ভারতের চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের অন‌্যতম নায়ক বরুণ চক্রবর্তী। ডানহাতি স্পিনার বেশ বৈচিত্র‌্যপূর্ণ বোলিং করে কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন চ‌্যাম্পিয়নদের জন‌্য।

ফাইনালে ভারত যখন নিউ জিল‌্যান্ডের উইকেটের জন‌্য কাতরাচ্ছিলেন তখন বরুণ ব্রেক থ্রু এনে দেন। পরবর্তীতে নেন আরো ২ উইকেট। সব মিলিয়ে চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তার শিকার ৯ উইকেট। অনেক ঘামবিন্দু ঝরিয়ে বরুণ শূন‌্য থেকে অসাধারণ হয়ে উঠেছেন।

২০২১ সালে তার অভিষেক হয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। কিন্তু সেবার ভারত গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে সেমিফাইনাল খেলতে পারেননি। তাতে প্রবল সমালোচনা হয়েছে ভারতকে নিয়ে। বাদ পড়েননি বরুণও। কিন্তু তাকে দেওয়া হয়েছিল প্রাণনাশের হুমকি। দুবাই থেকে ভারতে না ফেরার কথাও বলা হয়েছিল।

এক ইউটিউব চ‌্যানেলে বরুণ বলেছেন, ‘‘২০২১ বিশ্বকাপের পর, আমি হুমকিমূলক ফোন পেয়েছিলাম। 'ভারতে এসো না। চেষ্টা করলেও পারবে না।' লোকেরা আমার বাড়ির কাছে এসে আমাকে খুঁজে বের করত - মাঝে মাঝে আমাকে লুকিয়ে থাকতে হত। যখন আমি বিমানবন্দর থেকে ফিরছিলাম, তখন কিছু লোক তাদের বাইকে করে আমার পিছু নিত। এটা ঘটে। আমি বুঝতে পারি যে ভক্তরা আবেগপ্রবণ।’’

সেসব কঠিন সময় পেরিয়ে অসাধারণ, অনন‌্য হয়ে উঠায় স্বার্থকতা দেখছেন বরুণ, ‘‘কিন্তু যখন আমি সেইসব জিনিস এবং এখন যে প্রশংসা পাচ্ছি তার দিকে ফিরে তাকাই, তখন আমি খুশি হই। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে সব ভালো জিনিস একসাথে ঘটে। আমি এটিকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যেতে চাই। আমি ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছি, এবং আমি জানি সমালোচনা কতটা খারাপ হতে পারে।’’

নিজের ওপর তার বিশ্বাসও জন্মেছে প্রবল, ‘‘আমার মনে হয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে কারণ আমি মাত্র চারটি ম্যাচ খেলেছি। আর যখন আমি সেই ম্যাচগুলোতে ভালো খেলেছি, তখন আমার মনে হয়েছে আমি এখানেই থাকবো এবং আমার জন্য একটা জায়গা আছে। কিন্তু আমি এই সাফল্য আশা করিনি।’’

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

হল না খোলায় ক্যাম্পাসে অবস্থানের ঘোষণা কুয়েট শিক্ষার্থীদের

‘আমার হল আমার হল, খুলে দাও খুলে দাও’, ‘আমার হল আমার হল, খুলতে হবে খুলতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত হচ্ছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-কুয়েট ক্যাম্পাস।

রবিবার রাত আটটায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ হল খুলে না দেওয়ায় তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করে শিক্ষার্থীদের এসব স্লোগান দিতে থাকেন।

এদিকে, সর্বশেষ রাত পৌনে ৯টায় শিক্ষার্থীরা এক সংবাদ বিবৃতিতে রাতে ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক ভবনের সামনেই অবস্থানের সিদ্ধান্ত জানান। কর্তৃপক্ষের পরবর্তী ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তারা ক্যাম্পাস ত্যাগ করবে না বলেও ঘোষণা দেন।

আরো পড়ুন:

রাত ৮টার মধ্যে হল খোলার দাবি কুয়েট শিক্ষার্থীদের 

নড়াইলে শ্রমজীবীদের পাঞ্জাবি উপহার

শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ২টা থেকে রাতভর ক্যাম্পাসে অবস্থান করছি শুধু হলে ওঠার জন্য। এই কষ্ট বৃথা যেতে পারে না। আগামীকাল সোমবারের মধ্যে কর্তৃপক্ষ হল খুলে না দিলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এর আগে, রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার দাবিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী। এ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেন তারা।

তবে কুয়েটের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেওয়ার জন্য লিখিত একটি আবেদন জানিয়েছে। বিষয়টি শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপাচার্যকে জানাচ্ছেন। তবে সিন্ডিকেটের সভা ছাড়া হল খোলা ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয়।”

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী দুপুর আড়াইটার দিকে বন্ধ থাকা কুয়েটের প্রধান গেটের সামনে জড়ো হন। কুয়েট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা বেলা ৩টার দিকে আইডি কার্ড দেখিয়ে ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রবেশ করেন। এরপর তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে যান। সেখানে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষার্থীদের কাছে আসেন। শিক্ষকরা তাদেরকে বুঝিয়ে বলেন, সিন্ডিকেটের সভা ছাড়া অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও হলগুলো খোলা সম্ভব নয়।

তবে শিক্ষার্থীরা সংবাদ বিবৃতিতে বলেন, হল ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী হলে থেকে বাইরে টিউশনি করেন। তারা টিউশনি করতে পারছেন না। তারা রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। কর্তৃপক্ষ যদি দাবি পূরণ না করে, তাহলে তারা আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন।

কুয়েটের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেওয়ার জন্য লিখিত একটি আবেদন জানিয়েছে। বিষয়টি শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপাচার্যকে জানাচ্ছেন। তবে সিন্ডিকেটের সভা ছাড়া হল খোলা ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয়।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পাসের দুটি গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে কুয়েট কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নওগাঁয় ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
  • রাজশাহীতে ৬ দফা দাবিতে কারিগরি শিক্ষার্থীদের সাড়ে ৩ ঘণ্টা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
  • বিল গেটসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ‘প্রয়োজনীয়’ ছিল: সাক্ষাৎকারে মেলিন্ডা
  • দাবি আদায়ে অনড় কুয়েট শিক্ষার্থীরা, সন্ধ্যায় সিন্ডিকেট সভা
  • আমেরিকা-পরবর্তী বৈশ্বিক অর্থনীতি কে চালাবে
  • বৈশাখের আনন্দ তিনগুণ বেড়ে গেছে, কেন বললেন বুবলী
  • নিগারদের বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা কি বাড়ল
  • হল না খোলায় ক্যাম্পাসে অবস্থানের ঘোষণা কুয়েট শিক্ষার্থীদের
  • গাজা-পশ্চিম তীরে কেমন ছিলেন, জানালেন বাংলাদেশে পড়ুয়া ২ ফিলিস্তিনি তরুণ
  • চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে আগুন দেওয়া যুবক সম্পর্কে যা জানা গেল