তানোরে পুত্রবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শ্বশুর আটক
Published: 15th, March 2025 GMT
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ছেলের করা মামলায় বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নিজ পুত্রবধূকে শ্লীলতাহানির ঘটনাটি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা অভিযুক্তের বাড়ি ঘিরে রাখেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে নেন। পরে মামলা দায়ের হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ওই ব্যক্তির নাম হাবিবুর রহমান (৪০)। তিনি তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে দেওয়া তথ্যমতে, হাবিবুর রহমানের ছেলে রবিউল ইসলাম (২০) প্রতিদিনের মতো গত বুধবার সকালে রাজমিস্ত্রির কাজে বের হয়ে যান। এরপর সকাল ১০টার দিকে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান তার পুত্রবধূকে শোবার ঘরে ডেকে নেন। এ সময় ওই নববধূর শরীরের স্পর্শকাতর অংশে হাত দেন এবং মুখ চেপে ধরে তার কাপড় খুলতে ও তাকে বিছানায় শোয়াতে চেষ্টা করেন। এ সময় ওই নববধূর পরনের জামা ছিঁড়ে যায়। একপর্যায়ে বাড়ির আশপাশে মানুষের উপস্থিতি টের পেলে হাবিবুর রহমান তার ছেলের স্ত্রীকে ছেড়ে দেন।
এই ঘটনার পর হাবিবুরের ছেলের স্ত্রী ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে তার বাপের বাড়িতে চলে যান। নববধূর বাবা অভিযুক্ত হাবিবুরের ভায়রা (আত্মীয়)। এদিকে হাবিবুরের ছেলে রবিউল বুধবার বিকেল ৫টার দিকে বাড়িতে ফিরে এসে জানতে পারেন তার স্ত্রী বাড়িতে নেই। পরে তিনি তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে নববধূর সাথে কথা বলে সব জানতে পারেন।
এই ঘটনায় নিজের বাবা হাবিবুর রহমানের নামে তানোর থানায় লিখিত এজাহার দেন তার ছেলে রবিউল ইসলাম।। যার মামলা নং ১৬। শুক্রবার পুলিশ গিয়ে হাবিবুর রহমানকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই মামলায় অভিযুক্ত হাবিবুরের স্ত্রী তসরী বেগম টপিকেও সাক্ষী করা হয়েছে।
তানোর থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন তার ছেলের স্ত্রীর মন খারাপ দেখে তিনি তাকে ঘরে ডাকে কথা বলার একপর্যায়ে তার হাত ধরেন। তবে তার ছেলের স্ত্রীর দাবি তার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। ধারা ১০ নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) যৌন নিপীড়ন অপরাধে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হ ব ব র রহম ন নববধ র
এছাড়াও পড়ুন:
আমার মেয়ে বিদায়ী সৌদি রাষ্ট্রদূতের দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চায়নি
‘সৌদি আরবের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের প্রতারণার শিকার আমার মেয়ে মেঘনা। ছয় মাস ধরে তার সঙ্গে মেয়ের ঘনিষ্ঠতা। তার দুই থেকে তিন মাস আগে থেকে তাদের মধ্যে পরিচয়।’ মডেল মেঘনা আলমেরব বাবা বদরুল আলম সমকালকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মেঘনা ‘মিস বাংলাদেশ’ নামে একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করেছিল। তার মাধ্যমে দেশে–বিদেশে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে অনেক বিশিষ্টজন, গুণী লোকজন আসতেন। ঢাকায় সেই ধরনের একটি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সব জানেন। তিনি দু’জনকে সহযোগিতা করেন। এরপর মেঘনার সঙ্গে বিদায়ী দূতের মধ্যে ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। একপর্যায়ের প্রেমের সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। এরপর বিয়ে করতে চান। গত ৪ ডিসেম্বর মেঘনা ও দুহাইলানের আংটি বদল হয়েছিল বলে দাবি করেন বদরুল। তবে দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তিনি।
বদরুল বলেন, মেঘনার বসুন্ধরার বাসায় আসা–যাওয়া ছিল বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের। সম্পর্কের একপর্যায়ে মেঘনা জানতে পারে তার স্ত্রী ও ছেলে–মেয়ে রয়েছে। তখন সে আংটি ফেরত দেয়। সে কারো দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চায়নি। সৌদি দূতের স্ত্রীকে ঘটনাটি জানায়। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত। হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে মেঘনা ফেসবুক এ সম্পর্কে কিছু লেখা পোস্ট করেন। এরপরই মেঘনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন দুহাইলান।
মেঘনার বাবা আরও বলেন, প্রতারণার শিকার হয়েছে এটা জেনেও মেঘনা চেয়েছিল বিদায়ী রাষ্ট্রদূত তার কাছে এসে দুঃখ প্রকাশ করুক। কিন্তু সেটা করেননি তিনি। উল্টো বিনা অপরাধে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে। বিষয়টির সমঝোতার চেষ্টা করা হলে শেষ পর্যন্ত হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে বদরুল বলেন, কেন আমার মেয়ে তাকে ফাঁসাবে। যদি সে অন্যায় করত তাহলে তার বিরুদ্ধে তো সুনির্দিষ্ট মামলা হত। আইন সবার জন্য সমান। আমরা এখন ন্যায় বিচার চাই। সরকার আমার মেয়ের নিরাপত্তা দেবে এটা আমার দাবি।
মেঘনার বাবা বলেন, নর্থ–সাউথে পড়াশোনার সময় বসুন্ধরা একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে মেঘনা থাকত। সেখানে মাঝে মাঝে আমরা যেতাম। পরিবারের অন্যরা বেইলী রোডে থাকি।