Samakal:
2025-03-15@12:34:44 GMT

৪০০ কোটি টাকার রহস্য এখনও অধরা

Published: 15th, March 2025 GMT

৪০০ কোটি টাকার রহস্য এখনও অধরা

‘মাইশেলফ শামসুর রহমান স্বপন, ওরফে অ্যালেন স্বপন’– সংলাপ দিয়ে শেষ হয়েছিল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ’মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। রহস্য রেখে শেষ হয়েছিল সিরিজটি। শেষ দৃশ্যে মুখ ঢাকা একজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন স্বপন। কে সেই মুখ ডাকা মানুষ? কেনই বা স্বপনকে খুঁজছিলেন তিনি? 

এমন আরও কিছু প্রশ্ন রেখে শেষ হয়েছিল ‘অ্যালেন স্বপন’কে নিয়ে নির্মিত প্রথম সিরিজ। সেসব জট এবার খুলতে যাচ্ছে।

চলে এসেছে ’মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন ২’ এর ঘোষণা। ১৪ মার্চ দুপুরে চরকির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে সিজন ২ মুক্তির বিষয়ি নিশ্চিত করা হয়েছে। ঈদুল ফিতরেই সিরিজটি দেখতে পারবেন দর্শকরা। অ্যানাউন্সমেন্ট ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেক টাকার মধ্যে দাঁড়িয়ে অ্যালেন স্বপন। মুখে তার চিরচেনা হাসি আর পরনে সাফারি।

ভিডিওতে চট্টগ্রামের ভাষায় একজনকে বলতে শোনা যায়, আমার চারশো কোটি টাকা কোথায়? এর পরেই মুখ খোলেন অ্যালেন স্বপন, বলেন, ’আপনাদের কারণে বাইরে আসতেই হলো আমার। মাইশেলফ শামসুর রহমান স্বপন, ওরফে অ্যালেন স্বপন’। সিরিজে ৪০০ কোটি টাকার রহস্য এখনও অধরা। এত পরিমাণ টাকা কার এবং এবং কোথায় লুকানো আছে, সেটিও একটি বড় প্রশ্ন হয়ে আছে দর্শকদের মনে।  

চট্টগ্রামের মাদক ব্যবসায়ী থেকে স্বপন কীভাবে হয়ে ওঠে মানি লন্ডারিংয়ের মূল হোতা, সেই গল্প নিয় গড়ে উঠেছিল ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ সিরিজের প্রথম সিজন। নতুন সিজনে বাড়তে পারে স্বপনের কাজের পরিসর; বদলাতে পারে কাজের ধরনও। 

‘অ্যালেন স্বপন’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান। নতুন সিরিজ নিয়ে তার ভাষ্য, ’অ্যালেন স্বপন চরিত্রটা অনেকেরই দেখা। তারা জানেন এটা একটা মন্দ চরিত্র। নতুন সিজনে চরিত্রটি আরও ভয়ংকর রূপে হাজির হতে যাচ্ছে। আর চরিত্রটির যে দুষ্টু স্বভাব তার ধারাবাহিকতা থাকবে নতুন সিজনেও। সব মিলিয়ে চরিত্রটির নতুন আঙ্গিকে আরও বড় পরিসরে আসছে দর্শকদের সামনে।

চরকি অরিজিনাল সিরিজ ’সিন্ডিকেট’–এর একদম শেষভাগে সবার সামনে আসেন অ্যালেন স্বপন। ’সিন্ডিকেট’ থেকে নির্মিত হয় দেশের প্রথম স্পিনঅফ সিরিজ ’মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। দুটি সিরিজই নির্মাণ করেন শিহাব শাহীন। তিনিই নির্মাণ করছেন অ্যালেন স্বপনের দ্বিতীয় সিজনটি।

নির্মাতা শিহাব শাহীন বলেন, “মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন ২’ নির্মাণের অভিজ্ঞতা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জগুলোই আমাকে নতুনভাবে অনেককিছু ভাবতে শিখিয়েছে। প্রথম সিজনের সফলতার পর, দ্বিতীয় সিজন নিয়ে দর্শকদের নানা রকম প্রত্যাশা থাকে। আশা করছি নিরাশ হবেন না। খুবই প্রাসঙ্গিকভাবে গল্প ও চরিত্র এগিয়েছে। সবকিছুর পরিসর আরও বড় হয়েছে। যখন গল্প লিখি তখন চরিত্রগুলোর মধ্যে সম্পর্কের জটিলতা এবং নাটকীয়তা রাখা ছিল কঠিন, একইসঙ্গে আনন্দদায়ক।”

প্রথম সিজনের রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, আইমন শিমলা, ফরহাদ লিমন, অর্ণব ত্রিপুরা অভিনয় করেছেন দ্বিতীয় সিজনে। আছেন নতুন অভিনয়শিল্পীও। তাদের নাম শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে চরকি কর্তৃপক্ষ।
 
২০২২ সালের ঈদুল আজহায় মুক্তি পায় আলোচিত চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘সিন্ডিকেট’। তারই চরিত্র ছিল অ্যালেন স্বপন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় দেওয়া বেশ কিছু সংলাপ ও দারুণ অভিনয় দিয়ে চরিত্রটি পায় দর্শকপ্রিয়তা। ২০২৩ সালে মুক্তি পায় ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’– এর প্রথম সিজন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন স র উদ দ ন খ ন প রথম স জন

এছাড়াও পড়ুন:

ভাতা, পুনর্বাসন কার্যক্রম নিয়ে হতাশা

জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহতদের তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় আর্থিক সহায়তা ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে গতি আসছে না। এদিকে আহতদের চিকিৎসা ও সহায়তার জন্য করা ক্যাটেগরি নিয়ে অসন্তুষ্ট অনেকেই। কারও কারও উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন হলেও অর্থ সংকটে বিদেশ পাঠাতে বিলম্ব হচ্ছে। 

আহতের অধিকাংশই ছিলেন উপার্জনক্ষম। তাদের কারও কারও পরিবারের অবস্থা এখন শোচনীয়। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ও মাসিক ভাতার কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় হতাশ তারা। বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন আড়াইশ আন্দোলনকারী। ছুটি দিলেও পুনর্বাসন তালিকা থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় হাসপাতাল ছেড়ে যাচ্ছেন না অনেকেই।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, জনবলের স্বল্পতা ও তথ্য যাচাইয়ে বিলম্ব হওয়ার কারণে তালিকা প্রস্তুত ও পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করায় বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। তবে হাসপাতালে আহতদের বিশেষ বিবেচনায় স্মার্ট জাতীয় পত্র দেওয়া হয়েছে। এ মাসেই মিলবে জুলাই যোদ্ধাদের মাসিক ভাতা। বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে হেলথ কার্ড। দ্রুত শুরু হবে পুনর্বাসন কার্যক্রম।
এমন পরিস্থিতিতে প্রতি বছরের মতো এবারও পালিত হচ্ছে বিশ্ব পঙ্গু দিবস। আজ শনিবার এই দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ক্ষতি প্রতিরোধ ও রূপান্তরিত জীবন’। তবে সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে দিবসটি খুব একটা গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয় না।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদের চূড়ান্ত তালিকা করতে গত নভেম্বরে সরকার ‘গণঅভ্যুত্থান-সংক্রান্ত বিশেষ সেল’ করে। গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে আন্দোলনে আহত, নিহত বা নিখোঁজ, বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু কিংবা আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে কোনোভাবে মারা গেছেন– এমন ব্যক্তিদের নাম তালিকাভুক্ত করার কথা বিশেষ সেলের। 
গত ২১ ডিসেম্বর এ সেল ৮৬২ শহীদ ও ১১ হাজার ৫৫১ আহতের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে। তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গড়ে ওঠে। গত ৪ মার্চ গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের সহায়তায় মোট ৮৩ কোটি ৬৩ হাজার টাকা ৫ হাজার ৪২৯টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা ৭০৫টি শহীদ পরিবারের মাঝে এবং ৪৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ৪ হাজার ৭২৪ আহত ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ) গতকাল বলেন, ফাউন্ডেশনের জনবলের স্বল্পতা ও আবেদনকারী সবার তথ্য যাচাই করতে গিয়ে প্রকৃত ভুক্তভোগীদের সহায়তা দিতে বিলম্ব হচ্ছে। 

এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আড়াইশ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই আন্দোলনে আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও ২৫০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে রয়েছেন আরও ৩০ জন। বিদেশ থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরেছেন আটজন। দেশে চিকিৎসাধীনদের সবচেয়ে বেশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) আছেন ১০৬ জন এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১২০ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ শতাংশের অবস্থা গুরুতর। 

চিকিৎসাসেবায় শ্রেণিকরণে অসন্তুষ্ট
আহতদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে তিনটি ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের ‘এ’, মাঝারি আহতদের ‘বি’ ও কম ঝুঁকিপূর্ণদের ‘সি’ ভাগে ভাগ করে তাদের চিকিৎসা চলছে। এসব ক্যাটেগরি তৈরির প্রক্রিয়া ও সমতা নিয়ে অসন্তোষও রয়েছে আহতদের মধ্যে। আহতরা বলছেন, এই ক্যাটেগরি ত্রুটিপূর্ণ। গতকাল দুপুরে পঙ্গু হাসপাতালে কথা হয় মো. আরাফাত হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, এই ক্যাটেগরি নিয়ে একটি ঘোলাটে ভাব আছে। এক পা হারানোর পরেও আমাকে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে রাখছে। এটা সংশোধনের জন্য নতুন করে আবেদন করেছি। আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। কীভাবে বাকি জীবন চলবে, সে চিন্তায় ঘুমাতে পারি না। সুস্থ হয়ে ভবিষ্যতে গাড়ি চালাতে পারব বলে মনে হয় না। পঙ্গু হাসপাতালের একই ওয়ার্ডে চারজনকে দেখা গেল, যাদের একটি করে পা কেটে ফেলেছেন চিকিৎসকরা। তারা প্রত্যেকেই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-সহিংসতার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

চিকিৎসাধীন আতিক হাসান বলেন, ‘আমি আহত হয়েছিলাম মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে। ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হই এবং সেদিনই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। প্রায় চার মাস ধরে পঙ্গু হাসপাতালে (নিটোর) অবস্থান করছি। এ পর্যন্ত কোনো তালিকায় আমার নাম আসেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যাদের অবস্থা বেশি জটিল, তাদের বিদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। তারা প্রশাসনের অবহেলা দেখছেন। অনেক সময় ভালোভাবে ফিজিওথেরাপি করা হয় না, প্রয়োজনীয় সেবাও দেওয়া হয় না।’
হাসপাতালটিতে আন্দোলনে আহত ৮৮৮ জনকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৯৬ জন গুলিতে আহত। ২৯২ জন বিভিন্নভাবে আহত। ২২ জনের পা, কয়েকজনের হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। আটজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. মো. আবুল কেনান বলেন, জুলাই আন্দোলনে আহত ১০৬ রোগী ভর্তি আছেন। জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে জুলাই আন্দোলনের আহতদের জন্য বিশেষ কক্ষ রয়েছে। আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আহত অনেকের অবস্থা গুরুতর, দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন।

ছুটি দিলেও হাসপাতাল ছাড়ছেন আহতরা
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১২০ জন চিকিৎসাধীন। হাসপাতালটিতে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩ জনের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ৫০৩ জনের চোখ নষ্ট হয়েছে। দুই চোখ নষ্ট হয়েছে ৪৫ জনের। আহতদের মধ্যে সুস্থ হওয়ায় গত মঙ্গলবার ৩২ জনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তবে একজন ছাড়া কেউই হাসপাতাল ছেড়ে যাননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চিকিৎসক বলেন, আন্দোলনকারীদের পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। এ ছাড়া বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য হেলথ কার্ড প্রস্তুত হচ্ছে। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে এককালীন আর্থিক অনুদানের কথা রয়েছে। এই কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। আহতরা মনে করছেন, এখনই হাসপাতাল ছেড়ে গেলে এসব তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন।
সার্বিক বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিব সাইদুর রহমান বলেন, আহতদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ দিচ্ছে সরকার। অন্য কার্যক্রমও দ্রুত শুরু হবে। এ মাসের মধ্যে জুলাই যোদ্ধাদের মাসিক ভাতা চালু করা হবে। 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভিজিএফ কর্মসূচির চালের বস্তায় এখনও শেখ হাসিনার নামসহ স্লোগান
  • দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করলো যুক্তরাষ্ট্র
  • ভাতা, পুনর্বাসন কার্যক্রম নিয়ে হতাশা
  • পীতাম্বর শাহর দোকান
  • সাফ গেমসের প্রস্তুতির জন্য ছয় মাস
  • এনবিআরে দুর্নীতি এখনও বন্ধ হয়নি
  • প্রকল্প পরিচালকের চাপে অফিসছাড়া ৫ কর্মকর্তা
  • দুই ভাগ হচ্ছে এনবিআর
  • ‘জীবনে বিয়ের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না’