প্রতিমা ভাঙার ঘটনায় ছেলেকে ধরিয়ে দিলেন বাবা
Published: 15th, March 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম জাকির হোসেন (২৫)। গতকাল শুক্রবার রাতে ওই যুবককে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন তাঁর বাবা। আজ শনিবার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার জাকির হোসেন রায়পুর উপজেলার চরমোহনা ইউনিয়নের মনির আহাম্মদের ছেলে। মনির আহাম্মদ জানান, ৮ থেকে ১০ বছর ধরে তাঁর ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। প্রায় সময় ছেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যান। মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরে ছেলের জড়িত থাকার বিষয়টি পুলিশের কাছ থেকে শুনেছেন। এরপর ছেলেকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে মুখে রুমাল বেঁধে রায়পুর পৌর শহরের শ্রীশ্রী মহামায়া মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করেন এক যুবক। মন্দিরের বাইরের একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হামলাকারী জাকির হোসেনকে শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সাহা বাদী হয়ে জাকির হোসেনকে আসামি করে মামলা করেন।
জাকির হোসেনকে শনাক্ত করার পর পুলিশ তাঁর বাবা মনির আহাম্মদকে বিষয়টি জানায়। ছেলেকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করতে বলা হয়। এরপর ছেলের খোঁজ করতে থাকেন মনির আহাম্মদ। একপর্যায়ে তিনি জানতে পারেন, বাড়ির পাশের একটি সুপারিবাগানে অবস্থান করছেন জাকির। সেখান থেকে জাকিরকে ধরে এনে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন তিনি।
জানতে চাইলে রায়পুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জামিলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর পুলিশের কয়েকটি দল চরমোহনা গ্রামে অবস্থান করে। পরে বাবার সহযোগিতায় জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাকির প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মন দ র র
এছাড়াও পড়ুন:
মার্চ তো বটেই, এপ্রিলের শুরুতেও বুমরাহকে পাবে না মুম্বাই
আইপিএল শুরুর আগেই বড় ধাক্কা খেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। দলের সেরা অস্ত্র, পেস আক্রমণের ভরসা জাসপ্রিত বুমরাহকে প্রথম কয়েকটি ম্যাচে পাচ্ছে না ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। মার্চের পুরোটা তো বটেই, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেও তার মাঠে নামার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে ক্রিকেট মহল।
ভারতের তারকা পেসার এখনো বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে (এনসিএ) পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন। বিসিসিআই-এর মেডিকেল টিম এখনো তাকে পুরোপুরি ফিট ঘোষণা করেনি। ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত মুম্বই দলে যোগ দেওয়া সম্ভব নয় তার জন্য।
২০২৩ সালে পিঠের অস্ত্রোপচারের পর এটিই তার প্রথম বড় ধাক্কা। সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনি টেস্টে বোলিং করতে গিয়েই পুরনো চোটে ভুগতে শুরু করেন তিনি। এরপর থেকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে তাকে দেখা যায়নি।
আরো পড়ুন:
প্রিমিয়ার লিগে বোলারদের দিন
‘ব্যাট অথবা বল হাতে, সবচেয়ে দরকারি মুহূর্তে মাহমুদউল্লাহ পারফর্ম করেছে’
২৩ মার্চ চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের আইপিএলে যাত্রা শুরু করবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এরপর ২৯ মার্চ গুজরাট টাইটান্স, ৩১ মার্চ কলকাতা নাইট রাইডার্স, ৪ এপ্রিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস এবং ৭ এপ্রিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হবে দলটি। প্রথম পাঁচটি ম্যাচে বুমরাহকে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
মুম্বইয়ের পেস আক্রমণের মূল ভরসাই ছিলেন বুমরাহ। তার অনুপস্থিতিতে আকাশ মাধওয়াল বা নতুন কোনো বোলারকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হতে পারে। আর মুম্বইয়ের টিম ম্যানেজমেন্টও কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না। কারণ, বুমরাহর ফিটনেসে একবার সমস্যা হলে সেটি দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।
নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি পেসার ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সাবেক বোলিং কোচ শেন বন্ড সম্প্রতি সতর্ক করে বলেছেন, ‘‘বুমরাহ যদি আবার পিঠে আঘাত পান, তবে তার ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে যেতে পারে।’’
সেক্ষেত্রে বুমরাহ কি আইপিএলের মাঝপথে ফিরতে পারবেন? নাকি আরও দীর্ঘ সময় বাইরে থাকতে হবে? এ প্রশ্নই এখন মুম্বই শিবিরের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ।
ঢাকা/আমিনুল