বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ভবনে হট্টগোল ও চেয়ারম্যানসহ কমিশনারদের অবরুদ্ধ করার ঘটনায় সংস্থার পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে একই দিন বিকেলে জামিনও পেয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভোরে পটুয়াখালীর বাউফলে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেদিন বিকেলে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
মোহতাছিন বিল্লাহর পক্ষে আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
শনিবার (১৫ মার্চ) শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম জামিনের তথ্য জানান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার ১৬ আসামির সবাই জামিন পেয়েছেন। গত ৯ মার্চ সাত জন এবং ১০ মার্চ ৬ জন আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। এরপর দুই জনও জামিন নেন। সর্বশেষ মোহতাছিন বিল্লাহ গ্রেপ্তারের পর জামিন পেলেন। জামিনযোগ্য ধারা হওয়ায় তারা জামিন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিএসইসি ভবনে হট্টগোল এবং চেয়ারম্যানসহ কমিশনারদের অবরুদ্ধ করার ঘটনায় গত ৬ মার্চ রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মোহতাছিন বিল্লাহসহ ১৬ জনকে আসামিকে করে মামলা দায়ের করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের গানম্যান মো.
অপর আসামিরা হলেন-বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম (৫৭) এবং রেজাউল করিম (৫৪), যুগ্ম পরিচালক রাশেদুল ইসলাম (৪৮), উপ-পরিচালক বনী ইয়ামিন (৪৫) এবং শহিদুল ইসলাম (৪২), লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী (৩১), অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম (৫০), সহকারী পরিচালক জনি হোসেন (৩১), রায়হান কবীর (৩০), আব্দুল বাতেন (৩২), সাজ্জাদ হোসেন (৩০), ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ (২৯), উপ-পরিচালক আল ইসলাম (৩৮), সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান (৫৮) এবং উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম (৩২)।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ৫ মার্চ বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করেছিলেন সংস্থাটির কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। তারা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী কমিশনের মূল ফটকে তালা দেন। সিসি ক্যামেরা, ওয়াই-ফাই, লিফট বন্ধ করে দেন এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে অরাজকতা ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে গুরুতর জখমের চেষ্টা করা হয়।
আরো জানা যায়, বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে এবং কমিশনার মো. মহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর ও ফারজানা লালারুখের উপস্থিতিতে কমিশনের নির্ধারিত সভা চলাকালে অভিযুক্তরাসহ আরো কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী কমিশনের সভাকক্ষে জোরপূর্বক ও অনধিকার প্রবেশের মাধ্যমে কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনারগণকে অবরুদ্ধ করেন।
ঢাকা/মামুন/এনটি/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসইস র ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজার উন্নয়নে সবাইকে কাজ করতে হবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, “দেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নে আমাদের সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলে একত্রে কাজ করতে হবে। অর্থনীতির উন্নয়নে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে হবে। রমজান আমাদের সংযমের যে শিক্ষা দিচ্ছে, তা ব্যক্তি জীবনে কাজে লাগাতে হবে।”
শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিষ্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিএমজেএফর সভাপতি গোলাম সামদানি ভুইয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) অধ্যাপক আবু আহমেদ, বিএসইসির কমিশনার আলী আকবর, ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ঢাকা ষ্টকের চেয়ারম্যান ড. মোমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ষ্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান এ কে এম হাবিবুর রহমান।
আরো পড়ুন:
কারণ ছাড়াই বাড়ছে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর
মুন্নু ফেব্রিক্সের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
রাশেদ মাকসুদ বলেন, “আমরা আমাদের জীবনে রজমানকে কাজে লাগাব। সংযমের সাথে আমাদের জীবনকে সাজাতে হবে। রমজানের শিক্ষাকে যদি কাজে লাগাতে পারি তাহলে আমরা লাভবান হব।”
ঢাকা/এনটি/এসবি