একসময়ের চর্চিত তারকা জুটি ডিনো মরিয়া ও বিপাশা বসু। এ যুগলের পর্দার রসায়ন ব্যক্তিগত জীবনেও গড়িয়েছিল। কিন্তু এ প্রেম ভেঙে যায়। আর সেই বিচ্ছেদ ঘটেছিল ‘রাজ’ সিনেমার শুটিং সেটে। কয়েক দিন আগে পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ডিনো মরিয়া।

স্মৃতিচারণ করে ডিনো মরিয়া বলেন, “আমরা ব্রেকআপ করেছিলাম। সত্যি বলতে, কিছু সমস্যার কারণে বিপাশার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছিল। পরিস্থিতিটা তার কাছে খুব কঠিন ছিল। প্রতিদিন আমি তাকে শুটিং সেটে দেখতাম। তার মন খারাপ থাকত। যার প্রতি এত বেশি যত্নবান ছিলাম, তাকে এভাবে দেখাও আমার জন্য ভীষণ কঠিন ছিল।”
 
টিকিয়ে রাখার সবরকম প্রচেষ্টা করার পরও তাদের সম্পর্ক ভাঙনের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এ তথ্য উল্লেখ করে ডিনো মরিয়া বলেন, “ইতোমধ্যে আমরা ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছিলাম। যদিও আমরা কিছু কাজ করার চেষ্টা করেছি, তবে তাতে কাজ হয়নি। তারপর আমরা সামনে এগিয়ে যাই।”

বিচ্ছেদের সময়টি ভীষণ চ্যালেঞ্জিং ছিল বলে মন্তব্য করেন ডিনো। তার ভাষায়, “এটি খুবই চ্যালেঞ্জিং সময় ছিল। কারণ এমন একজনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হলো, যার সঙ্গে আপনি বছরের পর বছর কাটিয়েছেন। অথচ কঠোর পরিশ্রম করে আপনি এটি তৈরি করেছিলেন।”

বিপাশার সঙ্গে বিচ্ছেদ, হৃদয় ভেঙেছিল ডিনোর। কিন্তু সময় সব ক্ষত সারিয়ে তুলতে পারে। এ বিষয়ে ডিনো মরিয়া বলেন, “আমাদের দুজনেরই মন খারাপ হয়েছিল। তারপরও আমাদের আলাদা হতে হয়েছিল। এটি আমাদের করতেই হয়েছিল। এটা খুব কঠিন ছিল। কিন্তু সময়ের মতো অন্য কোনো কিছুই অতটা সারিয়ে তুলতে পারে না। সময় সবকিছু সারিয়ে তোলে; আপনাকে শুধু এটাকে বয়ে যেতে দিতে হবে। আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি, সময়ের সঙ্গে সবকিছুই ঠিক হয়ে যায়।”

সম্পর্ক ভাঙার পর যত সময় গড়ায় ততই তিক্ততা কমে যায়। ফলে বন্ধুত্বের পথ সুগম হয়। এ বিষয়ে ডিনো মরিয়া বলেন, “এরপরও আমরা সেরা বন্ধু হয়ে উঠি। সেই মুহূর্তটি খুব কঠিন ছিল। রাগ, আবেগ, ক্রোধ ছিল। কিন্তু সময় আপনাকে বুঝিয়ে দেবে, এটি কেবল একটি মুহূর্ত ছিল। আমি সত্যিই তাকে উপভোগ করি, সেও আমাকে উপভোগ করে। এজন্য অন্তত বন্ধু হয়ে উঠি।”

সম্পর্ক ভাঙার সময়ের নানা অনুভূতি ব্যাখ্যা করলেও কারণ জানাননি ডিনো। তবে ‘রাজ’ সিনেমার পরিচালক বিক্রম ভাট নিউজ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমার মনে আছে, সিনেমাটির শুটিং সেটে একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছিল। সিনেমাটির ‘ম্যায় আগার সামনে’ শিরোনামে একটি বিয়ের গানের শুটিং করছিলাম। গানটির এক জায়গায় রয়েছে— ‘বিয়ের বেশি দিন বাকি নেই’। এ দৃশ্যের শুটিং যখন চলছিল, তখন বিপাশা ও ডিনো মারামারি শুরু করে। আমার মনে আছে বিপাশা খুব কেঁদেছিল আর ডিনোর মন খারাপ ছিল।”

এ পরিস্থিতি কীভাবে সামলেছিলেন বিক্রম ভাট? সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এই পরিচালক বলেন, “আমি তাদের বলেছিলাম, তোমরা এভাবে মারামারি করতে পারো না। আমরা বিয়ের গানের শুটিং করছি। তোমরা কেন দুই দিনের জন্য এই যুদ্ধ বন্ধ রাখছো না? এরপর আমরা একসঙ্গে দুপুরের খাবার খাই। কিন্তু হ্যাঁ, এরপর তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।”

কী কারণে মারামারি করেছিলেন ডিনো-বিপাশা? এ প্রশ্নের উত্তরে বিক্রম ভাট বলেন, “আমি এমন মানুষ নই যে, কারো ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলাব। সত্যি আমি জানি না।”

প্রেমের সম্পর্ক ভাঙার পরও ‘গুনাহ’, ‘ইশক হ্যায় তুমসে’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন বিপাশা-ডিনো জুটি। ডিনোর সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর জন আব্রাহামের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান বিপাশা। যদিও এ সম্পর্কও টিকেনি। সর্বশেষ করণ সিং গ্রোভারের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন এই অভিনেত্রী। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সময় র

এছাড়াও পড়ুন:

মানসিক চাপ কমাতে তিন মাসের গাইডলাইন

মানসিক চাপ ধীরে ধীরে তৈরি হয়। একদিনের চেষ্টায় এই চাপ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। মানসিক চাপ মোকাবিলা করার জন্য একটি সুশৃঙ্খল লাইফস্টাইল ফলো করা জরুরি। মনোবিদরা বলছেন, টানা তিন মাস একটি সুশৃঙ্খল লাইফস্টাইল ফলো করে মানসিক চাপ কমিয়ে আনা সম্ভব।

ডা. সুব্রত সাহা, কনসালটেন্ট নিউরোথেরাপিস্ট ‘হেলথ ইনসাইডার’ এর একটি পডকাস্টে মানসিক চাপ কমানোর কয়েকটি উপায় উল্লেখ করেছেন। এগুলো হলো—

১.  আপনি নির্দিষ্ট একটি সময় পরিবারের জন্য রাখুন। সেটা আধা ঘণ্টা হোক, তিরিশ মিনিট হোক বা তার বেশি সময় হোক। ধরুন, রাত সাড়ে দশটা থেকে ১২ টা পর্যন্ত সময়টুকু শুধু আপনার পরিবারের সদস্যদের সময় দিন। 

আরো পড়ুন:

রঙে রঙিন বৈশাখের শাড়ি

বৈশাখী পোশাকে প্রাধান্য পেয়েছে সূচিশিল্প

২. আপনার যদি কোনো পোষ্য থাকে তাহলে দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় পোষ্যের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন।

৩. আপনি যদি কোনো সৃজনশীল কাজ করতে পছন্দ করেন, তাহলে দিনের কাজ শেষ করে একটি নির্দিষ্ট সময়ে নিজের প্রিয় কাজটি করতে পারেন। এতে সময়টা উপভোগ্য হয়ে উঠবে। 

৪. যত কাজই থাকুক, সারাদিনের মধ্যে ছয় থেকে নয় ঘণ্টা অবশ্যই আপনাকে ঘুমাতে হবে। 

৫. প্রত্যেক দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে অল্প সময়ের জন্য হলেও ‘মর্নিং ওয়াক’ করুন। যদি তা করা কোনো ভাবেই সম্ভব না হয় তাহলে ‘ইভিনিং ওয়াক’ করুন। 

৬. হেভি ব্রেকফার্স্ট করুন। লাইটার লাঞ্চ করুন এবং লাইটেস্ট ডিনার করুন। এবং অবশ্যই ডিনারটা রাত আটটার মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। 

এই নিয়মগুলো যদি আপনার লাইফস্টাইলে ফলো করতে পারেন তাহলে আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে আপনি মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলতে পারবেন। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গ্রীষ্মের বার্তা নিয়ে প্রকৃতিতে হাজির কৃষ্ণচূড়া
  • মানসিক চাপ কমাতে তিন মাসের গাইডলাইন