ঢাকার পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ শনিবার সকাল থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর অবস্থান দেখা গেছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। বিকেলেও তাঁদের কর্মসূচি রয়েছে।

জানা গেছে, সিপিবি কার্যালয় দখল ও হামলার হুমকি রয়েছে। এ বিষয়ে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাসিরুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কার্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক সাজেদুল হক রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, সারা দেশে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন চলছে। কমিউনিস্ট পার্টির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ কমিটি গতকালও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। তারই অংশ হিসেবে আজ সকালে কালো পতাকা উত্তোলন ও বিকেলে শোকমিছিল কর্মসূচির ডাক দিয়েছে দেশের ১৫টি বাম ও গণতান্ত্রিক ছাত্র ও যুব সংগঠন। যেভাবে ফ্যাসিস্টবিরোধী, স্বৈরতন্ত্রবিরোধী আন্দোলনে কমিউনিস্ট পার্টির নেতা–কর্মীরা অংশ নিয়েছিলেন, আজকেও তাঁরা ঠিক একইভাবে অংশ নেবেন।

সিপিবি কার্যালয়ের সামনে সেনাবাহিনীর টহল। আজ শনিবার সকালে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নিরাপত্তারক্ষীদেরই জীবনের নিরাপত্তা নেই: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ব‌লে‌ছেন, ঢালাওভাবে সবাইকে আওয়ামী লীগের দোসর বানিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দেশের নিরাপত্তারক্ষীদেরই জীবনের নিরাপত্তা নেই। স্মরণকালে এমন ভয়ার্ত পরিস্থিতি হয়নি বললেই চলে।

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এসব কথা বলেন তি‌নি।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের অপব্যবহার করেছিল। অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি ও দুঃশাসন টিকিয়ে রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অপব্যবহার করেছিল। ফলে, জনস্বার্থে এগুলোর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।

তি‌নি দুঃখ ক‌রে ব‌লেন, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে হয় ভেঙে-চুড়ে তছনছ করে ফেলেছে অথবা পূর্বের আওয়ামী লীগ সরকারের মতো একইভাবে অপব্যবহার করছে। এক কথায়, প্রতিষ্ঠানগুলোর ধ্বংসের ধারাবাহিকতা অপরিবর্তিত আছে। ফলে, এসব প্রতিষ্ঠানের সেবার মান দিনে দিনে আরো নিম্নমুখী হচ্ছে। 

গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বর্তমান সরকারের সক্ষমতা নেই। জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করে সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। মিছিল, সমাবেশ ও ইফতার অনুষ্ঠানের মতো অহিংস এবং সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জাতীয় পার্টি। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, এই সরকার গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না। এই সরকারের কোনো নির্বাচনই বিশ্বাসযোগ্য হবে না।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুচলেকা দিয়ে জামিন পেলেন এলজিইডির সেই নির্বাহী প্রকৌশলী
  • সিপিবির কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ, বিকেলে শোকমিছিল
  • বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা জব্দ: গাইবান্ধার সেই প্রকৌশলী ছাড়া পেলেন মুচলেকায়
  • ন্যায়বিচারই এই নিষ্ঠুরতার একমাত্র জবাব
  • নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ–সমাবেশ
  • বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের মন্তব্য অযাথিত
  • রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১৯৭
  • আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতটা প্রস্তুত
  • নিরাপত্তারক্ষীদেরই জীবনের নিরাপত্তা নেই: জিএম কাদের