ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো লড়তে ভালোবাসেন। আর লড়াই তো এক অর্থে যুদ্ধই। মাঠে তো সেই যুদ্ধ করেনই, যুদ্ধ চলে তাঁর নিজের সঙ্গেও। প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টায়। সে জন্যও অন্য এক যুদ্ধ করতে হয় রোনালদোকে। শরীরকে ফিট রাখার যুদ্ধ। সেখানেও মজাদার সব খাবার পরিহার করে একদম ঘড়ি ধরে সবকিছু করাও তো আরেক যুদ্ধই!

আরও পড়ুনকোর্তোয়া ফিরলেন ‘লালগালিচায়’, বেলজিয়াম দলে আবার বিতর্ক১ ঘণ্টা আগে

রোনালদোর জীবনে এই যে যুদ্ধের পর যুদ্ধ, তাতে লাভটা কার হচ্ছে বলুন তো? অবশ্যই রোনালদোর। চল্লিশ বছর বয়সেও গোল করে চলছেন। গতকাল রাতেও যেমন গোল করলেন আল নাসরের হয়ে সৌদি প্রো লিগে। শুধু তা–ই নয়, একই দিনে নেশনস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে ডেনমার্ক ম্যাচের জন্য ডাক পেয়েছেন পর্তুগাল জাতীয় দলেও।

গোল করে চিরাচরিত উদ্‌যাপন রোনালদোর.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভোরে গ্রেপ্তার, বিকেলে জামিন 

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ভবনে হট্টগোল ও চেয়ারম্যানসহ কমিশনারদের অবরুদ্ধ করার ঘটনায় সংস্থার পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে একই দিন বিকেলে জামিনও পেয়েছেন তিনি। 

শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভোরে পটুয়াখালীর বাউফলে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেদিন বিকেলে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।

মোহতাছিন বিল্লাহর পক্ষে আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

শনিবার (১৫ মার্চ) শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম জামিনের তথ্য জানান। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার ১৬ আসামির সবাই জামিন পেয়েছেন। গত ৯ মার্চ সাত জন এবং ১০ মার্চ ৬ জন আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। এরপর দুই জনও জামিন নেন। সর্বশেষ মোহতাছিন বিল্লাহ গ্রেপ্তারের পর জামিন পেলেন। জামিনযোগ্য ধারা হওয়ায় তারা জামিন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিএসইসি ভবনে হট্টগোল এবং চেয়ারম্যানসহ কমিশনারদের অবরুদ্ধ করার ঘটনায় গত ৬ মার্চ রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মোহতাছিন বিল্লাহসহ ১৬ জনকে আসামিকে করে মামলা দায়ের করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান। 

অপর আসামিরা হলেন-বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম (৫৭) এবং রেজাউল করিম (৫৪),  যুগ্ম পরিচালক রাশেদুল ইসলাম (৪৮), উপ-পরিচালক বনী ইয়ামিন (৪৫) এবং শহিদুল ইসলাম (৪২), লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী (৩১), অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম (৫০), সহকারী পরিচালক জনি হোসেন (৩১), রায়হান কবীর (৩০), আব্দুল বাতেন (৩২), সাজ্জাদ হোসেন (৩০), ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ (২৯),  উপ-পরিচালক আল ইসলাম (৩৮), সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান (৫৮) এবং উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম (৩২)।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ৫ মার্চ বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করেছিলেন সংস্থাটির কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। তারা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী কমিশনের মূল ফটকে তালা দেন। সিসি ক্যামেরা, ওয়াই-ফাই, লিফট বন্ধ করে দেন এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে অরাজকতা ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে গুরুতর জখমের চেষ্টা করা হয়।

আরো জানা যায়, বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে এবং কমিশনার মো. মহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর ও ফারজানা লালারুখের উপস্থিতিতে কমিশনের নির্ধারিত সভা চলাকালে অভিযুক্তরাসহ আরো কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী কমিশনের সভাকক্ষে জোরপূর্বক ও অনধিকার প্রবেশের মাধ্যমে কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনারগণকে অবরুদ্ধ করেন।


ঢাকা/মামুন/এনটি/ইভা 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ