নির্মাণাধীন মুক্তারপুর-পঞ্চবটী সড়কে পাইপলাইন ফেটে আগুন লাগায় শুক্রবার সকাল থেকে মুন্সীগঞ্জ শহর ও এর আশপাশে বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে জেলার ১৩ হাজার গ্রাহক চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। বাসাবাড়িতে রোজাদারদের জন্য ইফতারি তৈরির কাজ ব্যাহত হয়। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ চালু হয়নি।

জেলা শহরের মানিকপুর, মধ্য কোটগাঁও, বাগমামুদালীপাড়া, খালইষ্ট, মালপাড়া, জমিদারপাড়া, গনকপাড়া ও শহরতলির পঞ্চসার ইউনিয়নের সব ক’টি গ্রামে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সূত্র জানায়, সকাল ৮টার দিকে শহরের উপকণ্ঠ পঞ্চসার ইউনিয়নের পশ্চিম মুক্তারপুরে এলিভেটেড সড়ক নির্মাণকাজে এক্সক্যাভেটর দিয়ে মাটি খনন চলছিল। এ সময় সঞ্চালন লাইনের প্রধান পাইপ ফেটে গিয়ে আগুন লাগে। এর পর সরবরাহ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

শহরের মধ্য কোটগাঁও এলাকার বাসিন্দা জান্নাতুল ফেরদৌস সাম্মী বলেন, সকাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় বাসাবাড়িতে রান্না করতে পারেননি তারা। ইফতারসামগ্রীও তৈরি করা যায়নি। মালপাড়ার গৃহিণী কাজী নিপা জোহা বলেন, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সবাই। রোজার মধ্যে রান্না করা যাচ্ছে না। শহরের জগধাত্রীপাড়ার গৃহিণী এলিনা আক্তার বলেন, সকালে হঠাৎ করেই দেখি চুলায় আগুন জ্বলছে না।

এ প্রসঙ্গে মুন্সীগঞ্জ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপক শরীফুল ইসলাম জানান, সকালে মুক্তারপুর এলাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় সড়ক নির্মাণে এক্সক্যাভেটর দ্বারা মাটি অপসারণের সময় গ্যাস সরবরাহের সঞ্চালন পাইপলাইন ফেটে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে আগুন লেগে গেলে নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল থেকে সরবরাহ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় মুন্সীগঞ্জের ১৩ হাজার আবাসিক গ্রাহক গ্যাস পাচ্ছেন না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আগ ন শহর র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ও আরাকান আর্মিকে করিডোর দিতে বলল ফোর্টিফাই রাইটস

মিয়ানমারের রাখাইনে যুদ্ধাক্রান্ত বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তা এবং আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য নিশ্চিত করতে এখনই করিডোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ফোর্টিফাই রাইটস। বাংলাদেশ সরকার ও আরাকান আর্মির প্রতি বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

সংস্থাটি বলছে, তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকার পদ্ধতিগতভাবে রাখাইনে জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা ঢুকতে দিচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আসন্ন বাংলাদেশ সফরে সীমান্তের উভয় পাশে মানবিক চাহিদা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ৫ লাখ ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত। আর ২০ লাখেরও বেশি মানুষ জরুরি খাদ্য, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সরবরাহের চাহিদায় রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক মার্কিন বৈদেশিক সাহায্য হ্রাস মানবিক সংকট আরও বাড়িয়ে তুলেছে, যা মিয়ানমারের সামরিক জান্তার স্বার্থকে রক্ষা করছে।

ফোর্টিফাই রাইটসের মানবাধিকার সহযোগী এজাজ মিন খান্ত বলেন, অধিকার রক্ষাকারী দেশগুলোর উচিত মিয়ানমারের চাহিদাসম্পন্ন সম্প্রদায়ের কাছে জীবন রক্ষাকারী সাহায্য সরবরাহ সহজ করার জন্য সব সম্ভাবনা খোঁজা। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি মানবিক করিডোর চালু করা সব সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ পদক্ষেপ না নিলে প্রাণহানি হবে।

ফোর্টিফাই রাইটস নথিভুক্ত করেছে, কীভাবে মিয়ানমারের জান্তা সাহায্য সরবরাহের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর ফলে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জান্তা বাণিজ্য পথও বন্ধ করে দিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতি আরও বাড়িয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ হলে চাল সরবরাহও বন্ধের হুঁশিয়ারি
  • নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ হলে চাল-আম সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি
  • খুচরায় কঠোর, কোম্পানিতে উদার অধিদপ্তর
  • স্বর্ণে বিনিয়োগে উৎসাহ দিচ্ছে ‘গোল্ড কিনেন’
  • বাকি রোজায় নিত্যপণ্যের দাম যেমন থাকতে পারে
  • বেশিরভাগ পণ্যের দাম নিম্নমুখী, বেড়েছে চালের
  • কুরস্ক পুনরুদ্ধার রাশিয়ার
  • শিল্প ও অবকাঠামোর জন্য রং তৈরি করি
  • বাংলাদেশ ও আরাকান আর্মিকে করিডোর দিতে বলল ফোর্টিফাই রাইটস