Samakal:
2025-03-14@22:41:02 GMT

বিশ্বরেকর্ডের পথে শাকিল

Published: 14th, March 2025 GMT

বিশ্বরেকর্ডের পথে শাকিল

বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট জয়ের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করেছেন পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান শাকিল। ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্রসৈকত থেকে হাঁটা শুরু করেছেন। এভারেস্টে আরোহণের পথে তিনি বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। সফল হলে এটি হবে পদযাত্রা করে সবচেয়ে বেশি পথ পাড়ি দিয়ে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে সবচেয়ে কম সময়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এভারেস্ট জয়ের বিশ্বরেকর্ড।
এর আগে ১৯৯০ সালে অস্ট্রেলিয়ার পর্বতারোহী টিম ম্যাকার্টনি-স্নেপ ভারতের গঙ্গাসাগর থেকে ৯৬ দিনে প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পা রাখেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে। ৩৫ বছর আগের ম্যাকার্টনির সেই কৃতিত্ব বেশ অনুপ্রাণিত করেছে বাংলাদেশের পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান শাকিলকে। এই তরুণও তাঁর অভিযানের নাম দিয়েছেন ‘সি টু সামিট’। 
কক্সবাজার থেকে হেঁটে হেঁটে চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা ও মুন্সীগঞ্জ হয়ে ১২ দিন পর ঢাকায় পৌঁছান শাকিল। এভাবে ৯০ দিনে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এভারেস্টের ২৯,০৩১ ফুট উঁচু শিখরে আরোহণ করবেন। এ অভিযানে তাঁর সঙ্গে আছে বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্র্যাকিং ক্লাব। অভিযানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক বা টাইটেল স্পনসর হিসেবে আছে প্রাণ গ্রুপ। স্ন্যাক্স পার্টনার হিসেবে আছে মিস্টার নুডলস। গিয়ার পার্টনার হিসেবে আছে মাকলু-ই-ট্রেডার্স নেপাল। হেলথ পার্টনার হিসেবে আছে সিস্টেমা টুথব্রাশ এবং অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় বেশ কিছু মানুষ, যা সফল হলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ অভিযানের সঙ্গে পরিবেশ সচেতনতার বিষয়ও যুক্ত রয়েছে। শাকিল সম্প্রতি প্লাস্টিকদূষণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশ রক্ষায় টেকসই সমাধান প্রচারের জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ইয়ুথ অ্যাডভোকেট হয়েছেন। তাঁর লক্ষ্য– দুর্গম অভিযানও পরিবেশের ক্ষতি না করে অভিযান সম্পন্ন করা সম্ভব। এভারেস্ট চূড়ায় আরোহণের এ অভিযানে পথে যেতে যেতে পরিবেশ সচেতনতার বার্তাও ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এর মধ্যে আছে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জন এবং কার্বন নিঃসরণ কমানোর কথা। এ প্রসঙ্গে শাকিল বলেন, ‘এ অভিযান শুধু একটি রেকর্ড গড়ার প্রচেষ্টা নয়, এটি প্লাস্টিকদূষণের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান। বঙ্গোপসাগর থেকে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ পর্যন্ত ভ্রমণের মাধ্যমে আমি মানুষকে প্লাস্টিক ব্যবহারের বিষয়ে নতুন করে ভাবাতে এবং সবাইকে পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করতে চাই।’
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার প্লাস্টিকদূষণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘প্লাস্টিকদূষণ আমাদের সময়ের অন্যতম বড় পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ, যা জীববৈচিত্র্যকে বিপন্ন করছে, সাগরকে দূষিত করছে এবং লাখো মানুষের জীবিকা প্রভাবিত করছে। এই সংকট মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ ও ব্যাপক সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি, শাকিলের অভিযান মানুষকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো এবং টেকসই জীবনধারা গ্রহণের জন্য অনুপ্রাণিত করবে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস গড়ার এই প্রচেষ্টায় তাঁর সফলতা কামনা করি।’
বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্র্যাকিং ক্লাবের (বিএমটিসি) প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক বলেন, ‘শৃঙ্গজয়ে শাকিলের যে সামর্থ্য আছে, আমরা তাঁর গ্রেট হিমালয়া ট্রেইল অভিযান দেখেই বুঝেছিলাম। তবে পাহাড়ের সাফল্য নিজের সক্ষমতা ছাড়া আরও অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। ভালো আবহাওয়া তার মধ্যে অন্যতম। তাই শাকিল যত দক্ষই হোন না কেন, শিখর জয় নিশ্চিত নয়।’
অভিযানের সম্পূর্ণ খরচও জোগাড় করতে পারেননি শাকিল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি ব্যয়বহুল অভিযান। সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে যা সহযোগিতা পেয়েছি, তা পর্যাপ্ত নয়। আরও ২০ লাখ টাকা লাগবে। বিভিন্নভাবে বাকি টাকা সংগ্রহের চেষ্টা করছি।’
শাকিল হিমালয়ের ‘কেয়াজো-রি’, ‘দ্রৌপদী-কা-ডান্ডা-২’, ‘ডোলমা খাং’, ‘হিমলুং হিমাল’ ও ‘দ্য গ্রেট হিমালয়ান ট্রেইল’-এর সাফল্যের পর এখন এভারেস্ট জয়ের পথে। বাংলাদেশ থেকে এভারেস্ট একাধিকবার জয় করা হয়ে গেছে, তারপরও কেন এভারেস্ট জয় করার স্বপ্ন– এমন প্রশ্নের জবাবে ইকরামুল হাসান শাকিল বলেন, ‘আমার কাছে এভারেস্ট ওয়ার্ল্ড কাপের মতো, যা বারবার জয় করা যায়।’
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বাগচালা গ্রামে শাকিলের জন্ম। ২০১৯ সালে বাবা মো.

খবির উদ্দিনের মৃত্যুর পর সংসারের ভার এসে পড়ে শাকিলের ওপর। সংসার ও পড়াশোনার খরচ চালাতে সুপারশপে বিক্রয়কর্মী হিসেবেও কাজ করেছেন। এই জীবনসংগ্রামের মধ্যেও সৃজনশীল কাজ চালিয়ে গেছেন তিনি। খেলাধুলায় ভালো ছিলেন।
ছোটবেলা থেকেই ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা ছিল শাকিলের। জানান, ‘আমি চাইতাম পত্রিকায় আমার নাম ও ছবি ছাপা হোক। আমি আর দশজন থেকে আলাদা হতে চাইতাম।’ গাজীপুরে ধূমপানের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ করেছেন তিনি। সেখান থেকেই শুরু। তারপর ২০১০ সালে যোগ দেন পদাতিক নাট্য সংসদ বাংলাদেশে। এই নাট্যদলের হাত ধরেই তাঁর প্রথম ভারতে যাওয়া। ‘নুরু মিয়ার কিচ্ছা’ নামে একটি নাটক লিখেছেন তিনি, তা এখন মঞ্চস্থ করছে পদাতিক।
ক্যামেরার পেছনেও কাজ করছেন তিনি। অনেক টিভি অনুষ্ঠান ও নাটকে সহকারী নির্দেশক হিসেবে কাজ করছেন। আর নিজে এ পর্যন্ত তৈরি করেছেন পাঁচটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। নিজের অভিযানগুলোর অভিজ্ঞতা পাঠককে শোনাতে কলমও ধরেছেন শাকিল। অভিযান নিয়ে তাঁর লেখা বইগুলো হলো, ‘মাউন্ট কেয়াজো-রি শিখরে বাংলাদেশ’, ‘পদচিহ্ন এঁকে যাই’, ‘পর্বতাভিযানে শ্বাসরুদ্ধকর পনেরো ঘণ্টা’, ‘হিমলুং শিখরে’, ‘দোগারি’, ‘গোমতী থেকে হিমালয়’ এবং ‘হেয়ালী ফেরা’ ও ‘দেবী’। সময় পেলে বিভিন্ন আলোচনা সভায় নিজের এগিয়ে যাওয়ার গল্প শোনান শাকিল।
পাহাড় জয়ের আগে শাকিল আলোচনায় আসেন কলকাতা থেকে ঢাকামুখী পদযাত্রা করে। ২০১৩ সালে তিনি কলকাতা থেকে হেঁটে ১১ দিনে ঢাকায় পৌঁছান। তখনই যোগ দেন বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্র্যাকিং ক্লাবে। পর্বতারোহণের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নেন ভারত থেকে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো ২০ হাজার ২৯০ ফুট উচ্চতার কেয়াজো-রি পর্বতশৃঙ্গ জয় করতে যান এম এ মুহিতের নেতৃত্বে সাত পর্বতারোহী। তাদের একজন শাকিল। শেষ পর্যন্ত মুহিত, শাকিল ও কাজী বাহলুল শৃঙ্গটি জয় করেন। ২০১৭ সালে লারকে পিক জয়ের অভিযানেও ছিলেন তিনি। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে খুব কাছাকাছি গিয়ে তা জয় করা হয়নি। পরের বছর ভারতের নেহরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেইনিয়ারিং থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণের সময়েই তিনি জয় করেন ‘দ্রৌপদী-কা-ডান্ডা-২’ শৃঙ্গ। ২০১৯ সালে বাংলাদেশসহ পাঁচ দেশের আট পর্বতারোহী ‘হিমলুং’ জয়ের অভিযানে নামেন। সেই দলে অংশ নিয়ে তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে হিমলুং-এর চূড়ায় পা রাখেন।
বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্র্যাকিং ক্লাবের সভাপতি এভারেস্টজয়ী এম এ মুহিত বলেন, ‘আমি শাকিলকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। আমাদের প্রতিশ্রুতিশীল পর্বতারোহীদের মধ্য সে সেরা। ও একদিন আমাদেরও ছাড়িয়ে যাবে। আমাদের সবার উচিত শাকিলের পাশে থাকা এবং তাকে উৎসাহ দেওয়া।’
তবে শাকিলের চোখে এখন শুধুই এভারেস্টের হাতছানি। তিনি বলেন, ‘এভারেস্ট আরোহণ আমার স্বপ্ন। এখন শুধু সেই মুহূর্তটির জন্য অপেক্ষা করছি।’ v
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র র টন র কর ছ ন র কর ড ক জ কর আম দ র পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

মাহমুদউল্লাহ, বাংলাদেশের ‘বিশ্বকাপের সুপারস্টার’

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ানও। প্রথমটি অ‌্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। পরেরটি নিউ জিল‌্যান্ডের বিপক্ষে হ‌্যামিল্টনে। দুটোই ২০১৫ বিশ্বকাপে।

সর্বশেষ ২০২৩ বিশ্বকাপেও ছিল মাহমুদউল্লাহর আরেকটি সেঞ্চুরি। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে আরেকটি তিন অঙ্কের ম‌্যাজিকাল ফিগার।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি তিন সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন তার দখলে। ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে মাহমুদউল্লাহ অবসরের দিনটিতে আইসিসি মনে করাল, বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটারকে। যিনি বিশ্বকাপের মতো আসরেই কেবল তিন সেঞ্চুরি করেছেন। একাধিক বিশ্বকাপে শতরানে রঙে রঙিন করার একমাত্র কীর্তি তারই।

শুধু তা-ই নয়, আইসিসির পঞ্চাশ ওভারের আরেকটি প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও রয়েছে তার সেঞ্চুরি। তবে, বিশ্বকাপই তার অর্জনের ডালা সাজিয়ে দিয়েছে। বিশ্বকাপে শুধু তিন সেঞ্চুরি নয়, আরো কিছু রেকর্ড মাহমুদউল্লাহর পক্ষে কথা বলছে।

২০১১, ২০১৫, ২০১৯ ও ২০২৩ বিশ্বকাপ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। সব মিলিয়ে চার বিশ্বকাপে ২২ ম্যাচে তার রান ৯৪৪। বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপে তার চেয়ে বেশি রান করেছেন কেবল সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। মাহমুদউল্লাহর চেয়ে তারা দুজনই একটি বিশ্বকাপ বেশি খেলেছেন, ২০০৭। কিন্তু, তাদের দুজনের চেয়ে গড়ে মাহমুদউল্লাহ অনেক এগিয়ে।

৪১.৬২ গড়ে সাকিবের রান ১৩৩২। ৩৪.৮০ গড়ে মুশফিকের রান ১০৭৯। মাহমুদউল্লাহ ৫২.৪৪ গড়ে করেছেন ৯৪৪ রান। কমপক্ষে পাঁচ ইনিংস খেলা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ফিফটি ছোঁয়া গড় একমাত্র তারই। শুধু তা-ই নয়, স্ট্রাইক রেটেও মাহমুদউল্লাহ এগিয়ে। সাকিবের স্ট্রাইক রেট ৮২.২৭। মুশফিকের ৭৯.৩৯। মাহমুদউল্লাহর ৮৪.৮১।

চার আসর মিলিয়ে বিশ্বকাপে ২৫টি ছক্কা মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু, ‌১৫টিও মারতে পারেননি বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যান। দুটি ভিন্ন বিশ্বকাপে ৩০০ রানের ঠিকানায় পৌঁছতে পারা বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ।

২০১৯ বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসান ৬০৬ রান করেছিলেন। মুশফিকুর রহিম একই আসরে করেছিলেন ৩৬৭ রান। মাহমুদউল্লাহ ২০১৫ বিশ্বকাপে ৩৬৫ রানের পর গত আসরে ৩২৮ রান করেছিলেন। বাংলাদেশের আর কোনো ক্রিকেটার বিশ্বকাপের দুই আসরে তিনশর বেশি রান করতে পারেননি।

পরিসংখ্যান, রেকর্ড বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহর অবদানকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। এর বাইরেও তার নিবেদন, একাগ্রতা, নিষ্ঠা তাকে করে তুলেছে মহামূল্য। তিনি যেন বাংলাদেশের ‘বিশ্বকাপের সুপারস্টার।’

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মানুষের মতো নদীরও সুস্থ-সুন্দর থাকার অধিকার রয়েছে : মো. হোসাইন
  • দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক অক্ষর
  • মাইকেল চাকমাকে পাসপোর্ট দিতে রুল হাইকোর্টের
  • ধর্ষণ মামলায় খালাস পেলেন উপ-সচিব রেজাউল করিম
  • মাহমুদউল্লাহ, বাংলাদেশের ‘বিশ্বকাপের সুপারস্টার’
  • গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. টাঙ্গারা ঢাকায়