Samakal:
2025-04-17@19:28:33 GMT

রোদেলার কণ্ঠে ‘অকারণ’

Published: 15th, March 2025 GMT

রোদেলার কণ্ঠে ‘অকারণ’

মা নাজমুন মুনিরা ন্যানসির পথ ধরেই গানের জগতে পথচলা শুরু মার্জিয়া বুশরা রোদেলার। অল্প বয়সে গানের জগতে প্রবেশ করেই তাক লাগান তিনি। কিশোরী রোদেলার জন্য এরইমধ্যে গান তৈরি করেছেন হাবিব ওয়াহিদ, হৃদয় খান, এহসান রাহী, সেতু চৌধুরীরা। সেসব গানে প্রশংসায় ভেসেছেন রোদেলা। তবে এবার ঈদে একেবারে অন্যরকম একটি গান নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি। গানটির শিরোনাম ‘অকারণ’।

এটি রোদেলার ৬ নম্বর মৌলিক গান। ‘অযথা ভাবনায়, এ কেমন আসা যাওয়া/ অকারণ অবেলায়, তারই মাঝে ডুবে যাওয়া/ ভুল করি আবার উড়ি, মন থাকে উচাটন/ অনুভূতির কিযে বাড়াবাড়ি/ সে মানে না বারণ- এমন কথার গানটি লিখেছেন ফয়সাল রাব্বিকীন। এর সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন প্রত্যয় খান।

কথার সঙ্গে মিল রেখে এরইমধ্যে গানটির একটি মিউজিক ভিডিও করা হয়েছে। চন্দন রয় চৌধুরীরর নির্দেশনায় এতে অভিনয় করেছেন রোদেলাই। ঈদ উপলক্ষে ১৯শে মার্চ গানটি প্রকাশ পাবে রোদেলার ইউটিউব চ্যানেলে।

গানটি প্রসঙ্গে রোদেলা বলেন, একেবারেই অন্যরকম একটি গান এটি। এর কথায় প্রথম প্রেমের অনুভূতি ফুটে উছেছে। সুরে ও গায়কিতেও ভিন্নতা খুঁজে পাবেন শ্রোতা-দর্শক। গানটির সুন্দর একটি ভিডিও করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস ভালো লাগবে সবার।

গানটির গীতিকবি ফয়সাল রাব্বিকীন বলেন, গানটির পরিকল্পনা বেশ আগে থেকেই হচ্ছে। রোদেলাকে ভেবেই গানটি লেখা। তার বয়স ও সে সময়টার প্রেমের অনুভূতি-আকুলতা প্রকাশ হয়েছে গনটির কথায়। আমার মনে হয় গানটি সবার ভালো লাগবে।

গানটির সুরকার ও সংগীত পরিচালক প্রত্যয় খান বলেন, রোদেলার কথা চিন্তা করেই গানটি করা। লিরিক হাতে পাওয়ার পর বেশি সময় লাগেনি কাজটি করতে। রোদেলা অসাধারণ গেয়েছে। সবার গানটি ভালো লাগবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কুমারখালীতে অন্যরকম আনন্দ শোভাযাত্রা

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে অন্যরকম আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, বাংলা সাহিত্যের অমর কথা সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন, ফকির লালন সাঁই ও গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথসহ অন্তত ৩৮ জন বিখ্যাত মনীষীর দেখা মিলেছে। তবে, তারা আসল নয়, ডামি। ডামি হলেও তাদের মাধ্যমে দারুণভাবে ফুটেছে বিখ্যাত ব্যক্তিদের চেহারা ও অবয়ব। তাদের দেখে মুগ্ধ নতুন প্রজন্মের দর্শনার্থীরা।

শোভাযাত্রায় বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সচিত্র দেখা গেছে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে কুমারখালী শিল্পকলা একাডেমি থেকে শোভাযাত্রা বের করে উপজেলা প্রশাসন। এটি হলবাজার, গণমোড়, থানামোড়, গোলচত্বর, উপজেলা সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় আবুল হোসেন তরুণ অডিটোরিয়াম চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে দই চিড়া খাওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কুমারখালী শিল্পকলা একাডেমির ১২৫ জন সংগীত ও নৃত্যশিল্পী অংশ নেন। 

কুমারখালী সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রুহিনা ইসলাম প্রজ্ঞা বলেন, “বৈশাখী শোভাযাত্রায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মীর মশাররফ হোসেনসহ অসংখ্য মনীষীদের দেখেছি। খুব ভালো লেগেছে।” 

কলেজ ছাত্র শুভ মোল্লা বলেন, “প্রত্যাশার চেয়েও বেশি জাঁকজমক হয়েছে আয়োজন। বন্ধুরা মিলে খুবই আনন্দ করছি।” 

সুবর্ণা খাতুন নামে এক শিশু বলে, “পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানে নৃত্য করেছি। দই চিড়া খেয়েছি। খুবই ভালো লাগছে।” 

এবারে বৈশাখের শোভাযাত্রায় মীর মশাররফ হোসেনের ডামি চরিত্রে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান মানু। তিনি বলেন, “প্রতি বৈশাখে একই চরিত্রে থাকি। নিজের কাছে খুবই ভালো লাগে। যতদিন বাঁচি, এ চরিত্রেই থাকতে চাই।” 

পরিচয় জানতেই ‘বল বীর, বল উন্নত মম শির! শির নেহারি আমারই নত শির ওই শিখর হিমাদ্রীর!’ কবিতার কয়েকটি লাইন বলতে থাকেন পান্টি এলাকার মিলন হোসেন। তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ডামি ছিলেন। 

নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালির ইতিহাস ঐহিত্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে এবং বিখ্যাত ব্যক্তিদের পরিচিত করতে রবীন্দ্রনাথ, মশাররফ, কাঙাল, বাঘা যতীনসহ ৩৮টি ডামি চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা, ২৪ এর গণ অভ্যুর্থান, প্যালেস্টাইনের চিত্র দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলে জানান ডামি পরিচালক কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাস।

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাস বলেন, “আনন্দ শোভাযাত্রায় বিখ্যাত ব্যক্তি ও মনীষীদের চরিত্র দারুণভাবে ফুটে উঠেছে। তা দেখে মুগ্ধ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। ডামি ছাড়াও চিড়া দই খাওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুমারখালীতে অন্যরকম আনন্দ শোভাযাত্রা