পাবনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে সংবাদকর্মী গ্রেপ্তার
Published: 15th, March 2025 GMT
ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে এটিএন বাংলার পাবনা প্রতিনিধি মোবারক বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর আগেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ৫টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) তাকে পাবনা পৌর এলাকার রাধানগর ময়দানপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মোবারক বিশ্বাস ময়দানপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সামাদ বিশ্বাসের ছেলে এবং এটিএন বাংলা ও দৈনিক খবরপত্রের পাবনা প্রতিনিধি। আগের ৫টিসহ এ নিয়ে ৬টি মামলার আসামি হলেন তিনি।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাবনার কোমরপুরের তামান্না এন্টারপ্রাইজের মালিক তোফাজ্জল বিশ্বাসকে সংবাদ প্রকাশের হুমকি দিয়ে বিপুল অংকের টাকা দাবি করেন মোবারক। দিতে অস্বীকার করলে অস্ত্র দেখিয়ে হত্যার হুমকিও দেন তিনি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, “তার বিরুদ্ধে আমরা একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ পেয়েছি। সেই অভিযোগে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
পাবনায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতার কারণে ৫ আগস্ট তাকে গণপিটুনি দেয় ছাত্র-জনতা। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে যোগসাজসে এসব অপকর্ম করেছিলেন, কিন্তু পটপরিবর্তনে বিএনপিপন্থি পরিচয়ে দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করছিলেন তিনি।
পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার বলেন, “কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তিনি যদি কোন অপকর্ম করে থাকেন তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
ঢাকা/শাহীন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এডিপির ব্যয় আগের চেয়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা কম
দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতি আরও স্থবির হয়ে পড়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত গত ৯ মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ৩৭ শতাংশেরও কম।
গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল ৪২ শতাংশেরও বেশি। অন্যদিকে একক মাস হিসেবে মার্চে এডিপি বাস্তবায়নের হার ৭ শতাংশেরও কম, যা গত অর্থবছরের একই মাসে ছিল ৯ শতাংশ। সব মিলিয়ে ৯ মাসের ব্যয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা কম।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এ বিষয়ে হালনাগাদ প্রতিবেদন আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে।
এতে দেখা যায়, গত ৯ মাসে বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৮২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৭ হাজার ৬১২ কোটি টাকা। আগের একই সময়ের চেয়ে ব্যয় কমেছে ২৪ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। একক মাস মার্চে ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা। এ ব্যয় গত বছরের মার্চে ছিল ২২ হাজার ১০ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাসের হিসাবে মার্চে উন্নয়ন ব্যয় গত বছরের মার্চের চেয়ে ৬ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা কম।
চলতি অর্থবছরে ১ হাজার ৩২৭টি প্রকল্প, ১৭টি উপপ্রকল্প ও উন্নয়ন সহায়তা থোক হিসেবে ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্পের বিপরীতে মূল এডিপিতে বরাদ্দের পরিমাণ ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা। তবে বাস্তবায়নে স্থবিরতার কারণে এডিপি সংশোধন করে সংশোধিত এডিপির (আরএডিপি) আকার রেকর্ড পরিমাণ ছোট করা হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল এডিপি থেকে ব্যয় কমানো হয়েছে ১৮ শতাংশ বা ৪৯ হাজার কোটি টাকা। এতে আরএডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা।