Samakal:
2025-04-14@20:39:41 GMT

৪০০ কোটি টাকার রহস্য এখনও অধরা

Published: 15th, March 2025 GMT

৪০০ কোটি টাকার রহস্য এখনও অধরা

‘মাইশেলফ শামসুর রহমান স্বপন, ওরফে অ্যালেন স্বপন’– সংলাপ দিয়ে শেষ হয়েছিল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ’মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। রহস্য রেখে শেষ হয়েছিল সিরিজটি। শেষ দৃশ্যে মুখ ঢাকা একজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন স্বপন। কে সেই মুখ ডাকা মানুষ? কেনই বা স্বপনকে খুঁজছিলেন তিনি? 

এমন আরও কিছু প্রশ্ন রেখে শেষ হয়েছিল ‘অ্যালেন স্বপন’কে নিয়ে নির্মিত প্রথম সিরিজ। সেসব জট এবার খুলতে যাচ্ছে।

চলে এসেছে ’মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন ২’ এর ঘোষণা। ১৪ মার্চ দুপুরে চরকির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে সিজন ২ মুক্তির বিষয়ি নিশ্চিত করা হয়েছে। ঈদুল ফিতরেই সিরিজটি দেখতে পারবেন দর্শকরা। অ্যানাউন্সমেন্ট ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেক টাকার মধ্যে দাঁড়িয়ে অ্যালেন স্বপন। মুখে তার চিরচেনা হাসি আর পরনে সাফারি।

ভিডিওতে চট্টগ্রামের ভাষায় একজনকে বলতে শোনা যায়, আমার চারশো কোটি টাকা কোথায়? এর পরেই মুখ খোলেন অ্যালেন স্বপন, বলেন, ’আপনাদের কারণে বাইরে আসতেই হলো আমার। মাইশেলফ শামসুর রহমান স্বপন, ওরফে অ্যালেন স্বপন’। সিরিজে ৪০০ কোটি টাকার রহস্য এখনও অধরা। এত পরিমাণ টাকা কার এবং এবং কোথায় লুকানো আছে, সেটিও একটি বড় প্রশ্ন হয়ে আছে দর্শকদের মনে।  

চট্টগ্রামের মাদক ব্যবসায়ী থেকে স্বপন কীভাবে হয়ে ওঠে মানি লন্ডারিংয়ের মূল হোতা, সেই গল্প নিয় গড়ে উঠেছিল ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ সিরিজের প্রথম সিজন। নতুন সিজনে বাড়তে পারে স্বপনের কাজের পরিসর; বদলাতে পারে কাজের ধরনও। 

‘অ্যালেন স্বপন’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান। নতুন সিরিজ নিয়ে তার ভাষ্য, ’অ্যালেন স্বপন চরিত্রটা অনেকেরই দেখা। তারা জানেন এটা একটা মন্দ চরিত্র। নতুন সিজনে চরিত্রটি আরও ভয়ংকর রূপে হাজির হতে যাচ্ছে। আর চরিত্রটির যে দুষ্টু স্বভাব তার ধারাবাহিকতা থাকবে নতুন সিজনেও। সব মিলিয়ে চরিত্রটির নতুন আঙ্গিকে আরও বড় পরিসরে আসছে দর্শকদের সামনে।

চরকি অরিজিনাল সিরিজ ’সিন্ডিকেট’–এর একদম শেষভাগে সবার সামনে আসেন অ্যালেন স্বপন। ’সিন্ডিকেট’ থেকে নির্মিত হয় দেশের প্রথম স্পিনঅফ সিরিজ ’মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। দুটি সিরিজই নির্মাণ করেন শিহাব শাহীন। তিনিই নির্মাণ করছেন অ্যালেন স্বপনের দ্বিতীয় সিজনটি।

নির্মাতা শিহাব শাহীন বলেন, “মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন ২’ নির্মাণের অভিজ্ঞতা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জগুলোই আমাকে নতুনভাবে অনেককিছু ভাবতে শিখিয়েছে। প্রথম সিজনের সফলতার পর, দ্বিতীয় সিজন নিয়ে দর্শকদের নানা রকম প্রত্যাশা থাকে। আশা করছি নিরাশ হবেন না। খুবই প্রাসঙ্গিকভাবে গল্প ও চরিত্র এগিয়েছে। সবকিছুর পরিসর আরও বড় হয়েছে। যখন গল্প লিখি তখন চরিত্রগুলোর মধ্যে সম্পর্কের জটিলতা এবং নাটকীয়তা রাখা ছিল কঠিন, একইসঙ্গে আনন্দদায়ক।”

প্রথম সিজনের রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, আইমন শিমলা, ফরহাদ লিমন, অর্ণব ত্রিপুরা অভিনয় করেছেন দ্বিতীয় সিজনে। আছেন নতুন অভিনয়শিল্পীও। তাদের নাম শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে চরকি কর্তৃপক্ষ।
 
২০২২ সালের ঈদুল আজহায় মুক্তি পায় আলোচিত চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘সিন্ডিকেট’। তারই চরিত্র ছিল অ্যালেন স্বপন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় দেওয়া বেশ কিছু সংলাপ ও দারুণ অভিনয় দিয়ে চরিত্রটি পায় দর্শকপ্রিয়তা। ২০২৩ সালে মুক্তি পায় ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’– এর প্রথম সিজন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন স র উদ দ ন খ ন প রথম স জন

এছাড়াও পড়ুন:

এখনও পুরনো যেসব রীতিতে চৈত্রসংক্রান্তি পালন করেন রংপুরের মানুষ

রংপুরের গ্রামাঞ্চলের মানুষ পহেলা বৈশাখে এখনও পুরনো দিনের রীতি অনুসরণ করে চলেন। দেশের সব জায়গায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও পুরনো সেই রেওয়াজ তারা এখনও লালন করেন। বাংলা বছরের শেষ দিনটিকে বলা হয় চৈত্রসংক্রান্তি। শাস্ত্র অনুসারে এই দিনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস প্রভৃতিকে পূণ্যকর্ম বলে মনে করা হয়।

গৃহস্থের মঙ্গল কামনায় নেচে নেচে গান: চৈত্রসংক্রান্তিকে ঘিরে সন্ন্যাসীরা বাদ্যের তালে তালে নেচে নেচে দেবদেবীর প্রতিকৃতি (পাট) মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়ান। তাঁরা যে বাড়িতে যান, সেই বাড়ির গৃহিণী পরিষ্কার পিঁড়ি বা জলচৌকি পেতে দেন। এরপর তাঁরা ওই পিঁড়ি বা জলচৌকির ওপর পাট নামান। এই সময় গৃহস্থের মঙ্গল কামনায় নেচে নেচে গান পরিবেশন করেন সন্ন্যাসীরা। গান শেষে সন্ন্যাসীদের চাল, সবজি কিংবা টাকা উপঢৌকন দেন গৃহিণীরা। সংগৃহীত অর্থে, বাংলার সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব ও চড়ক মেলার আয়োজন করা হয়। 

চৈত্রসংক্রান্তির সকালে তিতা জাতীয় খাবার: পুরনো রীতি অনুয়ায়ী; রংপুরের গ্রামাঞ্চলের লোকজন চৈত্রসংক্রান্তির সকালে তিতা জাতীয় (ভাটির পাতার রস, জাত নিমের পাতার রস, নীলতাতের রস) খাবার খান। তাদের বিশ্বাস, এতে সারাবছর শরীরে কোনো রোগ-বালাই হবে না। এছাড়া মূলত খেসারি, মসুর, ছোলা জাতীয় কলাই ভেজে চিবিয়ে খাওয়া হয়। বিষয়টি মূলত দাঁতকে শক্তিশালী করার জন্য।

সামাজিক সম্প্রীতি সৃষ্টিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে গ্রামীণ মেলা: চৈত্রসংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখে রংপুরের বিভিন্ন এলাকায় মেলার আয়োজন অনেক পুরনো রীতি। বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকসংস্কৃতির অন্যতম উপাদান হলো মেলা। গ্রামীণ সমাজ জীবনের পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে মেলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল একসময়। মেলাকে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ আসে মেলায়। সামাজিক সম্প্রীতি সৃষ্টির ক্ষেত্রে এই পারস্পরিক যোগাযোগ ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। স্থানীয় কারুশিল্পীদের উৎপাদিত পণ্য এবং কৃষিপণ্যই থাকে গ্রামীণ মেলার মূল বেচাকেনার জিনিস। বাঁশ, বেত, পাট, শোলা, ধাতব, মৃৎ, চামড়া, তন্তুজাত হরেক রকমের কারুপণ্য ও বাচ্চাদের খেলনার বিপুল সমাবেশ গ্রামীণ মেলাকে বর্ণাঢ্য করে তোলে। এর পাশাপাশি থাকে খাজা, গজা, মওয়া এসব খাদ্যসামগ্রীর সমাবেশ। থাকে নাগরদোলা, পুতুলনাচ, গাজির গান, যাত্রাপালা, সার্কাস, লাঠিখেলাসহ হরেক রকমের আয়োজন। 

হালখাতায় মন্ডা-মিঠাইসহ হরেক খাবারের আয়োজন: নবাব মুর্শিদ কুলি খান পয়লা বৈশাখে ‘পুণ্যাহ’ উৎসব চালু করেন। তখন কিছুটা জাতীয় পুঁজির বিকাশ ঘটায় ব্যবসা-বাণিজ্যের একটি উন্নত অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছিল। এই ব্যবসায়ীরাই পুণ্যাহর আনুষঙ্গিক অনুষ্ঠান হিসেবে ‘হালখাতা’ উৎসব চালু করেন। বাংলার অর্থনীতি ছিল কৃষিনির্ভর। ফলে কৃষকের হাতে নগদ অর্থের জোগান শুধু ফসল কাটার সময়েই আসত। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যবসায়ী বা দোকানিদের কাছ থেকে বাকিতে কিনতে বাধ্য হতেন। নতুন বছরের প্রথম দিনে হালখাতা উৎসবে বকেয়া অর্থের পুরোটা বা আংশিক পরিশোধ করে হালখাতা বা নতুন খাতায় নাম লেখা হতো। তার মধ্যে অবশ্য আনন্দের উপকরণও ছিল। হালখাতা উপলক্ষে খাওয়া-দাওয়া বিশেষ করে মিষ্টান্ন বিতরণের রেওয়াজ ছিল। সেই রীতি অনুসরণ করে রংপুর অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা পহেলা বৈশাখে বাড়ি কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হালখাতার আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের আপ্যায়নে বাড়িতে তৈরি করা হয় মন্ডা-মিঠাইসহ হরেক রকম খাবারের জিনিস। 

ঝগড়াঝাটি বা কারও সঙ্গে লেনদেন না করার প্রথা: আর পহেলা বৈশাখে ভালো খাবার, ভালো কাপড় পরিধান, ঝগড়াঝাটি না করা, কারও সঙ্গে লেনদেন না করাসহ বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। এতে করে আগামী বছরজুড়ে ভালো থাকা যাবে-এই বিশ্বাস থেকেই পহেলা বৈশাখে রংপুর অঞ্চলের মানুষজন এসব পুরনো রীতিনীতি মেনে চলেন।

বর্ষবরণে চলছে প্রস্তুতি: রংপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পহেলা বৈশাখ বাংলা বর্ষবরণে চলছে প্রস্তুতি। এতে থাকছে বৈশাখী শোভাযাত্রা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অনুশোচনা নেই, প্রতিটি অভিজ্ঞতা ছিল একটি শিক্ষা: বাঁধন
  • বাইরে জীবন সহজ কিন্তু ভেতরে নীরবে ভাঙাগড়া চলে: বাঁধন
  • ওয়াক্ফ আইন ইস্যুতে থমথমে মুর্শিদাবাদ, আতঙ্ক 
  • ক্ষমতায়ন মানে অংশগ্রহণ নয় অংশীদারিত্ব কোথায়?
  • নববর্ষের সাতসকাল
  • আমার দেখা সাংগ্রাই
  • মায়ামির মায়া ছাড়তে পারছেন না মেসি
  • অবিরাম কাজ করেও যারা কোনো নাম-দাম পান না
  • চেন্নাই প্লে’অফ খেলবে, দাবি ব্যাটিং কোচের
  • এখনও পুরনো যেসব রীতিতে চৈত্রসংক্রান্তি পালন করেন রংপুরের মানুষ