বরগুনায় পথশিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, বৃদ্ধ আটক
Published: 15th, March 2025 GMT
বরগুনায় এক পথশিশুকে ধর্ষণচেষ্টার পর হাসপাতালে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ঘটনার সাত দিন পর শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোসলেম (৬৫) নামের এক ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ শনিবার রাত ২টার দিকে পৌর শহরের নয়াকাটা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার বৃদ্ধ মোসলেম সদর উপজেলার হেউলিবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী ৮ বছরের শিশু বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের বৈকালিন বাজার এলাকার বাসিন্দা। শিশুটির বাবা ভিক্ষুক ও মা মানসিক প্রতিবন্ধী। তিনি শহরের বিভিন্ন জনবহুল স্থানে এবং বরগুনা সদর হাসপাতাল এলাকায় ভাসমান অবস্থায় থাকতো।
জানা গেছে, অভিযুক্ত মোসলেম বরগুনা সদর হাসপাতাল কম্পাউন্ডে ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন। গত ৭ মার্চ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের দক্ষিণ পাশের গেটের কাছে পথশিশু ফাহিমাকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। পাশবিক নির্যাতনের ফলে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তাকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের মধ্যে ঘটনাটি নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে খোঁজ করলে এক পর্যায়ে হাসপাতালে দেখা যায়, শিশুটিকে কোনো রেজিস্ট্রারে ভর্তি করা হয়নি। পরে পঞ্চম তলার একটি ওয়ার্ডে তার সন্ধান মেলে।
শুক্রবার রাত ২টার দিকে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোনও ছিল। সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে শিশুটি নিজেই অভিযুক্ত মোসলেমকে শনাক্ত করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোসলেম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানায় পুলিশ।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, এ ধরনের ঘটনা সরকারি সংরক্ষিত প্রতিষ্ঠানের ভেতরে কীভাবে ঘটল, এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা ছিল কি না, কোনো স্টাফ এতে জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে মা-শিশু সন্তানসহ ৩ হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা, ৫ দিনের রিমান্ডে স্বামী ইয়াছিন
সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রী ও শিশু সন্তান সহ তিনজনকে হত্যার পর লাশ টুকরো টুকরো করে মাটিচাপা দিয়ে গুমের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছন নিহত লামিয়ার বড় বোন মুনমুন আক্তার।
শুক্রবার রাতে এ মামলা রুজু হয়। মামলায় নিহত লামিয়ার স্বামী আটক ইয়াছিনসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। অপর দুই আসামি হলেন ইয়াছিনেন বাবা দুলাল মিয়া ও ছোট বোন শিমু।
এদিকে শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের আদালতে আসামি ইয়াছিনকে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান।
প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া বড় বাড়ি এলাকার পোশাক শ্রমিক লামিয়া আক্তার, তার চার বছর বয়সের শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ ও লামিয়ার প্রতিবন্ধী বড় বোন স্বপ্না আক্তার।
নিখোঁজের চারদিন পর বাসার পাশে রাস্তা খুঁড়ে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় তিন জনের খন্ড বিখন্ড লাশ।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনু আলম বলেন, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে থানা পুলিশের একাধিক টিমের অভিযান চলছে।