অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নারের ভারতীয় সিনেমার প্রতি ভালবাসা নতুন নয়। বিভিন্ন সময় তাকে দেখা গেছে বলিউড ও দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার গানে তাল মেলাতে। বিশেষ করে ‘পুষ্পা’ সিনেমার ‘শ্রীভাল্লি’ গানে নাচের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল। এবার সেই প্রেম বাস্তব রূপ নিচ্ছে। সিনেমায় অভিষেক ঘটাতে চলেছেন এই অজি ওপেনার।

তেলুগু ভাষার সিনেমা ‘রবিনহুড’-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে ওয়ার্নারকে। এই সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন তেলুগু সিনেমার জনপ্রিয় দুই তারকা নীতীন ও শ্রীলীলা। শুক্রবার (১৫ মার্চ) মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটির নতুন পোস্টার, যেখানে পেশাদার অভিনেতার মতোই দেখা যাচ্ছে ওয়ার্নারকে। পোস্টারে তাকে স্বাগত জানিয়ে লেখা হয়েছে, ‘বাউন্ডারি থেকে বক্স অফিস, ভারতীয় সিনেমায় স্বাগতম।’

এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্টারটি শেয়ার করে ওয়ার্নার নিজেই সিনেমায় পা রাখার ঘোষণা দেন। তিনি লেখেন, ‘ভারতীয় সিনেমা, আমি আসছি! ‘রবিনহুড’-এর অংশ হতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত। শুটিংয়ের সময়টা দারুণ উপভোগ করেছি।’

Indian Cinema, here I come ????

Excited to be a part of #Robinhood.

Thoroughly enjoyed shooting for this one.

GRAND RELEASE WORLDWIDE ON MARCH 28th.@actor_nithiin @sreeleela14 @VenkyKudumula @gvprakash @MythriOfficial @SonyMusicSouth pic.twitter.com/eLFY8g0Trs

— David Warner (@davidwarner31) March 15, 2025

সিনেমাটি পরিচালনা করছেন ভেঙ্কি কুদুমুলা। মুক্তির তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ২৮ মার্চ। তবে ওয়ার্নারের চরিত্র নিয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

আইপিএলের সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে সাত মৌসুমে ৯৫ ম্যাচ খেলা ওয়ার্নার তেলেগু ভাষাভাষী অঞ্চলে দারুণ জনপ্রিয়। তার নেতৃত্বেই একমাত্র শিরোপা জেতে হায়দরাবাদ। এবারের আসরে যদিও কোনো দল তাকে দলে নেয়নি, তবে তেলেগুভক্তরা তাকে নতুন রূপে বড় পর্দায় দেখতে পেয়ে খুশিই হবেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন ম হল

এছাড়াও পড়ুন:

মৌলিক সংস্কারের ভিত্তি এই সরকারের সময়েই তৈরি করতে হবে: নাহিদ

মৌলিক সংস্কারের ভিত্তি এই সরকারের সময়েই তৈরি করতে হবে বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, জনগণের কাছে সংস্কারের যে প্রতিশ্রুতি, সংস্কারের যে ধারাবাহিকতা তা বাস্তবায়নের জন্য জুলাই সনদ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

আজ শনিবার দুপুরে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক করে বেরিয়ে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন নাহিদ ইসলাম। হোটেল ইন্টারকনটিনেন্টালে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে নাহিদের পাশাপাশি যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন অংশ নেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশের গণতন্ত্র যে একটি সংস্কারপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সেটাই বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে। সংস্কার কমিশনের প্রধানেরা তাদের নিজ নিজ নিজ সংস্কার প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ পরিকল্পনা তুলে ধরেছিলেন। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা সংস্কার বিষয়ে তাঁদের দলীয় অবস্থান তুলে ধরেছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টি মনে করে জনগণের কাছে বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি হলো বিচার ও সংস্কার। মৌলিক সংস্কারের ভিত্তি এই সরকারের সময়েই তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি জনগণের কাছে সংস্কারের যে প্রতিশ্রুতি, সংস্কারের যে ধারাবাহিকতা, তা বাস্তবায়নের জন্য জুলাই সনদে দ্রুত বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।

সংবিধান সংস্কার নিয়ে এনসিপির অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সংবিধান সংস্কার বিষয়ে আমাদের অবস্থান হলো, গণপরিষদের মাধ্যমেই সংস্কার করতে হবে, অন্যথায় সংসদের সংবিধান সংস্কার টেকসই হবে না, বাংলাদেশের ইতিহাস থেকেও এটাই দেখতে পাই। আমরা আমাদের এই দলীয় অবস্থান সংক্ষেপে বলেছি। জাতিসংঘ মহাসচিবের চাওয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো ও সরকার যেন নিজেরাই সমঝোতায় আসে, একটা ঐক্যমতে আসে এবং একসঙ্গে কাজ করেন।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা মনে করি এবং বলেছি, নির্বাচনকে আমরা একটি সংস্কারের প্রক্রিয়া হিসেবে দেখি, সংস্কারের ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখি। কোনো রকম সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কাজে দেবে না। অন্য সব রাজনৈতিক দলও এই কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। এখানে মতপার্থক্য হচ্ছে, কোন সংস্কারটা কখন হবে, নির্বাচনের আগে কতটুকু হবে, নির্বাচনের পরে কতটুকু হবে। আমরা মনে করি, জুলাই সনদের মধ্যে এর বাস্তবায়ন হলে যে মতপার্থক্যগুলো আছে, সেগুলো কেটে যাবে। আমরা ঐক্যমতে আসতে পারব।’

সংবিধান পরিবর্তনের বিষয়ে কোনো আলোচনা করেছেন কি না, জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখানে বিস্তারিত আলাপের সুযোগ ছিল না। সংস্কার বিষয়ে সামগ্রিক আলোচনা হয়েছে। গণপরিষদ ছাড়া সংবিধানের মৌলিক কোনো পরিবর্তন টেকসই হবে না বলে মনে করে এনসিপি। সেই জায়গা থেকে আমরা গণপরিষদ নির্বাচন চাচ্ছি। সামনের যে জাতীয় নির্বাচন, সেটা একই সঙ্গে আইনপরিষদ ও গণপরিষদ নির্বাচন, পাশাপাশি আমরা বিচারের বিষয়টা বলেছি।’

বিচারের বিষয়ে জাতিসংঘের কোনো সহযোগিতা চেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের কাছে বিচার ও সংস্কার বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছি। ধন্যবাদ জানিয়েছি। জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, আমরা যেন নিজেরা ঐক্যমতে আসতে পারি। আমরা যদি নিজেরা ঐক্যমতে আসতে পারি, তারা তাদের জায়গা থেকে সহযোগিতা করবে।’

১৩ মার্চ বিকেলে চারদিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। দ্বিতীয় দিনে গতকাল দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থীশিবিরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ