২০ লাখ জাল টাকাসহ গ্রেপ্তার ৩, দুদিনের রিমান্ডে
Published: 15th, March 2025 GMT
ঢাকার কামরাঙ্গীরচর ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ জাল টাকা জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা দুই দিনের রিমান্ডে আছেন। পুলিশ বলছে, তাঁরা জাল নোট তৈরি চক্রের সদস্য।
আজ শনিবার মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন সুমন (৩৮), সুলতানা (২৮) ও হানিফ গাজী (৪৮)। তাঁদের কাছ থেকে ৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকার জাল নোটও উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই ছিল আংশিক প্রিন্ট করা ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট।
ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো.
জসিম উদ্দিন আরও বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দেহ তল্লাশি করে ১০০০ ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের মোট চার লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী গ্যাসলাইন নামের এলাকায় সুমনের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে ১০০০ ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের ১৬ লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে আংশিক প্রিন্ট করা জাল নোটগুলোও উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার আশায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের জাল নোট তৈরি করে রাজধানীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রয় করছিলেন। তাঁরা ঈদ সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ জাল নোট তৈরি করে সেগুলো নিজেদের হেফাজতে রেখেছিলেন।
গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেছে পুলিশ।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন: সেই ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের আবেদন
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাক মিয়ার বিরুদ্ধে ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৫০১ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো. সোহানুর রহমান এই আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেনের (গালিব) আদালত ৯ এপ্রিল তার উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর ওপর শুনানির দিন ধার্য করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনে বলা হয়, লাক মিয়া চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকা মূল্যের সম্পত্তির মালিকানা অর্জন ও দখলে রেখে এবং তাঁর নামে ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৫০১ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে যে, গত বছরের ২৭ আগস্ট আসামি মো. লাক মিয়া নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার এক মামলায় আটক আছেন। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে জেল হাজতে আটক আসামি লাক মিয়াকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন। তা না হলে আসামি তার উল্লিখিত অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করার সুযোগ পাবেন।
৬ মার্চ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাক মিয়া ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।