বাংলাদেশের সংকটময় পরিস্থিতিতে পাশে থাকবে জাতিসংঘ: মহাসচিব
Published: 15th, March 2025 GMT
বাংলাদেশের আতিথেয়তায় মুগ্ধ ঢাকা সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। বাংলাদেশের সংকটময় পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ পাশে থাকবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকায় জাতিসংঘের নতুন ভবন পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
আজ সকালে জাতিসংঘ মহাসচিব রাজধানীর জাতিসংঘের নতুন ভবন প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ৫০ বছর পূর্তির আলোকচিত্র প্রদর্শনীও দেখেন।
সেখানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, “বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষা ও সংস্কার প্রচেষ্টাকে আমরা স্বাগত জানাই। বাংলাদেশ যে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, সে জন্য বাংলাদেশের জনগণের উদারতার প্রশংসা করি।”
জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকার জাতিসংঘের কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “বাংলাদেশে জাতিসংঘের নিজস্ব কোনো এজেন্ডা নেই। বাংলাদেশ ও এ দেশের জনগণকে সহযোগিতা করাই আমাদের এজেন্ডা।” চলমান সংকটকালে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর পরিবর্তে জনগণের জন্য যথাযথভাবে অর্থ ব্যয়ের তাগিদ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে জাতিসংঘ মহাসচিব এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
গত ১৩ মার্চ জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশ সফরে আসেন। শুক্রবার সফরের দ্বিতীয় দিনে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
ঢাকা/হাসান/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের স্বার্থে ভালো রাজনৈতিক দল খুঁজে বের করতে হবে
দেশে এযাবৎকালের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল সরকারে গিয়ে জনগণের জন্য কাজ করেনি। ক্ষমতায় গিয়ে তারা লুটপাটের মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছে। তাই দেশ ও জনগণের স্বার্থে ভালো রাজনৈতিক দল খুঁজে বের করতে হবে।
আজ বুধবার আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির উদ্যোগে চলমান গণ–ইফতার কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক এ কে এম ওয়ারেসুল করিম এ কথাগুলো বলেন। রাজধানীর সায়হাম স্কাইভিউ টাওয়ারের নিচে (বিজয় ৭১ চত্বর) এই গণ–ইফতার অনুষ্ঠিত হয়।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলের ডিন ওয়ারেসুল করিম বলেন, ‘দেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সরকারে গিয়ে জনগণের জন্য কাজ করার পরিবর্তে লুটপাটের মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছিল। গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে কোন দল মানবিকভাবে কাজ করছে, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। এখন সময় এসেছে দুর্নীতি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার। অন্তর্বর্তী সরকারকে দুর্নীতি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করবে না, চাঁদাবাজি করবে না, টেন্ডার বাজি করবে না—এমন দলকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান তিনি। আগামীর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবি পার্টি সে রকমই একটি দল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে দলের সহসভাপতি অধ্যাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এবি পার্টি আপনাদের নাগরিক তৈরির প্রচেষ্টা করছে। একটা কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। বাংলাদেশের মানুষ নাগরিক হয়ে উঠলেই কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাজ সহজ হয়ে যাবে।’
গণ–ইফতার অনুষ্ঠানে এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু হেলাল, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সহসম্পাদক বোরহান উদ্দিন রাব্বানী, লালমনিরহাটের আশরাফুল আলম মোল্লা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক রাফিউর রহমান বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, এ বি এম খালিদ হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান প্রমুখ।