`ভারতে এসো না, চেষ্টা করলেও পারবে না’
Published: 15th, March 2025 GMT
ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের অন্যতম নায়ক বরুণ চক্রবর্তী। ডানহাতি স্পিনার বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ বোলিং করে কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নদের জন্য।
ফাইনালে ভারত যখন নিউ জিল্যান্ডের উইকেটের জন্য কাতরাচ্ছিলেন তখন বরুণ ব্রেক থ্রু এনে দেন। পরবর্তীতে নেন আরো ২ উইকেট। সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তার শিকার ৯ উইকেট। অনেক ঘামবিন্দু ঝরিয়ে বরুণ শূন্য থেকে অসাধারণ হয়ে উঠেছেন।
২০২১ সালে তার অভিষেক হয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। কিন্তু সেবার ভারত গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে সেমিফাইনাল খেলতে পারেননি। তাতে প্রবল সমালোচনা হয়েছে ভারতকে নিয়ে। বাদ পড়েননি বরুণও। কিন্তু তাকে দেওয়া হয়েছিল প্রাণনাশের হুমকি। দুবাই থেকে ভারতে না ফেরার কথাও বলা হয়েছিল।
এক ইউটিউব চ্যানেলে বরুণ বলেছেন, ‘‘২০২১ বিশ্বকাপের পর, আমি হুমকিমূলক ফোন পেয়েছিলাম। 'ভারতে এসো না। চেষ্টা করলেও পারবে না।' লোকেরা আমার বাড়ির কাছে এসে আমাকে খুঁজে বের করত - মাঝে মাঝে আমাকে লুকিয়ে থাকতে হত। যখন আমি বিমানবন্দর থেকে ফিরছিলাম, তখন কিছু লোক তাদের বাইকে করে আমার পিছু নিত। এটা ঘটে। আমি বুঝতে পারি যে ভক্তরা আবেগপ্রবণ।’’
সেসব কঠিন সময় পেরিয়ে অসাধারণ, অনন্য হয়ে উঠায় স্বার্থকতা দেখছেন বরুণ, ‘‘কিন্তু যখন আমি সেইসব জিনিস এবং এখন যে প্রশংসা পাচ্ছি তার দিকে ফিরে তাকাই, তখন আমি খুশি হই। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে সব ভালো জিনিস একসাথে ঘটে। আমি এটিকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যেতে চাই। আমি ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছি, এবং আমি জানি সমালোচনা কতটা খারাপ হতে পারে।’’
নিজের ওপর তার বিশ্বাসও জন্মেছে প্রবল, ‘‘আমার মনে হয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে কারণ আমি মাত্র চারটি ম্যাচ খেলেছি। আর যখন আমি সেই ম্যাচগুলোতে ভালো খেলেছি, তখন আমার মনে হয়েছে আমি এখানেই থাকবো এবং আমার জন্য একটা জায়গা আছে। কিন্তু আমি এই সাফল্য আশা করিনি।’’
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিচারপ্রক্রিয়া বিলম্বিত হলে জনগণ আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে: ইসলামী আন্দোলন
মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যু প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, বিচারপ্রক্রিয়া বিলম্বিত হলে জনগণ আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে। শিশু-নারী ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনাসহ সব বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা শোনা গেলেও বাস্তবে এর কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) মিলনায়তনে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘বৈষম্যহীন কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সিয়ামের ভূমিকা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
মাগুরার শিশুটির সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ইসলামের ‘ব্যভিচার আইন’ রাষ্ট্রীয়ভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে বলে মনে করেন সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ। তিনি বলেন, ‘মানুষ ক্রমে আইন হাতে তুলে নিতে অভ্যস্ত হচ্ছে। এটা রাষ্ট্রের জন্য ভালো লক্ষণ নয়। সব জায়গায় এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। জুলাই-আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে এটা কাম্য ছিল না।’
ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের সহকারী মহাসচিব মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে পুলিশের চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে। ফলে পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা পালন না করায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিস্টদের সহযোগীরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে এসব কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।’
সভায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ‘কোনো বিশেষ দল বা দেশের অশুভ শক্তির চাপে কোনোভাবেই স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের পরে আয়োজন করা যাবে না। এমনটা হলে জুলাই-আগস্টের শহীদ ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে গাদ্দারি করা হবে। এ দেশে আবারও স্বৈরাচারের বীজ বপন হবে।’
নগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম ও খেলাফত মজলিসের আনোয়ার হোসাইন প্রমুখ।