অমুক ব্যবসায়ীর সঙ্গে অমুক রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক, কেন লেখেন না
Published: 14th, March 2025 GMT
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের আর্থিক সম্পর্ক নিয়ে সাংবাদিকেরা কেন লেখেন না, সে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘অমুক অমুক ব্যবসায়ীর সঙ্গে অমুক অমুক রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক রয়ে গেছে, আছে। কখনো ১৫০০ কোটি টাকা, কখনো ১০০ কোটির কথা কেন শুনি আমরা? কেন আপনারা লেখেন না এগুলা।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে শুক্রবার সন্ধ্যায় এ প্রশ্ন তোলেন মির্জা আব্বাস।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সাংবাদিকদের দায়দায়িত্ব অনেক।.
অসির চেয়ে মসির জোর অনেক—সে কথা স্মরণ করিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনাদের লেখা, আপনাদের বলা, আপনাদের কথায় কিন্তু জাতির অনেক লাভ হবে।’
মির্জা আব্বাসের মতে, দেশের ক্ষয়ক্ষতি কিংবা ভালো–মন্দের দায়দায়িত্বের ২৫ ভাগ রাজনীতিবিদেরা বহন করেন। আর ৫০ ভাগ বহন করেন বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকেরা।
সাংবাদিকেরা যদি কারও মাধ্যমে প্রভাবিত না হন এবং যদি সঠিক কথাটা বলেন, তাহলে দেশটা অনেক এগিয়ে যায়।
ঢাকা শহরের রাস্তা আগের চেয়ে পাঁচ ফুট উঁচু করার পরও ভারী বৃষ্টি হলে কেন জলাবদ্ধতা হয়, সে বিষয়ে গৃহায়ণ ও পূর্তমন্ত্রী থাকা অবস্থায় কী বলেছিলেন, সেটিও বক্তব্যে উল্লেখ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘দখলদারদের বিরুদ্ধে আমি কথা বলেছিলাম। আমি কথা বলেছিলাম বসুন্ধরার বিরুদ্ধে। আমি কথা বলেছিলাম যমুনার বিরুদ্ধে। আমি কথা বলেছিলাম অনেক ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, অনেক সংবাদমাধ্যম বাস্তব চিত্র ঘুরিয়ে–পেঁচিয়ে লেখে। অনেক সাংবাদিক, সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক, মালিক কিংবা প্রভাবশালী গোষ্ঠীর কারণে সঠিক সংবাদ লিখতে পারেন না। তিনি বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আছে, সাংবাদিকের নেই।
গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ উল্লেখ করে ডিআরইউর ইফতার অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেন, সমালোচনাকে তাঁরা স্বাগত জানান। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে দেশের স্বার্থকে বিবেচনায় রাখতে হবে। তাহলে এই সমালোচনা সংশোধন ও পরিমার্জনে সহযোগিতা করবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউর সভাপতি আবু সালেহ আকন। সঞ্চালক ছিলেন ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডিআরইউর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও ইফতার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ-প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
আরো পড়ুন:
প্রবীণ সাংবাদিকদের জন্য মাসিক ভাতার ব্যবস্থা হচ্ছে: এম আব্দুল্লাহ
রাজবাড়ীর প্রবীণ সাংবাদিক সানাউল্লাহ’র দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।
ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় মাহফিলে ডিআরইউ সহ-সভাপতি গাযী আনোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক মো. বোরহান উদ্দীন ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, অর্থ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক খান, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ) ও কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা।
কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির), আক্তারুজ্জামান, আমিনুল হক ভূঁইয়া, মো. ফারুক আলম, সুমন চৌধুরী ও মো. সলিম উল্ল্যা (এস. ইউ সেলিম) উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ডিআরইউয়ের সাবেক সভাপতি শাজাহন সরদার, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, ইলিয়াস হোসেন, রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ ডিআরইউর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইফতার মাহফিলে মরহুম সদস্যদের জন্য দোয়া করা হয়। মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
ঢাকা/এএএম/এসবি