বিশ্ববাজারে বাড়ছেই সোনার দাম, ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাব
Published: 15th, March 2025 GMT
বিশ্ববাজারে সোনার দাম অব্যাহতভাবে বাড়ছে। আজ শনিবার আউন্সপ্রতি দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৮৭ ডলার। আজ সকালে বিশ্ববাজারে সোনার দাম ছিল প্রতি আউন্স ২ হাজার ৯৮৬ দশমিক ৫ ডলার। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তার জেরে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ছিল প্রতি আউন্স ২ হাজার ৯৪৭ দশমিক ৯০ ডলার। বাস্তবতা হলো, গত ৩০ দিনে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়েছে ৬৩ দশমিক ১৪ ডলার। এর মধ্যে গত ৯ দিনে বেড়েছে প্রায় ৫৮ ডলার। ফলে বাংলাদেশ, ভারতসহ সব দেশের বাজারে সোনার দাম বেড়েছে।
নানা কারণে সোনার দাম বাড়ছে। তার মধ্যে আছে ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, বিভিন্ন দেশের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির চাপ ও তার জেরে শুল্কযুদ্ধের আশঙ্কা। ফলে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। সুরক্ষিত বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে অনেকে সোনার দিকে ঝুঁকছেন। শেয়ারবাজার থেকে পুঁজি প্রত্যাহার করেও অনেকে কিনছেন।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের প্রধান বাজার কৌশলবিদ জো কাভাতোনি বলেছেন, চলমান ভূ–অর্থনৈতিক সংকট ও অনিশ্চয়তার কারণে মানুষ নিজেদের অর্থ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে শঙ্কিত। এ পরিস্থিতিতে তাঁর ধারণা, মানুষ নিরাপদ বিনিয়োগমাধ্যম হিসেবে আবারও সোনার দিকে ঝুঁকছেন এবং সে কারণে সোনার দাম বাড়বে।
ট্রাম্প যেভাবে শুল্ক আরোপ করছেন, তাতে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। এর পাল্টা হিসেবে অন্যান্য দেশও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে শুল্ক আরোপ করবে। ফলে ওই সব দেশেও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকে যায়। এসব কারণেও মানুষ সোনার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন বলে মনে করেন জো কাভাতোনি।
সোনার ব্যবহার কেবল গয়নার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার রিজার্ভ আবার বাড়ছে। মানুষও সোনার বার ও সোনাভিত্তিক এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ) বিনিয়োগ বাড়ছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, গত বছর সারা বিশ্বে সোনা বেচাকেনা হয়েছে ৪ হাজার ৯৭৪ টন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা কেনা বাড়ছে। ২০২৪ সালে এ নিয়ে টানা তিন বছর বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সম্মিলিতভাবে এক হাজার টনের বেশি সোনা কিনেছে। গত বছর সবচেয়ে বেশি সোনা কিনেছে পোল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারা কিনেছে ৯০ টন সোনা।
গোল্ড প্রাইস ডট অর্গের তথ্যানুসারে, গত ছয় মাসে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়েছে ৩৯৬ দশমিক ১৫ ডলার। এক বছরে বেড়েছে ৮২২ দশমিক ৮৩ ডলার; পাঁচ বছরে কমেছে ১ হাজার ৪৯৩ দশমিক ৮৮ ডলার। এ ছাড়া গত ২০ বছরে সোনার দাম বেড়েছে ২ হাজার ৫৩৮ দশমিক ৪২ ডলার।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশেও সোনার দাম হ্রাস-বৃদ্ধি করা হয়। সর্বশেষ ৮ মার্চ সোনার দাম দেশের বাজারে কমানো হয়। সেই দফায় ভরিতে দাম কমানো হয় ১ হাজার ৩৮ টাকা। এতে প্রতি ভরি সোনার দাম দাঁড়ায় ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৬২ টাকা।
ভারতের বাজারে সোনার দাম এখন সর্বোচ্চ। জিএসটি নিয়ে সোনার দাম পেরিয়ে গেছে ৯০ হাজার রুপি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সেবায় ছাত্রদল
শেরপুর জেলা শহরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার বিভিন্ন কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের মাঝে কলম, পেন্সিল, পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে শেরপুর জেলা ছাত্রদল। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের জিকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ অন্যান্য কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর আগে ছাত্রদল এ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এ সময় সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা, অভিভাবকদের তীব্র গরম থেকে স্বস্তি দিতে ছায়ায় বসার ব্যবস্থা করে সংগঠনটি। এছাড়াও মোবাইল, ব্যাগ ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র জমা রাখাসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়েছে ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নিয়ামুল হাসান আনন্দ। এ সময় সাধারণ সম্পাদক নাইম হাসান উজ্জ্বল, সাংগঠনিক সম্পাদক ও শেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন, থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শারদুল ইসলাম মুরাদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক নাট্য বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিনালসহ জেলা ছাত্রদলের অধীনস্থ শহর, থানা ও কলেজ ছাত্রদলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
তিয়ানশির জালে কুমিল্লার শিক্ষার্থীরা, স্বপ্ন দেখিয়ে প্রতারণা
কুয়েটের ৫ হলের তালা ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা, ভিসির পদত্যাগের একদফা
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাইম হাসান উজ্জ্বল বলেন, সারা দেশে গরম পড়ছে। এতে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। তাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় তাদের কিছুটা হলেও প্রশান্তি দেওয়ার জন্য পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান নেওয়া অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা, তাদের পানি ও খাবার স্যালাইন দেওয়া হয়।
ঢাকা/তারিকুল/বকুল