টি–টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড, সুপার ওভারে শূন্য
Published: 15th, March 2025 GMT
সুপার ওভার মানে ৬ বলের খেলা। চার–ছক্কা মারার চেষ্টা সুপার ওভারে থাকে আরও বেশি। যা করার তো এই ৬ বলেই করতে হবে! তাই সুপার ওভারে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং দেখতেই অপেক্ষা করেন সমর্থকেরা। কিন্তু কাল মালয়েশিয়ায় ত্রিদেশীয় সিরিজে বাহরাইন ও হংকং ম্যাচে দেখা গেল ভিন্ন এক ঘটনা। হংকংয়ের বিপক্ষে সুপার ওভারে কোনো রান না করেই গুটিয়ে যায় বাহরাইন, যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম।
টি-টোয়েন্টিতে সুপার ওভারে এর আগে সর্বনিম্ন ছিল গত বছরের জানুয়ারিতে আফগানিস্তানের করা ১ রান। ভারতের বিপক্ষ সে টি-টোয়েন্টিতে সেটি ছিল ম্যাচের দ্বিতীয় সুপার ওভার।
প্রথম সুপার ওভারে দুই দলই ১৬ রান তুললে ম্যাচের মীমাংসার জন্য দ্বিতীয় সুপার খেলতে হয়। সেখানেই ভারতের করা ১১ রানের জবাব দিতে ১ রান করতেই সুপার ওভারের নিয়ম অনুযায়ী ২টি উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় আফগানিস্তান। নিয়ম অনুসারে, সুপার ওভারে কোনো দলের সর্বোচ্চ উইকেট পড়তে পারে দুটিই!
কাল বাহরাইন অবশ্য সুপার ওভারে আগে ব্যাটিং করেছে। প্রথম বল ডট হওয়ার পর উইকেট হারিয়েছে পরের দুই বলেই। সুপার ওভারে মেডেন দেওয়ার কীর্তি গড়েন হংকং পেসার ইহসান খান। হংকংয়ের ব্যাটসম্যান বাবর হায়াত ১ রানের লক্ষ্য ছুঁতে গিয়ে আবার ডট খেলেছেন সুপার ওভারের প্রথম দুই বল। তিন নম্বর বলে এক রান নিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছেন বাবর। ত্রিদেশীয় সিরিজের বাকি দলটি মালয়েশিয়া।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এ ঘটনা নতুন হলেও টি-টোয়েন্টি লিগে এটা নতুন কিছু নয়। টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে সুপার ওভারে কোনো রান না করতে পারার ঘটনা আছে একাধিকবার। এর শুরুটা ২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগে।
দিল্লিতে সাসেক্সের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার দল ঈগলসের হয়ে সিজে ডি ভিলিয়ার্স সুপার ওভার মেডেন দিয়েছিলেন। সুপার ওভারে মেডেন দেওয়া বোলারদের একজন সুনীল নারাইনও। তিনি অবশ্য এ তালিকায় একটু ব্যতিক্রম।
নারাইন সেদিন ওভারের ৬টি বলই করেছেন। ম্যাচটি ছিল ২০১৪ সালের সিপিএলে। গায়ানা অ্যামাজন ও ত্রিনিদাদ ও টোবাগো রেড স্টিলের সে ম্যাচে গায়ানার হয়ে খেলছিলেন নারাইন। তাঁর করা সেই ওভারে প্রথম ৪ বল ডট খেলার পর পঞ্চম বলে আউট হন নিকোলাস পুরান। ওভারের শেষ বলটি ডট খেলেন রস টেলর।
ওয়ানডে ক্রিকেটে সুপার ওভার হয়েছে ৪ বার, যেখানে সর্বনিম্ন রান ২। ২০২০ সালে নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সুপার ওভারে ২ রান করেছিল পাকিস্তান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠক আজ
দেড় দশক পর আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। এতে অবিভক্ত পাকিস্তানের সম্পদ থেকে ন্যায্য হিস্যা হিসেবে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করবে বাংলাদেশ।
তহবিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন খাতের হিস্যা হিসেবে এই অর্থ বাংলাদেশ পাবে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বাংলাদেশ এবং আমনা বালুচ পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে দু’দেশের সম্পর্কের নানা বিষয়সহ ঐতিহাসিক অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে।
সর্বশেষ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল ২০১০ সালে।
বৈঠক উপলক্ষে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ গতকাল বুধবার ঢাকায় আসেন। আজ সকালে তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন। মধ্যাহ্নভোজের পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং এর পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। গতকাল আমনা বালুচ ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত দেশটির ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে ১৯৭১ পূর্ববর্তী সময়ের হিস্যা অনুসারে ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার পাবে। এর একটি বড় অংশ ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পাঠানো হয়েছিল। জানা গেছে, ২০ কোটি ডলারের বৈদেশিক সহায়তা এসেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঢাকা শাখা থেকে এই অর্থ লাহোর শাখায় সরিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া পাকিস্তান ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসা সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সঞ্চয়পত্রের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।
পরিকল্পনা কমিশনের মতে, সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা ৯০ লাখ টাকা আটকে রেখেছিল পাকিস্তান সরকার। যুদ্ধকালে রূপালী ব্যাংকের করাচি শাখায় রাখা ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকাও ফেরত আসেনি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি অর্থের অর্ধেক ৪৩৫ কোটি রুপির দাবিদার বাংলাদেশ। পাকিস্তানের ব্যাংকিং বিভাগ থেকেই বাংলাদেশ পাবে প্রায় ৬০ কোটি রুপি।