এক মাস গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করবে ইনকিলাব মঞ্চ
Published: 15th, March 2025 GMT
জুলাই গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাসহ দুই দফা দাবিতে আগামী এক মাস গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময়ে রাজপথে তাঁরা আর কোনো কর্মসূচি দেবে না। তবে আওয়ামী লীগের উসকানিতে নামে-বেনামে কেউ কর্মসূচি দিলে সেটি প্রতিহত করতে তাঁরা রাজপথে নেমে আসবেন।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘প্রতিবাদী জুলাই জমায়েত’ নামের এক কর্মসূচি শেষে এসব কথা বলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ উসমান হাদী।
বেলা ১১টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ‘প্রতিবাদী জুলাই জমায়েত’ শুরু হয়। পরে তাঁরা শহীদ মিনার অভিমুখে একটি মিছিল নিয়ে রওনা হন। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের কাছে যাওয়ার আগেই পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে পুলিশের অনুরোধে তাঁরা মিছিলটি নিয়ে আবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে ফিরে এসে কর্মসূচি স্থগিত করে।
শরীফ উসমান হাদী বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচার, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে চার দিন ধরে শাহবাগে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এখন এ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। এখন দুই দফা দাবিতে এক মাস গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালনের পর আগামী ২৫ এপ্রিল বিকেল তিনটায় শাহবাগ মোড়ে শহীদি সমাবেশ করা হবে।
আগামী এক মাস দুই দফা দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হবে জানিয়ে শরীফ উসমান হাদী বলেন, প্রথম দফা হচ্ছে, জুলাই, শাপলা ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার শুরু করতে হবে। দ্বিতীয় দফা হচ্ছে, গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে অতিদ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে। এই দুই দফাকে সামনে রেখে নতুন লড়াই শুরু হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সংবিধান ও বিচার বিভাগের সংস্কার ছাড়া ন্যায়বিচার সম্ভব নয় : মাও. কাইয়ুম
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফতুল্লা থানার উদ্যোগে গণ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে পঞ্চবটি থানা কার্যালয়ে আয়োজিত এই মাহফিলে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিচারব্যবস্থা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
প্রধান অতিথি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, দেশের সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুদক ও বিচার বিভাগের সংস্কার এখন সময়ের অপরিহার্য দাবি।
এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার না হলে, বাংলাদেশ আবারও আগের তিমিরে ফিরে যাবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলতে থাকলে অন্যায় ও দুর্নীতি বন্ধ হবে না। তিনি আরও বলেন, অসংখ্য আলেম-ওলামার ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।
ছাত্র গণহত্যার পরিকল্পনাকারী, ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতেই নিশ্চিত করতে হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম বলেন, আমরা আর কোনো ধর্ষণের ঘটনা দেখতে চাই না।
ধর্ষণের শাস্তি কোরআনের আইনের ভিত্তিতে কার্যকর করতে হবে। নিহত আছিয়ার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলাম বলেন, রমজান আমাদের আত্মশুদ্ধির শিক্ষা দেয়। বাকি ১১ মাসও যেন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ইসলাম, দেশ ও মানবতার জন্য কাজ করতে পারি। ধর্ষণ, খুন, চাঁদাবাজির মতো অপরাধ থেকে মুক্ত থাকতে পারি, এটাই রমজানের শিক্ষা হওয়া উচিত।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফতুল্লা থানার সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের সমাজকে পরিবর্তন করতে হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে হবে এবং ন্যায়ের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যে সংগঠনই হোক না কেন, যারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফতুল্লা থানার নেতৃবৃন্দ তাদের প্রতিহত করবে।
সেক্রেটারি আলহাজ্ব মুহাম্মাদ আমান উল্লাহ বলেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার নির্মম স্মৃতি আমাদের এখনো তাড়া করে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সংগ্রামী আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই) ঘোষণা দিয়েছেন, এই সরকারকে বিদায় না দেওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
গণ ইফতার মাহফিলে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, ইসলামী যুব আন্দোলন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদ, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম, মুজাহিদ কমিটিসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।