ইভটিজারের মাথা ন্যাড়া করে দিল বিক্ষুব্ধ জনতা
Published: 15th, March 2025 GMT
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় ইভটিজিংয়ের অভিযোগে রেজাউল গাজী (৪০) নামে এক অটোরিকশাচালকের মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর শহরের এতিমখানা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
রেজাউল গাজীর বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের অঞ্জুপাড়া গ্রামে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রেজাউল গাজী প্রায় দুই বছর ধরে কলাপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী নারীদের উত্যক্ত করার পাশাপাশি অশালীন অঙ্গভঙ্গি করতেন। শুক্রবার রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে মারধর করার পর মাথা ন্যাড়া করে দেয়। এ সময় স্থানীয় কয়েকজনের অনুরোধে তাকে পুলিশে সোপর্দ না করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা কল্পনা বেগম বলেছেন, “রেজাউল গাজী প্রায় দুই বছর যাবত স্কুলে যাতায়াতের সময় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন নারীদের উত্যক্ত এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গি করছিল। আজ দুপুরে আমার এক বোনের মেয়ের সামনে অশালীন ভঙ্গি করেছে। এর আগেও একই রকম অঙ্গভঙ্গির কারণে এলাকার নারীরা প্রতিবাদ করলে তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় রেজাউল। এলাকার সবাই শুক্রবার রাতে তাকে ধরে ন্যাড়া করে দিয়েছে।”
একই এলাকার আরেক বাসিন্দা রুমা বেগম বলেন, “আমার সঙ্গে কয়েকদিন আগে ওই যুবক অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেছে। আমি প্রতিবাদ করলে সে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।”
কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল ইসলাম জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জ উল গ জ কল প ড়
এছাড়াও পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে দেয়ালধসে ২ নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু, আহত তিনজন হাসপাতালে
সিরাজগঞ্জে নালা তৈরি করার সময় দেয়াল ধসে পড়ে দুই নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে পৌর শহরের সাহেদনগর ব্যাপারীপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। এখন পর্যন্ত নিহত ও আহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের সাহেদনগর ব্যাপারীপাড়া এলাকায় নালা নির্মাণের জন্য খননকাজ করছিলেন পাঁচজন শ্রমিক। এ সময় পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির দেয়াল ধসে পড়লে তাঁরা সবাই চাপা পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুই শ্রমিককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ এখনো হাসপাতালেই রাখা আছে। নিহত শ্রমিকেরা অন্য এলাকার হওয়ায় এখনো নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।