পায়ের মাংসপেশিতে টান লাগার সমস্যা নিয়ে রোজ অনেকেই যান চিকিৎসকের কাছে। রোগীরা তাঁদের ভাষায় সমস্যা সম্পর্কে বলেন, ‘পায়ের মাংসপেশি চাবায় বা কামড়ায়’, ‘রগ টেনে ধরে’। অনেকে মাংসপেশিতে টান লাগার ফলে কতটা অস্বস্তিতে পড়েন, সেটাও বুঝিয়ে বলেন।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই সমস্যাকে বলে ‘লেগ ক্র্যাম্প’। হঠাৎ করে পায়ের বিভিন্ন অংশের মাংসপেশির সংকোচনই হলো লেগ ক্র্যাম্প। হঠাৎ করে শুরু হয় এবং কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ফলে পায়ে অস্বস্তি কাজ করে। শারীরিক কোনো ক্ষতি না করলেও বেশ কষ্টের অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে; এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও যথেষ্ট ব্যাহত হয়।

যাঁদের বেশি হয়

লেগ ক্র্যাম্প বয়স্ক মানুষদের বেশি হয়। বয়সের কারণে মাংসপেশির গঠন ও কার্যকারিতা পরিবর্তন হয়ে এ রকম হতে পারে। কম বয়সীদেরও হতে পারে।

লেগ ক্র্যাম্প বয়স্ক মানুষদের বেশি হয়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুচলেকা দিয়ে জামিন পেলেন এলজিইডির সেই নির্বাহী প্রকৌশলী

নাটোরের সিংড়ায় জব্দ একটি প্রাইভেটকার ও ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকাসহ থানা হেফাজতে থাকা গাইবান্ধার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাবিউল ইসলামকে শর্ত সাপেক্ষে মুচলেকা নিয়ে জামিন দিয়ে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বা আদালত তলব করা মাত্র তাকে যথাসময়ে হাজির হতে হবে-এমন মুচলেকা দেন তিনি।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুদকে আবেদনসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পাঠানো হচ্ছে। তারাই তদন্ত সাপেক্ষে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসমাউল হক জানান, জব্দ একটি প্রাইভেটকার ও নগদ ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা থানা হেফাজতে রাখা আছে। দুদক অথবা সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চাওয়া মাত্র আইনি প্রক্রিয়ায় তা দেওয়া হবে।  

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ২টার দিকে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের চলনবিল গেট এলাকায় পুলিশের নিয়মিত চেকপোস্টে প্রাইভেটকারে তল্লাশির সময় গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাবিউল ইসলামের কাছ থেকে ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা জব্দ করে পুলিশ। একই সঙ্গে গাড়িটি জব্দ করে ওই প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।

মো. সাবিউল ইসলাম রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে গাইবান্ধায় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। তার আদি বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায় বলে জানা গেছে।

ওসি আসমাউল হক জানান, জিজ্ঞাসাবাদে টাকার উৎসের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যপ্রমাণ দেখাতে পারেননি মো. সাবিউল ইসলাম। তবে তিনি গাইবান্ধার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী তা নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরে তাকে শর্ত সাপেক্ষে মুচলেকা নিয়ে জামিন দেওয়া হয়েছে। 

ওসি বলেন, “সাবিউল ইসলাম পুলিশকে প্রথম দিকে জানিয়েছিলেন যে, তার কাছে জমি বিক্রির ৩০ লাখ টাকা আছে। পরে গুনে আরও ৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা বেশি পাওয়া যায়। এসব টাকা আদৌ জমি কেনাবেচার বৈধ টাকা, নাকি ঘুষের টাকা তা খতিয়ে দেখবে দুদক। তাই তার বিরুদ্ধে তদন্ত করাসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুদকে আবেদনসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পাঠানো হচ্ছে। তারাই তদন্ত সাপেক্ষে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন। এখনও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি, বিষয়টি তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে।

ঢাকা/আরিফুল/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ