টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহাসড়কে উল্টে পড়া ট্রাকে অপর ট্রাকের ধাক্কায় এক শ্রমিক নিহত হ‌য়ে‌ছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসিসহ ৬ জন। তাদের উদ্ধার ক‌রে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হ‌য়ে‌ছে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দি‌কে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম ইলিয়াস। তার বাড়ি রংপুরে।

হাইওয়ে পুলিশ জানায়, মির্জাপুর বাইপাস এলাকায় উত্তরবঙ্গ থেকে আসা একটি আলুর ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারি‌য়ে মহাসড়‌কের ওপর উল্টে যায়। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি উদ্ধার ও আলু অন্য ট্রাকে তেলার সময় পেছন থেকে আরেক‌টি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে ইলিয়াস নামের এক শ্রমিক মারা যান। এ সময় ট্রাকের পাশে থাকা গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি মাসুদ খান, সার্জেন্ট ও দুই পুলিশ সদস‌্যসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। আহত‌দের উদ্ধার ক‌রে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হ‌য়ে‌ছে।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

পাবনায় সড়কে ঝরল বাবা-ছেলের প্রাণ

গোড়াই হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিরাজ বলেন, ‘‘ওসিসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হ‌য়ে‌ছেন। তা‌দের কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এক শ্রমিক মারা গেছেন।’’

ঢাকা/কাওছার/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন হ ইওয়

এছাড়াও পড়ুন:

বসন্তের প্রকৃতিতে রক্তকাঞ্চনের সাজ

বসন্তের প্রকৃতি সেজেছে পলাশ, শিমুলসহ নানা ফুলের রঙে। এর সাথে রং লেগেছে রক্তকাঞ্চনেও। মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাশে রাজনগর উপজেলার নন্দীউড়া গ্রামের হীরা সেনের বাড়িতে শোভাবর্ধণের জন্য পথের ধার ঘেঁষে রোপণ করেন রক্তকাঞ্চনের গাছ। চলতি বসন্তে রঙিন হয়ে ফুটেছে কাঞ্চন। নজর কাড়া সেই ফুল দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন প্রকৃতি প্রেমীরা।

রক্তকাঞ্চনের বৈজ্ঞানিক নাম Bauhinia variegate. Gi cwievi Fabaceae ইংরেজী নাম Camelos foot Tree. এটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় বৃক্ষ। গাছ ১০ থেকে ১২ ফুট লম্বা হয়। মূল কাণ্ডের সাথে একাধিক কাণ্ড দেখা যায়। পাতাগুলো দেবকাঞ্চনের চেয়ে আকারে ছোট, গড়ন গোলাকার, আগার দিকে বিভক্ত। বীজ ও কলমে চাষ হয়। 

এর আদি আবাস ভারতীয় উপমহাদেশে। বাড়িতে এ বৃক্ষ শোভাবর্ধনকারী হিসেবে সমাদৃত। তবে পার্ক ও সড়কের দুধারেও লাগানো হয় ওই গাছ। ফুল ফুটলে এ কাঞ্চনের রূপে বিমোহিত হয় মানুষ। বসন্তে প্রায় নিষ্পত্র গাছ গোলাপি-বেগুনি রঙের ফুলে ছেয়ে থাকে। তার পাঁচটি পাপড়ির মধ্যে একটি বড় ও গাঢ় রঙের, তাতে রয়েছে কারুকার্যতা এর ফল শিমের মতো।

রক্তকাঞ্চনের একটি সাদা ফুলের জাতও আছে, ভারি সুন্দর। এলাকায় গেলে দেখা হয় পথচারী কামরান আহমদের সাথে তিনি বলেন, “বসন্তে নানা ফুলে প্রকৃতি সাজে। এর মধ্যে রক্তকাঞ্চন ফুলটা আলাদা ধরনের, দেখতে মনোহরী।”

এসময় কথা হয় এলাকার জুয়েল মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, “হরেক রকম ফুল প্রকৃতিতে দেখা যায়। কিছু কিছু ফুল মানুষের মন ভরে দেয়। নন্দীউড়া গ্রামের হীরা সেনের বাড়ির প্রবেশ পথ দিয়ে যেতে যেতে পাশে চোখ পড়লে মনে হবে অতিথিকে অর্ভ্যথনা জানাতে রক্তকাঞ্চনের দু’টি গাছ দাঁড়িয়ে আছে।”

হীরাসেন বলেন, “বাড়ির শোভাবর্ধনের জন্য দু’টি গাছ কয়েক বছর আগে রোপন করি। এবার রক্তকাঞ্চনের ফুল ফুটেছে। এছাড়াও আমার বাড়িতে আরো অনেক জাতের ফুল গাছ রয়েছে। বিভিন্ন পূজা-পার্বণে বিভিন্ন ধরনের ফুল প্রয়োজন হয়, তাই অনেক জাতের ফুল গাছ লাগাই। রক্তকাঞ্চন অনেকটা বিলুপ্তির পথে। আগের মত এর দেখা মেলে না।”

ঢাকা/আজিজ/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ