খুব শিগগিরই মুক্তি পাবে তিন নবাগত অভিনেতার নিয়ে নির্মিত ‘পিন্টু কি পাপ্পি’। গত সোমবার এই ছবির এক মিউজিক্যাল সাফল্যের পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। গানে গানে মুখর এই আয়োজনে ছিল নানা প্রজন্মের তারকাদের উজ্জ্বল উপস্থিতি। রেখা থেকে অজয়, অনেকে এসেছিলেন এ আসরে।

বলিউডের নামী কোরিওগ্রাফার গণেশ আচারিয়ার ছবি ‘পিন্টু কি পাপ্পি’র জোর প্রচারণা চলছে। এই ছবির প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন অজয় দেবগন ও রেখার মতো তারকারা। অনুষ্ঠানে অজয় বলেন, ‘আমি এখানে আমার বন্ধু গণেশের (আচারিয়া) কারণে এসেছি। তবে ও শুধু আমার বন্ধু নয়, এর বাইরে দুর্দান্ত এক কোরিওগ্রাফার। আর আমার মতো মানুষকেও ও নাচ করাতে পারে। আর আমি এই ছবির তিন নতুন প্রতিভাকে শুভকামনা জানাতে এখানে এসেছি। আমি আশা করি যে তারা দারুণ কাজ করবে।’


জীবনের উত্থান–পতনের নানা সময়ে কীভাবে চলতে হবে, এ ব্যাপারে নবাগতদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয় অজয়কে। এই বলিউড সুপারস্টার নবীন অভিনেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘জীবনের ভালো বা খারাপ সময় বলে কিছু নেই। জীবনে সব সময় তুমি তোমার সঙ্গে থাকবে। নিজের কাজের প্রতি আস্থা রাখো। পরিশ্রম করতে থাকো। সারা দুনিয়া তখন তোমাদের চাইবে। তোমরা তোমাদের কাজ করে যাবে।’
১৯৯১ সালে ‘ফুল অউর কাঁটে’ ছবির মধ্য দিয়ে অজয়ের বলিউডে অভিষেক হয়েছিল। অভিষেক ছবি মুক্তির আগে তাঁর মানসিক অবস্থার কথা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করতে পারছি না। ৩২-৩৩ বছর পার হয়ে গেছে। তখনকার দিনকাল অন্য রকম ছিল। তখন এত মিডিয়া ছিল না। ওই সময়ে আমরা আমাদের ছবি মুক্তির এক সপ্তাহ পর জানতে পারতাম যে ছবিটা হিট না ফ্লপ হয়েছে। তাই তখন আমাদের ওপর অতটা চাপ ছিল না। এখনকার অভিনেতারা অনেক বেশি চাপের মধ্যে থাকে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনেতাদের হরহামেশাই ট্রল হতে হয়। অজয় কীভাবে এসব সামলান, অভিনেতার জবাব, ‘এসব দেখার আমার সময় নেই৷ আর যাঁরা বিশেষ মানুষ, তাঁদের নিয়ে তো সবাই কথা বলবেই।’

অজয় দেবগন’। এএফপি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন দেবে জাতিসংঘ: গুতেরেস

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। শনিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে জাতিসংঘের নতুন ভবনে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এই আশ্বাস দেন।

জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের কথা স্মরণ করে গুতেরেস বলেন, তারা এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ সময় তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা করেন।

গুতেরেস জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখতে এবং জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলন করতে গুলশানে জাতিসংঘের নতুন ভবন পরিদর্শনে যান। বাংলাদেশে জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে তিনি ভবন পরিদর্শন করেন।

গুতেরেস এবং শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত বিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান যৌথভাবে গুলশানে ‘ইউএন হাউস ইন বাংলাদেশ’ উদ্বোধন করেন। এ সময় সেখানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস।

সম্পর্কিত নিবন্ধ