বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে সফটওয়্যার প্রকৌশল বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাহাত জামান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের নাঈম সরকার মনোনীত হয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো.

রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ৭৬ সদস্যের কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে নতুন কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর এম এ রাকিবকে সভাপতি ও আসাদ খানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৬ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এর আট বছরের বেশি সময় পর নতুন কমিটি হলো।

গত বছরের ৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় ব্যানারে আপাতত রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কর্তৃপক্ষ। এর পর থেকে ক্যাম্পাসের ভেতরে কোনো ছাত্রসংগঠনকেই দলীয় ব্যানারে কর্মসূচি করতে দেখা যায়নি। তবে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রাজনীতি করার অভিযোগ রয়েছে সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ ছাড়া সৌদি ক্যাম্পে বাফুফেতে অসন্তোষ!

জাতীয় ফুটবল দলের সবকিছু দেখার কমিটি আছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে। জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান স্বয়ং বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। এই কমিটিতে আছেন সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসানসহ সাবেক ফুটবলাররাও। সব আলোচনার ভিত্তিতেই জাতীয় ফুটবল দলকে সৌদি আরবে ক্যাম্প করতে পাঠিয়েছে বাফুফে। কিন্তু এই ক্যাম্পে দলের সার্থকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে খোদ বাফুফের অভ্যন্তরেই। 

প্রশ্ন ওঠার বড় কারণ, লাখ লাখ টাকা খরচ করে সৌদি আরবে গিয়ে কোনো শক্তিশালী দেশের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে না পারায়। এত অর্থ ব্যয় করে সৌদি ক্যাম্প করার চেয়ে ঢাকায় অনুশীলন করলে আরও লাভ হতো বলে মনে করেন অনেকে। ওই অর্থ দিয়ে ঢাকায় কোনো দেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ভারত ম্যাচের প্রস্তুতি নেওয়া যেত বলে বিশ্বাস ফুটবল-সংশ্লিষ্টদের।

২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের জন্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্প শুরু করেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। ঢাকায় কয়েক দিন অনুশীলনের পর ৫ মার্চ সৌদি আরবে চলে যায় দল। সেখানে যাওয়ার পর সুদানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়নি। তায়েফের আল ওয়েদাতের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে। অথচ ভারত আসল লড়াইয়ের আগে ১৯ মার্চ এই শিলংয়ে মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচ খেলছে। আর বাংলাদেশের প্রস্তুতি বলতে সৌদি ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচ। 

ম্যাচ না খেলে সৌদি আরবে এভাবে ক্যাম্প করাটা ভালোভাবে নেননি অনেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাফুফের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গতকাল সমকালের কাছে নিজের অসন্তোষ এভাবে প্রকাশ করেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মতামত এর পর থেকে সৌদি আরবে তখনই দল পাঠাব, যদি বড় কোনো দেশের সঙ্গে ম্যাচ খেলার নিশ্চয়তা পাই। অন্যথায় বাংলাদেশে অনুশীলন করিয়ে বিভিন্ন দেশকে এখানে এনে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলানোর পক্ষে আমি। যে টাকা খরচ করে সৌদি আরবে দল পাঠাব, সেই অর্থ দিয়ে দেশের মাটিতে কোনো দলকে এনে খেলালে আমাদের লাভ হতো। এই বিষয়টি আমি ভবিষ্যতে বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভাতে বলব। সামনে যে দলের সঙ্গেই খেলা, তার আগে ঢাকায় কোনো দলকে এনে ম্যাচ খেলাব।’ কোচ ক্যাবরেরার পরিকল্পনা নিয়েও প্রশ্ন এই কর্তার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ