পাবনার দুই অসহায় এতিম শিশুর দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
Published: 15th, March 2025 GMT
মায়ের পেটে থাকতেই দুর্ঘটনায় মারা যান বাবা। আর জন্মের দিনই মা ফেলে চলে গেছেন অন্যত্র। এরপর থেকেই মানবেতর জীবন পার করছে এই দুই এতিম শিশু। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন ভিডিও দেখে পাবনার আটঘরিয়ার সেই দুই শিশুর দায়িত্ব নিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে আটঘরিয়ার চাঁদভা ইউনিয়নের সঞ্জয়পুর গ্রামে গিয়ে ‘আমরা বিএনপির পরিবার’ এর পক্ষ থেকে তাদের হাতে তারেক রহমানের অনুদান তুলে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে তাদের ধারাবাহিকভাবে মাসিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, চার বছর আগে সঞ্জয়পুর গ্রামের রাজু প্রামাণিকের ছেলে আলতাফ প্রামাণিক এক শিশু ছেলে ও গর্ভবতী স্ত্রী রেখে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এর কয়েক মাস পর স্ত্রী লাভলী দ্বিতীয় সন্তান প্রসব করেই ওইদিনই তাদের ছেড়ে চলে যান, আর খোঁজখবর নেননি।
অসহায় দুই শিশুর দায়িত্ব নেন তাদের দাদা দরিদ্র রাজু প্রামাণিক। বাড়ির সাথে ছোট একটা দোকানই তার আয়ের উৎস। কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবন। তাদের এমন করুণ অবস্থার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি দাগ কাটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মনে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে দুই শিশুকে খুঁজে বের করতে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’কে নির্দেশনা দেন।
অসহায় এই পরিবারের সাথে সাক্ষাৎকালে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহমর্মিতার বার্তা ও তাদের জন্য আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন। এছাড়া মোবাইল ফোনে ঢাকা থেকে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন অসহায় এই পরিবারের খোঁজ-খবর নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য মাসুদ রানা লিটন, পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, পাবনা জেলা জাসাস-এর আহ্বায়ক খালেদ হোসেন পরাগ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি জামিল হোসেন, চাঁদভা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হারুন-অর-রশিদ ও পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন বলেন, “মানবিক সংগঠন আমরা বিএনপি পরিবার এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান। সংগঠনের উদ্দেশ্য হলো বিএনপির নির্যাতিত নেতাকর্মী, গুম খুনের শিকার বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। এছাড়া সমাজের অনেক অসহায় পরিবার আছে যারা ঠিকমতো খেতে পায় না, পরিবারের সন্তান হারিয়েছে, এমন কিছু মানবিক বিষয়ে তারেক রহমান সহযোগিতা করে থাকেন। তারই নির্দেশে আজ আমরা পাবনার এই দুই অসহায় শিশুর পাশে দাঁড়িয়েছি। তারেক রহমান লন্ডনে থাকলেও, তার মন প্রাণ সবসময় বাংলাদেশেই আছে। এদেশের মানুষের কথা তিনি ভাবেন।”
ঢাকা/শাহীন/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র ক রহম ন পর ব র র র সদস য রহম ন র ব এনপ র অসহ য়
এছাড়াও পড়ুন:
আদালতের ভেতরে পুলিশকে মারধর, বিএনপির ৬ নেতাকর্মী আটক
পাবনায় আদালতের ভেতরে শুনানি চলাকালে ভিডিও ধারণ করতে বাধা দেওয়ায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের ফতে মোহাম্মদপুর নিউ কলোনী এলাকার মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে আওয়াল কবির (৩৮), হাবিবুর রহমানের ছেলে সরোয়ার জাহান শিশির (৩৩), দাশুড়িয়া গ্রামের মৃত আমজাদ খানের ছেলে কালাম খান (৪০), এম এস কলোনী এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে রুবেল হোসেন (৩৩), লোকোসেড গাউছিয়া মসজিদ এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে সবুজ হোসেন (৩৫) এবং ভাঁড়ইমারী বাঁশেরবাদা গ্রামের মৃত আব্দুল গাফফার সরদারের জহুরুল ইসলাম (৩৫)।
তাদের মধ্যে আওয়াল কবির ঈশ্বরদী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক, সরোয়ার জাহান শিশির পৌর ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রত্যাশী, কালাম খান দাশুড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, রুবেল হোসেন পৌর ৪নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এবং জহুরুল ইসলাম ডালিম সলিমপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর ঈশ্বরদীতে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সময় নাশকতা একটি মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলায় আটককৃতরা হাজিরা দিতে এসেছিলেন। হাজিরা চলা অবস্থায় তারা এজলাসে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে থাকেন। এসময় সেখানে থাকা পুলিশ সদস্য শাহ আলম তাদের ছবি তুলতে বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে মারধর করেন ওইসব নেতাকর্মীরা।
এসময় আদালতের আইনজীবী ও উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করেন এবং হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে আদালতের শুনানি শেষে তাদের আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিদর্শক ( কোর্ট ইন্সপেক্টর) রাশেদুল ইসলাম জানান, সঙ্গে সঙ্গে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পাবনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আইনজীবী মাসুদ খন্দকার বলেন, “আদালতের এসলাসে এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়ার মত নয়। বিএনপির কেউ যদি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/শাহীন/এস