Samakal:
2025-03-15@02:55:58 GMT

আমরা স্বদেশে ফিরতে চাই

Published: 15th, March 2025 GMT

আমরা স্বদেশে ফিরতে চাই

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে রাখাইন গণহত্যার বিচার চাইলেন রোহিঙ্গারা। পাশাপাশি তারা মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছেন।
কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা গুতেরেসকে বলেন, ‘মিয়ানমারের জান্তা সরকার আমাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। তখন বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। এই দেশে আর কত বছর থাকব? আর থাকতে চাই না। আমরা আমাদের স্বদেশে ফিরতে চাই। মিয়ানমার আমাদের দেশ।’ 

গতকাল শুক্রবার কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে জাতিসংঘ মহাসচিবকে এসব কথা বলেন তারা। রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত লার্নিং সেন্টারে এসব কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন মহাসচিব। এ সময় নারী-শিশুরাও তাদের নানা দাবি তুলে ধরেন। এর পর মহাসচিব ঘুরে দেখেন রোহিঙ্গা কালচারাল সেন্টার। অনেকটা আকস্মিকভাবে রোহিঙ্গাদের ঘরে প্রবেশ করেন তিনি। নিজ চোখে দেখেন তাদের মানবেতর জীবনের চিত্র। জাতিসংঘ মহাসচিবকে কাছে পেয়ে অনেক নারী-শিশু তুলে ধরেন তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া ও নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা।

আরাকান সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ জোবায়ের সমকালকে জানান, রোহিঙ্গারা জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেছেন, ‘২০১৭ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমার বাহিনী যেভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তা দেখে পুরো দুনিয়ার মানুষ কেঁদেছে। সেই গণহত্যার বিচার চাই। সেদিন মিয়ানমার বাহিনী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিয়ে ভেবেছিল, তারা রাখাইন রাজ্যকে রোহিঙ্গামুক্ত করেছে। কিন্তু রোহিঙ্গারা জন্মভূমি আরাকান কাউকে লিজ দিয়ে আসেনি। যে কোনোভাবে রোহিঙ্গারা আরাকানে ফিরতে চায়। বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে দাবি, রোহিঙ্গাদের দ্রুত দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিন।’

এফডিএমএন রিপ্রেজেন্টেটিভ কমিউনিটির মুখপাত্র কামাল হোসেন বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, তারা অধিকার নিয়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে চান। তারা বাংলাদেশের নন, মিয়ানমারের নাগরিক।

 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ–সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ

রাজধানীর শাহবাগে ২০১৩ সালের গণজাগরণ মঞ্চের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিদের বিচার এবং মঞ্চটির সংগঠক লাকী আক্তারকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। একই সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা মঙ্গলবার ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্মের কর্মসূচি থেকে পুলিশের ওপর হামলার বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) ৮ নম্বর গেটের সামনে একদল শিক্ষার্থী এ বিক্ষোভ করেন। এতে এনএসইউর পাশাপাশি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের কিছু শিক্ষার্থীও অংশ নেন। আয়োজকদের কোনো ব্যানার ছিল না। তাঁরা নিজেদের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী বলে দাবি করেছেন।

বিক্ষোভকারীরা প্রথমে এনএসইউর ৮ নম্বর গেটের সামনে জড়ো হন। সেখানে কয়েকজন বক্তৃতা করেন। বক্তৃতার ফাঁকে ফাঁকে স্লোগান চলে। তাঁরা ‘শাহবাগীরা বাংলা ছাড়’, ‘শাহবাগ না বাংলাদেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। এরপর এনএসইউ গেট থেকে একটি মিছিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার দু-একটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার সেখানে এসে শেষ হয়।

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী সালাহউদ্দিন ওমর সাম্য বলেন, ‘২০১৩ সালে বাংলাদেশের বিভাজন শুরু হয় এই শাহবাগ থেকে, শাপলা চত্বরে গণহত্যার মাধ্যমে। এখন তারা আবারও নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্র বানাতে চক্রান্ত করছে। তারা আবারও ফিরে আসুক আমরা তা চাই না। আমরা তাদের বিচার চাই।’

এদিকে একই ধরনের দাবিতে বুধবার বিকেল শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে একটি মানববন্ধন করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। সেখানে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী বলেন, লাকী আক্তার ও গণজাগরণ মঞ্চের সাবেক মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে মবতন্ত্রের সূচনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বৈধতা দিয়েছিলেন তাঁরা।

ইনকিলাব মঞ্চের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সদস্যসচিব ফাতিমা আক্তার বলেন, সরকার ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার করেছে। তারপরও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করা অযৌক্তিক।

আরও পড়ুনপুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা৫ ঘণ্টা আগে

এ সময় ইনকিলাব মঞ্চ থেকে সরকারের উদ্দেশে বেশ কিছু দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো জাতিসংঘকে অন্তর্ভুক্ত করে শাপলা চত্বর ও পিলখানা গণহত্যার স্বাধীন বিচারিক তদন্ত কমিশন গঠন করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা, জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচারিক কার্যক্রম শুরু করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংবিধান ও বিচার বিভাগের সংস্কার ছাড়া ন্যায়বিচার সম্ভব নয় : মাও. কাইয়ুম
  • গুম-খুনে জড়িত সদস্যদের বিচার চেয়ে র‍্যাব কার্যালয়ের সামনে ‘শহীদি মার্চ’ সদর দপ্তরের সাম
  • রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব, শুনলেন গণহত্যার বর্ণনা
  • যুদ্ধকৌশল হিসেবে গাজায় যৌন সহিংসতাকে ব্যবহার করেছে ইসরায়েল
  • রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে হরে-দরে সবাইকে ‘শাহবাগী’ বলা বন্ধ করতে হবে: মাহফুজ আলম
  • শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ–সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ
  • শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের সঙ্গে থাকবে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ