নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় মোহনগঞ্জ পৌর শহরের পাথরঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ওই ব্যবসায়ীর নাম জসিম উদ্দিন (৩৫)। তিনি ঢাকায় রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স আফিফ ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী। অভিযুক্ত যুবদল নেতার নাম ফয়সাল আহমেদ ওরফে খোকন। তিনি পৌর যুবদলের সদস্যসচিব। আহত ব্যবসায়ী বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আহত জসিম উদ্দিনের স্ত্রী নিশা আক্তার জানান, জসিম উদ্দিন পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। গত বছরের ৬ আগস্ট ‍যুবদল নেতা ফয়সাল আহমেদ তাঁর স্বামীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু চাঁদা না দেওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হন। গত বৃহস্পতিবার জসিম উদ্দিন ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। পরদিন শুক্রবার মোহনগঞ্জ পাথরঘাটা এলাকায় ইফতারি কিনতে যান জসিম। এ সময় ফয়সাল তাঁর ১০ থেকে ১২ জন সহযোগী নিয়ে জসিম উদ্দিনের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালান। হামলাকারীরা রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও রড দিয়ে পিটিয়ে জসিমকে গুরুতর জখম করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাত ১০টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নিশা আক্তার বলেন, তাঁর স্বামীর মাথায় রামদার কোপ লেগেছে। এ ছাড়া রড দিয়ে পেটানোর কারণে হাত–পা ভেঙে গেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
যুবদল নেতা ফয়সাল আহমেদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ঘটনার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।

মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যবসায়ীর ওপর হামলার খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য বদল ন ত ম হনগঞ জ ব যবস য় ফয়স ল এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

১০ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করল সরকার

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডার গভর্নিং বডি দশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। 

শিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, একশটির মধ্য থেকে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে চূড়ান্তভাবে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। যেসব অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির সিদ্ধান্ত বাতিল হয়েছে তার মধ্যে পাঁচটি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার কথা ছিলো।

বাতিল হওয়া সরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো হলো- সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক (কক্সবাজার), সুন্দরবন ট্যুরিজম পার্ক (বাগেরহাট), গজারিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল (মুন্সিগঞ্জ), শ্রীপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল (গাজীপুর) এবং ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল (ময়মনসিংহ)।

আর বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে গার্মেন্টস শিল্প পার্ক, বিজিএমইএ (মুন্সিগঞ্জ), ছাতক ইকোনমিক জোন (সুনামগঞ্জ), ফমকম ইকোনমিক জোন (বাগেরহাট), সিটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন (ঢাকা) এবং সোনারগাঁও অর্থনৈতিক অঞ্চল (নারায়ণগঞ্জ)।

প্রসঙ্গত, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়েছিলো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সালিশে না আসায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
  • সালিসে না আসায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
  • কয়েকশত লোক বাড়ি হামলা করে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
  • ১০ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করল সরকার
  • দুই হাত কেটে ফেলেও বাঁচানো গেল না সাদাফকে
  • পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছে না ময়মনসিংহ মিনি চিড়িয়াখানার অসুস্থ ভালুকটি
  • অধস্তন আদালত তদারকি কমিটি পুনর্গঠন
  • ‘গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি’ নামে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ
  • নিজের জন্য ওষুধ কিনতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন
  • চার অঞ্চলে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা