশের গণতন্ত্র যে একটি সংস্কারপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সেটাই বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে। সংস্কার কমিশনের প্রধানেরা তাদের নিজ নিজ নিজ সংস্কার প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ পরিকল্পনা তুলে ধরেছিলেন। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা সংস্কার বিষয়ে তাঁদের দলীয় অবস্থান তুলে ধরেছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টি মনে করে জনগণের কাছে বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি হলো বিচার ও সংস্কার। মৌলিক সংস্কারের ভিত্তি এই সরকারের সময়েই তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি জনগণের কাছে সংস্কারের যে প্রতিশ্রুতি, সংস্কারের যে ধারাবাহিকতা, তা বাস্তবায়নের জন্য জুলাই সনদে দ্রুত বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।

সংবিধান সংস্কার নিয়ে এনসিপির অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সংবিধান সংস্কার বিষয়ে আমাদের অবস্থান হলো, গণপরিষদের মাধ্যমেই সংস্কার করতে হবে, অন্যথায় সংসদের সংবিধান সংস্কার টেকসই হবে না, বাংলাদেশের ইতিহাস থেকেও এটাই দেখতে পাই। আমরা আমাদের এই দলীয় অবস্থান সংক্ষেপে বলেছি। জাতিসংঘ মহাসচিবের চাওয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো ও সরকার যেন নিজেরাই সমঝোতায় আসে, একটা ঐক্যমতে আসে এবং একসঙ্গে কাজ করেন।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা মনে করি এবং বলেছি, নির্বাচনকে আমরা একটি সংস্কারের প্রক্রিয়া হিসেবে দেখি, সংস্কারের ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখি। কোনো রকম সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কাজে দেবে না। অন্য সব রাজনৈতিক দলও এই কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। এখানে মতপার্থক্য হচ্ছে, কোন সংস্কারটা কখন হবে, নির্বাচনের আগে কতটুকু হবে, নির্বাচনের পরে কতটুকু হবে। আমরা মনে করি, জুলাই সনদের মধ্যে এর বাস্তবায়ন হলে যে মতপার্থক্যগুলো আছে, সেগুলো কেটে যাবে। আমরা ঐক্যমতে আসতে পারব।’

সংবিধান পরিবর্তনের বিষয়ে কোনো আলোচনা করেছেন কি না, জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখানে বিস্তারিত আলাপের সুযোগ ছিল না। সংস্কার বিষয়ে সামগ্রিক আলোচনা হয়েছে। গণপরিষদ ছাড়া সংবিধানের মৌলিক কোনো পরিবর্তন টেকসই হবে না বলে মনে করে এনসিপি। সেই জায়গা থেকে আমরা গণপরিষদ নির্বাচন চাচ্ছি। সামনের যে জাতীয় নির্বাচন, সেটা একই সঙ্গে আইনপরিষদ ও গণপরিষদ নির্বাচন, পাশাপাশি আমরা বিচারের বিষয়টা বলেছি।’

বিচারের বিষয়ে জাতিসংঘের কোনো সহযোগিতা চেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের কাছে বিচার ও সংস্কার বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছি। ধন্যবাদ জানিয়েছি। জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, আমরা যেন নিজেরা ঐক্যমতে আসতে পারি। আমরা যদি নিজেরা ঐক্যমতে আসতে পারি, তারা তাদের জায়গা থেকে সহযোগিতা করবে।’

১৩ মার্চ বিকেলে চারদিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। দ্বিতীয় দিনে গতকাল দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থীশিবিরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ