সুপার ওভারে সাধারণত দেখা যায় ব্যাটিং ঝড়, চার-ছয়ের ফুলঝুরি। কিন্তু শুক্রবার মালয়েশিয়ায় ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে ঘটে গেল অবিশ্বাস্য এক ঘটনা। বাহরাইন ও হংকংয়ের মধ্যকার ম্যাচে সুপার ওভারে রানের খাতাই খুলতে পারেনি বাহরাইন—যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এবারই প্রথম।

প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৯ রান করে হংকং। জবাবে সমান ১২৯ রান করে বাহরাইনও। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে ব্যাট করতে নামা বাহরাইন শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায়। হংকংয়ের পেসার ইহসান খান প্রথম বল ডট দেওয়ার পর পরপর দুই বলে তুলে নেন দুই উইকেট। সুপার ওভারের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দলের দুই উইকেট পড়ে গেলে ইনিংস শেষ। ফলে শূন্য রানেই গুঁটিয়ে যায় বাহরাইন।

জয়ের জন্য ১ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামে হংকং। প্রথম দুই বল ডট খেলেও তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন বাবর হায়াত।

টি-টোয়েন্টি সুপার ওভারে এটাই এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। এর আগে সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ১ রান—যেটি ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় সুপার ওভারে করেছিল আফগানিস্তান। ওই ম্যাচে প্রথম সুপার ওভারে উভয় দল ১৬ রান করে। দ্বিতীয় সুপার ওভারে ভারতের দেওয়া ১১ রানের জবাবে আফগানরা করেছিল মাত্র ১ রান।

ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত চারবার সুপার ওভারের দেখা মিলেছে। ২০২২ সালের নভেম্বরে পাকিস্তান ২ রান করেছিল—যা ওয়ানডে সুপার ওভারে সর্বনিম্ন রেকর্ড।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ন কর প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

জুনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন চায় ছাত্র অধিকার পরিষদ

মে মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে আগামী জুনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন চেয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। একই সঙ্গে ডাকসুকে নিয়মিত ক্যালেন্ডার ইভেন্ট করার দাবিও জানিয়েছে তারা। 

গতকাল বুধবার দুপুরে ডাকসুর সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম কমিটমেন্ট ছিল সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া। কিন্তু বর্তমানে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর প্রভাবে ডাকসু নির্বাচন না দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। পেশিশক্তি ও কালো টাকার রাজনীতিমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে হলে নিয়মিত ক্যালেন্ডারে ডাকসু নির্বাচন দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, মে মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করে জুনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন দিতে হবে। যদি কোনো মহল ডাকসু নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করে, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও যদি এমন করে, তাহলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ