রোজা রেখে টুথপেস্ট ব্যবহার করে দাঁত ব্রাশ করা যাবে?
Published: 15th, March 2025 GMT
রোজা রাখলে অনেকের মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। অন্য মানুষের সামনে কথা বলতে গেলে মুখে দুর্গন্ধের কারণে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সেক্ষেত্রে মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, রোজা রেখে দাঁত ব্রাশ করা যাবে কিনা? বা টুথপেস্ট ব্যবহার করে দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভাঙবে কিনা?
ইসলামী চিন্তাবিদরা বলেন, ‘‘টুথপেস্ট ব্যবহার করে ব্রাশ করলে রোজা ভাঙবে না, তবে এটা অনুৎসাহিত করা হয়। কিন্তু কোনো কারণে যদি এমন হয় দিনে একবার ব্রাশ করার প্রয়োজন পড়ে বা মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য কেউ যদি দাঁত ব্রাশ করতে চায়, তাহলে কম ঝাঁঝালো এবং কম ঘ্রাণ যুক্ত পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা যেতে পারে। দিনের বেলায় টুথ পেস্টের পরিবর্তে মেসওয়াক দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করে নেওয়া আরও ভালো। টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করতে চাইলে সেহেরি গ্রহণের পর পর এবং ইফতারের পরে ব্রাশ করে নিতে পারেন।’’
দাঁত ব্রাশ করার সঠিক নিয়ম
দাঁত ব্রাশ করার জন্য একটি ভালো টুথব্রাশ বাছাই করুন। ব্রাশের শলাকাগুলো যাতে বেশি শক্ত বা বেশি নরম নয়। পরিমিত মাত্রায় পেস্ট নিয়ে ইফতারের পরে এবং সেহেরির পরে দাঁত ব্রাশ করুন। সম্ভব হলে ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। দাঁত ব্রাশ করার সময় ব্রাশের শলাকাগুলো দাঁতের সঙ্গে ৪৫ ডিগ্রি কোনাকুনিভাবে ধরে ওপর পাটির দাঁত ওপর থেকে নিচে এবং নিচের পাটির দাঁত নিচ থেকে ওপরে ব্রাশ করে নিন। ভালোভাবে পরিষ্কার করার জন্য দাঁতের ভেতরে ও বাইরের অংশে সমান সময় নিয়ে ব্রাশ করুন। তাড়াহুড়া করবেন না। কমপক্ষে দুই মিনিট সময় নিয়ে ব্রাশ করে নিন।
আরো পড়ুন:
আছিয়া চলে গেলো, আমরা কি প্রতিবাদ থামিয়ে দেবো?
জাপানিরা ড্রয়িং রুম যেভাবে সাজায়
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ব র শ কর ব র শ কর র
এছাড়াও পড়ুন:
যে প্রলোভনে মিয়ানমারে দুই বছর জেল খাটলেন ২০ কিশোর–তরুণ
কারও বয়স ১৬, কারও ১৮ ছুঁই ছুঁই। দালালের প্রলোভনে পড়ে মালয়েশিয়ায় ভালো বেতনে চাকরি আর উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁরা। পরিবারকে না জানিয়েই রওনা দিয়েছিলেন অবৈধ বিপদসংকুল সাগরপথে। কিন্তু মিয়ানমারে পৌঁছেই আটক হন তাঁরা। তারপর অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ২২ মাস কারাভোগ করেন।
অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০২৩ সালের জুনে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক এসব কিশোর–তরুণ আজ মঙ্গলবার সকালে নৌবাহিনীর জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে সন্ধ্যায় বাসে তাঁদের নেওয়া হয় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে। সেখানে অপেক্ষারত পরিবারের সদস্যদের কাছে তুলে দেওয়া হয় এসব কিশোর–তরুণকে।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সামনে বাস থেকে একে একে নামেন তরুণেরা। ছেলে কিংবা ভাইকে এত মাস পর কাছে পেয়ে দৌড়ে যান স্বজনেরা। কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জানা গেছে, অসাধু দালালেরা এসব কিশোর–তরুণকে মালয়েশিয়ায় পাচারের চেষ্টা করেছিল। পথে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তাঁরা আটক হন। তাঁদের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব যাচাইয়ের পর মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে সরকার। এরপর বাংলাদেশ দূতাবাস তাঁদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে।
অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফিরে আসা কিশোর–তরুণেরা কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা। মালয়েশিয়া যাত্রার কথা কেউ পরিবারকে জানাননি। প্রায় এক মাস পর স্বজনেরা জানতে পারেন তাঁরা আটক হয়েছেন। এক বছর আগে সরকারের কাছে তাঁদের ফিরিয়ে আনতে কাগজপত্র জমা দেয় পরিবার।
ফিরে আসা এক কিশোরের বোনের স্বামী আবদুল্লাহ বলেন, ‘পরিবারকে না জানিয়েই আমার শ্যালক দালালের খপ্পরে পড়ে মালয়েশিয়া যেতে চেয়েছিল। সে মিয়ানমারে আটক হয়। প্রায় এক মাস পর আমরা জানতে পারি। এখন সে পরিবারের কাছে ফিরে এসেছে।’
কিশোর–তরুণদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘তথ্য যাচাই করে তাঁদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আমরা তাঁদের পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করেছি।’
এর আগে গত রোববার মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের এমআইটিটি বন্দর থেকে ২০ বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস সমুদ্র অভিযানে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা করেন। আজ সকালে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়।